ওসির নম্বর ক্লোন করে চেয়ারম্যানের ৪ লাখ টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগ
নোয়াখালীর সুবর্ণচর উপজেলার চরজব্বর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. জিয়াউল হকের সরকারি মোবাইল নম্বর ক্লোন করে এক ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যানের কাছ থেকে চার লাখ টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে।
গতকাল বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় উপজেলার চার নম্বর চরওয়াপদা ইউনিয়নে এই প্রতারণার ঘটনাটি ঘটে।
এই ঘটনায় ইউপি চেয়ারম্যান মো. মনির আহমেদ বৃহস্পতিবার রাতে চরজব্বর থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেছেন।
এ বিষয়ে চরজব্বর থানার পুলিশ দ্য ডেইলি স্টারকে জানায়, চরওয়াপদা ইউনিয়ন পরিষদের বর্তমান চেয়ারম্যান মো. মনির আহমেদ। যিনি আগামী ২০ সেপ্টেম্বর অনুষ্ঠিতব্য ইউপি নির্বাচনের চেয়ারম্যান প্রার্থী। গত বৃহস্পতিবার তার ব্যক্তিগত মোবাইল নম্বরে ভিন্ন দুটি নম্বর থেকে কল আসে। কলকারী নিজকে চরজব্বর থানার ওসি পরিচয় দিয়ে আসন্ন নির্বাচনকে প্রভাবিত করার জন্য বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তাদের ম্যানেজ করতে তার কাছে টাকা চান। এছাড়া সঙ্গে থাকা আরেক জনকে নোয়াখালীর চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট পরিচয় দেন। চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেটের সঙ্গে পরামর্শ করে অন্যান্য অফিসারদের ম্যানেজ করার জন্য চার লাখ টাকা পাঠাতে বলেন।
পুলিশ আরও জানায়, মনির চেয়ারম্যান জিডিতে উল্লেখ করেছেন, ওসি পরিচয় দেওয়া ওই ব্যক্তির আটটি বিকাশ নম্বরে তিনি ৫০ হাজার টাকা করে মোট চার লাখ টাকা পাঠান। এরপর রাত ৯টার দিকে মনির চেয়ারম্যানকে থানায় গিয়ে পরবর্তী কার্যক্রম সম্পর্কে জানাতে বলেন। রাত ৯টার দিকে তিনি থানায় গিয়ে প্রকৃত ওসির সঙ্গে কথা বলে প্রতারণার বিষয়টি বুঝতে পারেন।
এ বিষেয়ে চর জব্বার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. জিয়াউল হক দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, 'বৃহস্পতিবার আমার ব্যবহৃত সরকারি মোবাইল নম্বরটি ক্লোন করে একাধিক মানুষের সঙ্গে প্রতারণা করা হয়েছে। কয়েক জন সরাসরি থানায় এসে বিষয়টি আমাকে জানিয়েছেন।'
এ বিষয়ে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হচ্ছে উল্লেখ করে তিনি সবাইকে সতর্ক থাকারও আহবান জানান।