হবু স্বামীর নাম জানতে ‘বোবা কেক’
আজ থেকে প্রায় ৩০০ বছর আগে ১৭ থেকে ২০ শতকের মধ্যবর্তী সময়ে ইংল্যান্ড ও আমেরিকার নারীরা তাদের ভবিষ্যত স্বামীর নাম জানতে এক ধরনের কেক বানাতেন, যাকে বলা হতো বোবা বা (ডাম্ব) কেক।
বোবা কেক! এ আবার কেমন জিনিস? আসলে প্রাচীনকালের বিস্ময়কর রীতি-নীতির মতোই এটিও ছিল এক ধরনের আচার-অনুষ্ঠান। যেখানে ৩ জন নারী মিলে কাঁচ, প্রস্রাব ও নখের মতো অস্বস্তিকর উপাদানের সঙ্গে গম, পানি, লবণ, বার্লি ইত্যাদি মিশিয়ে তৈরি করতেন কেক। কখনো কখনো উপকরণ পরিমাপ করতে চামচের পরিবর্তে ব্যবহার করা হতো ডিমের খোসা।
ভবিষ্যৎ স্বামী সম্পর্কে জানতে আগ্রহী নারীকে এই কেক বানানোর সময় অবশ্যই পিনপতন নিরবতা পালন করতে হতো। তা না হলে, পুরো আয়োজনই বৃথা হবে বলে ধারনা করা হতো। নিঃশব্দে উপকরণগুলো প্যানে রাখার পর সেই নারীর নামের আদ্যক্ষরের চিহ্ন দিত। তারপর কেক বেক করা হয়ে গেলে সেটি ভেঙে ফেলতো।
এরপর সম্ভবত একটু খেয়ে বাকি অংশ বালিশের নিচে রেখে ঘুমাতে যেত। পুরো প্রক্রিয়াটি সঠিকভাবে সম্পন্ন করলে স্বপ্নে তাদের ভবিষ্যৎ স্বামীর দেখা পেতেন বলে বিশ্বাস করা হতো।
আরেকটি আচার অনুযায়ী ওভেনে কেকটি ঘুরিয়ে রাখলে মধ্যরাতে স্বামী এসে তার নামের আদ্যক্ষরের একটি চিহ্ন রেখে যাওয়ার মিথও বিশ্বাস করা হতো।
এই রীতির শুরু কোথায় তা জানা যায়নি। তবে অ্যাটলাস অবস্কুরা অনুযায়ী, ইতিহাসবিদ রুথ এন্ডা কেলি মনে করেন এটির উৎপত্তি স্কটিশ আইল অব লুইসে। এর সঙ্গে স্কটল্যান্ডের হাইল্যন্ডে শ্রোভ মঙ্গলবারে নোনতা রুটি তৈরির সম্পর্ক থাকারও সম্ভাবনা রয়েছে। যেখানে অ্যাশ বুধবারে স্বপ্নে সঙ্গীর দেখা পাওয়ার গল্প প্রচলিত আছে আগে থেকে।
রিপলি'স বিলিভ ইট অর নট থেকে অনুবাদ করেছেন আসরিফা সুলতানা রিয়া।