চাঁদপুরে আইসিইউ স্থাপনের কাজ চলছে, বিভ্রান্তি না ছড়ানোর আহ্বান শিক্ষামন্ত্রীর

চাঁদপুরে আইসিইউ উদ্বোধন নিয়ে একটি বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেলে প্রতিবেদন প্রচারের পর বিভ্রান্তি তৈরি হয়েছে বলে জানিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি। এ নিয়ে বিভ্রান্তি না ছড়ানোর আহ্বান জানিয়ে তিনি তার ফেসবুক পেজে একটি ব্যাখ্যা দিয়েছেন।

দীপু মনি বলেন, চাঁদপুরে আইসিইউ স্থাপনের চেষ্টা করছি অনেকদিন থেকে। কিছুদিন আগে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় থেকে চাঁদপুর সদর হাসপাতালের জন্য চারটি আইসিইউ বেড পাওয়া যায়। আইসিইউ স্থাপনের জন্য জায়গা ঠিক করে ব্যবস্থা নেওয়া হয়। কিন্তু যখন বাক্স খুলে শুধু চারটি বেড, চারটি ম্যাট্রেস ও চারটি সাইড ক্যাবিনেট পাওয়া গেল তখন সবাই একটু অবাক হলাম। কারণ আইসিইউর জন্য প্রয়োজনীয় ভেন্টিলেটর, মনিটর, এবিজি মেশিনসহ অন্যান্য যন্ত্রপাতি ছাড়া কোনো আইসিইউ হতে পারে না।

শিক্ষামন্ত্রী আরও বলেন, স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে যোগাযোগ করেছি। তিনি আশ্বাস দিয়েছেন আইসিইউ এর জন্য অত্যাবশ্যকীয় যন্ত্রপাতি পাঠাবেন। জনবল দেবেন। সেন্ট্রাল লিকুইড অক্সিজেন প্লান্ট বসানোর কাজও প্রায় নব্বই শতাংশ হয়েছে। প্রয়োজনীয় যন্ত্রপাতি পেলে আইসিইউ চালু করা যাবে। উদ্বোধনের অপেক্ষায় কোন আইসিইউ বসে নেই।

চাঁদপুর সরকারি জেনারেল হাসপাতালের করোনা ফোকাল পার্সন ডা. সুজাউদ্দৌলা রুবেল বলেন, চাঁদপুর সদর হাসপাতালে আইসিইউ স্থাপনের কাজ চলছে প্রায় দেড় মাস ধরে। এখনো প্রায় ১০ ভাগ কাজ বাকি আছে। আইসিইউ ইউনিটে অক্সিজেন সংযোগের কাজ চলছে। এটি শেষ করতে আরও দুই সপ্তাহ সময় লাগতে পারে। তারপর হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের কাছে আইসিইউ হস্তান্তর করা হবে। তবে এ আইসিইউ এর জন্যে প্রয়োজনীয় জনবল ও অন্যান্য সরঞ্জাম এখনো দেওয়া হয়নি। তারপর উদ্বোধনের বিষয় আসবে। এর আগে নয়।

চাঁদপুর সিভিল সার্জন ডা. সাখাওয়াত উল্লাহ বলেন, আইসিইউ দরকার এমন রোগীদের আমরা কুমিল্লা বা ঢাকায় পাঠাচ্ছি। চাঁদপুর জেনারেল হাসপাতালে করোনা ইউনিটে ৪০ জন রোগী ভর্তি আছেন।