হাতীবান্ধায় ইউপি চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে ২ হাজার গাছ কাটার অভিযোগ

এস দিলীপ রায়
এস দিলীপ রায়
10 August 2021, 03:05 AM

লালমনিরহাটের হাতীবান্ধা উপজেলায় রাস্তার দুই ধারে প্রায় দুই হাজার গাছ অবৈধভাবে কেটে ফেলার অভিযোগ ওঠেছে বড়খাতা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আবু হেনা মোস্তফা জামাল সোহেলের বিরুদ্ধে।

গত পাঁচ দিনে গাছগুলো কাটা হয়েছে বলে স্থানীয়রা দ্য ডেইলি স্টারকে জানিয়েছেন।

তারা জানান, হাতীবান্ধা উপজেলার বড়খাতা ইউনিয়নের ময়দান থেকে বাউড়া ইউনিয়নের হোসনাবাদ গ্রাম পর্যন্ত রাস্তার দুই পাশে নানা প্রজাতির প্রায় দুই হাজার গাছ ছিল। বড়খাতা ইউপি চেয়ারম্যান সোহেল ও তার লোকজন গত বৃহস্পতিবার থেকে গতকাল পর্যন্ত গাছগুলো কেটে বিক্রি করেছেন।

স্থানীয়রা তাদের কাছে গাছ কাটার কাগজপত্র দেখতে চাইলে তারা তা দেখাতে অপারগতা প্রকাশ করেন। পাশাপাশি, তারা গ্রামবাসীদের ভয়ভীতি দেখান।

হোসনাবাদ গ্রামের সালাম মিয়ার অভিযোগ, 'রাস্তার দুই পাশের গাছগুলো কেটে ফেলায় গ্রামটি এখন শ্রীহীন হয়ে পড়েছে। গাছ কাটার সঙ্গে চিহ্নিত দুষ্কৃতিকারীরা জড়িত থাকায় জোরালো প্রতিবাদ করার সাহস পাইনি।'

এ বিষয়ে বড়খাতা ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান আবু হেনা মোস্তফা জামাল সোহেল ডেইলি স্টারকে বলেন, 'রাস্তার দুই পাশের গাছগুলোর মালিক ইউনিয়ন পরিষদ ও স্থানীয় ইউনিয়ন ফেডারেশন। তারা সমন্বয় করে ৪০০ গাছ চার লাখ টাকায় বিক্রি করেছে।'

তবে দুই হাজার গাছ কাটার অভিযোগটি সঠিক নয় বলে মন্তব্য করেন তিনি।

রাস্তার কাটার বিষয়ে নিয়ম অনুযায়ী বনবিভাগ থেকে ছাড়পত্র নেওয়ার বিষয়ে ইউপি চেয়ারম্যান বলেন, 'বনবিভাগ থেকে কোনো ছাড়পত্র নিইনি। তবে উপজেলা পরিষদের মাসিক সভায় এ বিষয়ে আলোচনা করা হয়েছিল।'

উপজেলা পরিষদের মাসিক সভায় এমন কোনো সিদ্ধান্তের কথা জানেন না জানিয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সামিউল আমিন ডেইলি স্টারকে বলেন, 'গাছ কাটার অভিযোগ পেয়েছি। এ বিষয়ে তদন্ত করছি। ইউপি চেয়ারম্যান যদি নিয়ম বহির্ভূতভাবে রাস্তার গাছ কেটে বিক্রি করে থাকেন তাহলে তার বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।'

গাছ কাটার ঘটনায় ওই ইউনিয়নের বুড়া সারডুবি গ্রামের বাসিন্দা আব্দুর রহমান গত রোববার হাতীবান্ধা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাসহ (ইউএনও) সংশ্লিষ্ট কয়েকটি দপ্তরে লিখিত অভিযোগ করেন।

আব্দুর রহমান ডেইলি স্টারকে বলেন, 'লিখিত অভিযোগ করায় আমাকে মেরে ফেলার হুমকি দেওয়া হয়েছে। এ ব্যাপারে গতকাল সোমবার হাতীবান্ধা থানায় সাধারণ ডায়েরি করেছি।'