“দুই বাংলার মাঝে সাংস্কৃতিক আদান-প্রদানের সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে”
‘তোমাদের যেখানে সাধ চ’লে যাও –/ আমি এই বাংলার পারে র’য়ে যাব’ এই স্লোগান নিয়ে আজ ঢাকায় শুরু হতে যাচ্ছে ‘প্রাঙ্গণেমোর দুই বাংলার নাট্যমেলা’।
বাংলাদেশ ও ভারতের নয়টি নাট্যদলের নাটক নিয়ে বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির জাতীয় নাট্যশালায় আয়োজিত নয় দিনব্যাপী এই নাট্যমেলায় প্রতিদিন নাটক শুরু হবে সন্ধ্যা ৭টায়।
ঢাকার নাট্যদল প্রাঙ্গণেমোরের আয়োজনে এই নাট্যমেলায় অংশ নেবে কলকাতার সংসৃতি, নিভা আর্টস, কল্যাণী নাট্যচর্চা কেন্দ্র ও নতুন দিল্লির গ্রীণরুম থিয়েটার।
নাট্যমেলায় আরও অংশ নিবে ঢাকার নাট্যদল নাগরিক নাট্যাঙ্গন, লোক নাট্যদল, থিয়েটার আর্ট ইউনিট, সুবচন নাট্য সংসদ ও আয়োজক প্রাঙ্গণেমোর।
প্রাঙ্গণেমোর-এর দল প্রধান অনন্ত হিরা দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, “সপ্তমবারের মতো আয়োজন করা হচ্ছে। ২০০৭ সালে শুরু হয়েছিল এই দ্বিবার্ষিক মেলা। আমরা বাংলা ভাষা-ভাষীদের নাট্যচর্চাটা সবার কাছে তুলে ধরতে চাই। এর ফলে বাংলাদেশ ও ভারতের পশ্চিম বাংলা তথা দুই বাংলার মাঝে সাংস্কৃতিক আদান-প্রদানের সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে।”
এক প্রশ্নের জবাবে হিরা বলেন, “আস্তে আস্তে মেলার পরিসর বড় হচ্ছে। আগে ভারত থেকে একটি দলকে আমন্ত্রণ করে আনা হতো, এবার চারটি দল আসছে। এদের মধ্যে আবার একটি দল আসছে দিল্লি থেকে। এ দলটি দিল্লিতে বাংলা নাট্য চর্চা করে থাকে। এরপর, আমরা ত্রিপুরার নাটক নিয়ে ভাববো।”
নাট্যমেলার গুণগত মানও বেড়েছে উল্লেখ করে প্রাঙ্গণেমোর দল প্রধান জানান, তাঁরা সবসময়ই দর্শকদের কাছে মানসম্পন্ন নাটক নিয়ে আসার চেষ্টা করেন।
“আমাদের সব আয়োজন দর্শকদের জন্য। তাঁরা টিকিট কেটে, সময় খরচ করে নাটক দেখেন। তাঁদের প্রতি আমরা শ্রদ্ধাশীল। আমরা দর্শক জরিপ করেছি। প্রায় ১০ হাজার দর্শকের ডাটা রয়েছে। তাঁরা মেলা উপলক্ষ্যে এসএমএস পাবেন।”
তিনি আরও বলেন, “প্রতি উৎসবের ভুল-ভ্রান্তিগুলো পরের উৎসবে শুধরে নেওয়ার চেষ্টা করি।”
এবারের নাট্যমেলার জন্য প্রকাশনা ও সাজসজ্জাও বেড়েছে। উৎসবের জন্য আলাদা সঙ্গীত, কোরিওগ্রাফি, শাড়ি-শার্ট ও অডিও-ভিজুয়্যাল ক্লিপ রয়েছে।
“বাংলা তথা বাংলার সংস্কৃতি টিকিয়ে রাখাটা একটা দীর্ঘ সংগ্রামের বিষয়। তবে আমরা এই সংগ্রামটা চালিয়ে যেতে চাই।”