একাত্তরে গণহত্যার আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি দাবি: জেনেভায় জাতিসংঘের সামনে নির্মূল কমিটির মানববন্ধন

একাত্তরে বাংলাদেশের গণহত্যার আন্তর্জাতিক স্বীকৃতির দাবিতে মানববন্ধন ও সমাবেশ করেছে ‘একাত্তরের ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটি’র কেন্দ্র ও সর্ব ইউরোপীয় শাখার সহযোগিতায় সুইজারল্যান্ডের নির্মূল কমিটি। মানববন্ধন থেকে বাংলাদেশে আশ্রয় নেওয়া মিয়ানমারে গণহত্যার শিকার ১১ লাখেরও বেশি রোহিঙ্গার দ্রুত স্বদেশ প্রত্যাবর্তনে জাতিসংঘ ও আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে সক্রিয় হওয়ার আহ্বানও জানানো হয়েছে।

আজ বুধবার জেনেভায় জাতিসংঘের ইউরোপীয় সদর দপ্তরের সামনে এই মানববন্ধন ও সমাবেশ হয়। একাত্তরের ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটি থেকে দেওয়া সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, জেনেভার সময় বেলা ১২টায় শুরু হয়ে ছয় ঘণ্টা এই সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। যেখানে পাঁচটি মহাদেশের ২৩টি দেশের মানবাধিকার নেতা, বুদ্ধিজীবী, আইনপ্রণেতা, গণহত্যার ভিকটিম ও নির্মূল কমিটির বিভিন্ন শাখার নেতাকর্মীরা কায়িকভাবে উপস্থিত থেকে ও ভার্চুয়ালি অংশগ্রহণ করেন। সমাবেশ শেষে জাতিসংঘের মানবাধিকার কমিশনের হাইকমিশনারকে নির্মূল কমিটির পক্ষ থেকে কেন্দ্রীয় সভাপতি শাহরিয়ার কবির, সর্ব ইউরোপীয় শাখার সভাপতি তরুণকান্তি চৌধুরী ও সুইজারল্যান্ড শাখার সভাপতি খলিলুর রহমানের সই করা স্মারকপত্র দেওয়া হয়। অনলাইনে স্মারকপত্র পাঠ করেন নির্মূল কমিটির কেন্দ্রীয় সদস্য ব্যারিস্টার ড. তুরিন আফরোজ।

উদ্বোধনী ভাষণে নির্মূল কমিটির সভাপতি লেখক সাংবাদিক শাহরিয়ার একাত্তরে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী ও তাদের এদেশীয় দোসরদের গণহত্যার বিবরণ দিয়ে বলেন, ‘১৯৭১ সালের গণহত্যার অপরাধীদের বিচারের জন্য ২০১০ সালে বাংলাদেশে “আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল” গঠন করা হয়েছিল। চলমান বিচার কার্যক্রম নতুন প্রজন্মের মধ্যে পাকিস্তানি দখলদার সেনা এবং এদের দোসরদের দ্বারা সংঘটিত গণহত্যা সম্পর্কে সচেতনতা তৈরি করেছে। এখন সময় এসেছে বাংলাদেশের গণহত্যার আনুষ্ঠানিক স্বীকৃতির।’

সমাবেশে কায়িকভাবে উপস্থিত থেকে এবং ভার্চুয়ালি বক্তব্য দেন বাংলাদেশের স্বাধীনতা মৈত্রী সম্মাননাপ্রাপ্ত ব্রিটিশ মানবাধিকার নেতা জুলিয়ান ফ্রান্সিস, বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধে শহীদ ভাষাসৈনিক ধীরেন্দ্রনাথ দত্তের নাতনি সমাজকর্মী আরমা দত্ত, অস্ট্রেলিয়ান লেবার পার্টির এমপি লরি ফার্গুসন, বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের সাবেক বিচারপতি শামসুদ্দিন চৌধুরী মানিক, খেমার রুজ ট্রায়ালের কম্বোডিয়ান টাস্ক ফোর্সের উপদেষ্টা গণহত্যা বিশেষজ্ঞ ড. হেলেন জার্ভিস, বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধে নিহত শহীদ বুদ্ধিজীবী ডা. আলিম চৌধুরীর মেয়ে অধ্যাপক ডা. নুজহাত চৌধুরী, ভারতের লেখক সাংবাদিক হিরন্ময় কার্লেকারসহ সুইজারল্যান্ডের আর্থ ফোকাস ফাউন্ডেশন, সর্ব ইউরোপীয় আওয়ামী লীগ, সর্ব ইউরোপীয় মুক্তিযোদ্ধা সংসদ, সুইজারল্যান্ড আওয়ামী লীগ, আন্তর্জাতিক বঙ্গবন্ধু ফাউন্ডেশন সুইজারল্যান্ড, সুইজারল্যান্ড বঙ্গবন্ধু পরিষদ, নির্মূল কমিটির যুক্তরাজ্য, রাশিয়া, ফ্রান্স, সুইডেন, নরওয়ে, ফিনল্যান্ড, বেলজিয়াম, সুইজারল্যান্ড, যুক্তরাষ্ট্রের নিউ ইংল্যান্ড ও বোস্টন, তুরস্ক, মিশর, ভারত এবং অস্ট্রেলিয়া শাখার নেতারা।