একটা ভিন্নতা আনার চেষ্টা করেছি: রাফাত খান

By জাহিদ আকবর
30 April 2017, 05:35 AM
UPDATED 30 April 2017, 11:43 AM

কিংবদন্তি কণ্ঠশিল্পী আবদুল আলীমের গাওয়া কালজয়ী গান ‘পরের জায়গা পরের জমি’ নিজের মতো করে গেয়েছেন নতুন প্রজন্মের কণ্ঠশিল্পী রাফাত খান। গানটার মিউজিক ভিডিও বেশ প্রশংসিত হচ্ছে শ্রোতাদের কাছে। নতুন আরেকটা গান নিয়ে পরিকল্পনা করছেন। সব নিয়ে কথা বলেছেন আনন্দধারার সঙ্গে...

আনন্দধারা : ‘পরের জায়গা পরের জমি’ গানটা নিয়ে কেমন সাড়া পাচ্ছেন?

রাফাত খান : মোটামুটি ভালো সাড়া পাচ্ছি। একজন নতুন কণ্ঠশিল্পী হিসেবে যতটা পাওয়ার কথা ততটা নিয়েই খুশি।

আনন্দধারা : এই গানটাকে  বেছে নেয়ার কোনো নির্দিষ্ট কারণ আছে কি?

রাফাত খান : এটা আমার খুবই প্রিয় একটা গান। গানটা আমাকে খুব টানত সবসময়। কিন্তু আমাদের এখানে সবাই গতানুগতিকভাবে গান হয়। আমরা কিন্তু সেটা করতে চাইনি। এখানে একটা গল্প রয়েছে। গানের কথা ও সুর ঠিক রেখে একটা ভিন্নতা আনার চেষ্টা করেছি।

আনন্দধারা : গানটা করার আগে যাদের গান তাদের কি বলা হয়েছে?

রাফাত খান : হ্যাঁ, তাদের বলা হয়েছে গানটা করার কথা।

আনন্দধারা : শুধু একটা গান করার পেছনে কারণটা কী?

রাফাত খান : একটা গান করলাম, তার কারণ মানুষ এখন একটা গানই মনোযোগ দিয়ে শোনে। মানুষ এখন সিডি কেনে না। সিডি বিক্রি হয় না। একটা গান করলে মানুষের মনোযোগ থাকে। পাঁচ-ছয়টা গান করতে যে খরচ হয়, সেখানে মানুষের মনোযোগটা ভাগাভাগি হয়ে যায়। তাই একটা গান ভালোভাবে করার চেষ্টা করেছি।

আনন্দধারা : এই যে এত টাকা ব্যয় করে এটা গান করা হলো, টাকাটা কীভাবে আসবে?

রাফাত খান : আমি যদি এই গানটা দিয়ে মানুষের কাছে সাড়া পাই। এমন না যে একেবারে স্টার হয়ে গেলাম। আমার গানটা যদি মানুষের ভালো লাগে, মিউজিকের সঙ্গে জড়িত মানুষদের ভালো লাগে তাহলে কোনো কোম্পানি এগিয়ে আসবে। এটা আমার পার্সোনাল ইনভেস্টমেন্ট। আমি যে পারি সেটা বোঝানো।

আনন্দধারা : এর আগে কি কোনো অ্যালবাম প্রকাশিত হয়েছে আপনার?

রাফাত খান : এর আগে ‘নীল জোছনা’ নামে আমার একটা অ্যালবাম প্রকাশিত হয়েছে জি সিরিজ থেকে। সেখানে ৯টা গান ছিল। তারপর এই ‘পরের জায়গা পরের জমি’ গানটা করলাম। গানটা দিয়ে ব্যবসা করতে চাইনি। মানুষকে শোনাতে চেয়েছি। সংগীতের অনেক মানুষ প্রশংসা করেছে। তার মধ্যে মিনার, বেলাল খান গানটা পছন্দ করেছেন।

আনন্দধারা : গানের সঙ্গে জড়িয়ে যাওয়া কীভাবে?

রাফাত খান : আমার দাদা ডাক্তার ছিলেন। আমার বাবা ড. শহীদুল ইসলাম খান- তারা দু’জনই মিউজিক পছন্দ করেন। আমার বাবার কাছেই গান শিখেছি। ছোটবেলা থেকে নজরুলগীতি আর উচ্চাঙ্গ সংগীত করতাম। শিশু একাডেমিতে পরপর অনেকবার চ্যাম্পিয়ন হয়েছি সংগীতে। কলেজে ওঠার পর নিজে গান লেখা, সুর করা, ব্যান্ডের সঙ্গে জড়িয়ে গেছি। এখন ধীরে ধীরে কাভার সংটা করলাম। পরের গানটা নিজের কথা ও সুরে করব।

আনন্দধারা : গান ছাড়া আর কী করা হয়?

রাফাত খান : বাংলাদেশ মেডিক্যাল কলেজ থেকে পাস করেছি। সোহরাওয়ার্দী  থেকে এক বছর একটা ট্রেনিং করেছি। এখন ইউনিভার্সেল মেডিক্যাল কলেজে মেডিক্যাল অফিসার হিসেবে আছি।

আনন্দধারা : গানে অনুপ্রেরণা কার?

রাফাত খান : বাপ্পা মজুমদার, তার গায়কী-কণ্ঠ ভালো লাগে। যেকোনো ভালো গান সেটা যে  কোনো দেশের হোক শুনি, অনুপ্রেরণা পাই।