খেলা ১৫ হাজার কিলোমিটার দূরে, সতর্কতা ব্রাহ্মণবাড়িয়ায়!

By নিজস্ব সংবাদদাতা, ব্রাহ্মণবাড়িয়া
10 July 2021, 14:02 PM

‘একটি জরুরি ঘোষণা... খেলা দেখতে হবে ঘরে বসে। বাইরে খোলা জায়গায় বড় স্ক্রিনে, কোনো ক্লাবে বা চায়ের দোকানে খেলা দেখার আয়োজন করা কিংবা গণজমায়েত হয়ে খেলা দেখা যাবে না....’। আজ শনিবার জেলা পুলিশের পক্ষ থেকে মাইকিং করে এমন ঘোষণা দেয়া হচ্ছে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বিভিন্ন এলাকায়।

আগামীকাল রোববার কোপা আমেরিকার ফাইনাল ম্যাচ অনুষ্ঠিত হবে সুদূর ব্রাজিলের মারাকানা স্টেডিয়ামে। সেখান থেকে প্রায় ১৫ হাজার কিলোমিটার দূরে বাংলাদেশের জেলা ব্রাহ্মণবাড়িয়ার অবস্থান।

গত চারদিন আগে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলায় ব্রাজিল ও আর্জেন্টিনা সমর্থক দুই দলের মধ্যে দুই দফা মারামারিতে চার জন আহত হওয়ার ঘটনা দেশজুড়ে আলোচনার পাশাপাশি আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমে স্থান করে নেওয়ায় সতর্ক অবস্থানে রয়েছে জেলা পুলিশ।

আজ সকাল থেকেই পুলিশের পিকআপ ভ্যান, ভাড়া করা গ্যাসচালিত অটোরিকশা ও ইজিবাইকে পুলিশের পক্ষ থেকে মাইকিং করে সবাইকে সতর্ক করা হচ্ছে।

জেলা পুলিশের বিশেষ শাখা জানিয়েছে, শুধু খেলা উপলক্ষে জেলাজুড়ে পুলিশের ৪৬৪ জন সদস্য কাজ করবে। জেলার মোট ১১৬টি বিটে চার জন করে পুলিশ সদস্য দলভুক্ত হয়ে কাজ করবে। ফাইনাল খেলার দিন রোববার ভোর পাঁচটা থেকে মাঠে থাকবে এই বিশেষ টিম। তারা খেলা শুরুর আগে থেকেই বিভিন্ন পাড়া-মহল্লায় টহল দেবে।

পাশাপাশি গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে পুলিশ বিশেষ ব্যবস্থা নেবে। ফাইনাল ম্যাচে কেউ যেন ঘর থেকে বেরিয়ে বিশৃঙ্খলা করতে না পারে, সেজন্য বিশেষ নজরদারি থাকবে। গ্রাম পর্যায়ে জনপ্রতিনিধিদেরকেও এসব বিষয়ে সতর্ক করা হয়েছে। পুলিশকে সহযোগিতা করতে তাদেরকে অনুরোধ করা হয়েছে।

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (অপরাধ ও প্রশাসন) মোল্লা মোহাম্মদ শাহীন দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, ‘কোপা আমেরিকার খেলা নিয়ে যেহেতু ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় পাল্টাপাল্টি হামলার ঘটনা ঘটেছে, তাই পুলিশ আগাম অতিরিক্ত সতর্কতামূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে।’

উল্লেখ্য, গত মঙ্গলবার ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলার সাদেকপুর ইউনিয়নের দামচাইল বাজারে একই এলাকার আলাকপুর গ্রামের বাসিন্দা ব্রাজিল সমর্থক রেজাউলের চাচা নওয়াব মিয়াকে মারধর করেন আর্জেন্টিনা সমর্থক জীবন মিয়ার সঙ্গীরা। এর জেরে একই দিন রাতে জীবন মিয়ার তিন সহযোগীকে বেধড়ক পিটুনি দেয় রেজাউলের সঙ্গীরা। এই নিয়ে বিভিন্ন গণমাধ্যমে সংবাদ প্রচারিত ও প্রকাশিত হওয়ার পর দেশব্যাপী আলোচনা শুরু হয়। পরে এই নিয়ে আর্জেন্টিনার স্থানীয় পত্রিকাসহ আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশিত হয়।