রাজনৈতিক অস্থিরতা: বাংলাদেশের প্রবৃদ্ধির পূর্বাভাস কমালো এডিবি

By স্টার বিজনেস রিপোর্ট
25 September 2024, 06:26 AM
UPDATED 25 September 2024, 12:31 PM

গত জুলাই ও আগস্টে রাজনৈতিক অস্থিরতার কারণে বাণিজ্য বিঘ্নিত হওয়ায় চলতি অর্থবছরে বাংলাদেশের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি পাঁচ দশমিক এক শতাংশে নামিয়ে এনেছে এশীয় উন্নয়ন ব্যাংক (এডিবি)।

ম্যানিলাভিত্তিক বহুপাক্ষিক ঋণদাতা সংস্থাটি এর আগে পূর্বাভাসে বলেছিল, ২০২৪-২৫ অর্থবছরে বাংলাদেশে পণ্য ও সেবার সার্বিক উৎপাদন ছয় দশমিক ছয় শতাংশ হবে।

এডিবি বলছে, সাম্প্রতিক বন্যা বিবেচনায় নিয়ে চলতি অর্থবছরে বাংলাদেশের জিডিপি প্রবৃদ্ধির পূর্বাভাস কমানো হয়েছে। রাজস্ব ও আর্থিক নীতিগুলো কঠোর থাকবে বলে আশা করা হচ্ছে। ক্রয় ও বিনিয়োগ আরও কমাবে। নেতিবাচক ঝুঁকি থাকায় সামষ্টিক অর্থনীতির পূর্বাভাস অত্যন্ত অনিশ্চিত।

'প্রাথমিকভাবে এই ঝুঁকিগুলো চলমান রাজনৈতিক অস্থিতিশীলতা, ভঙ্গুর আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি ও আর্থিক খাতে দুর্বলতা থেকে সৃষ্টি হয়েছে।'

এডিবির সর্বশেষ পূর্বাভাস বিশ্বব্যাংকের দেওয়া গত জুনের পূর্বাভাসের তুলনায় কম। ২০২৪-২৫ অর্থবছরে বাংলাদেশের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি পাঁচ দশমিক সাত শতাংশ হবে বলে পূর্বাভাস দেওয়া হয়েছিল।

এডিবির পর্যবেক্ষণে বলা হয়েছে যে উচ্চ মূল্যস্ফীতি, কঠোর বৈশ্বিক আর্থিক পরিস্থিতি ও অন্যান্য সামষ্টিক অর্থনৈতিক চ্যালেঞ্জের কারণে চাহিদা কমানো হয়েছে।

সংস্থাটির ভাষ্য, পণ্য ও জ্বালানির দাম বেড়ে যাওয়া ও টাকার দাম কমে যাওয়ায় মূল্যস্ফীতি বেশি আছে। আমদানি-রপ্তানি কমে যাওয়ায় চলতি হিসাবের ঘাটতি কমেছে বলেও জানিয়েছে এডিবি।

সংস্থাটি আরও পূর্বাভাস দিয়েছে যে মূল্যস্ফীতি দুই অঙ্কে পৌঁছাতে পারে।

এডিবির দৃষ্টিতে, সামষ্টিক অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতা নির্ভর করবে রাজস্ব আদায় বাড়ানো, সুদ ও টাকার বিনিময় হার যথাযথ নীতির মাধ্যমে স্থিতিশীল করা ও অর্থনীতিতে বৈচিত্র্য আনতে দ্রুত সংস্কারের ওপর।

ক্রমাগত মুদ্রাস্ফীতি, বৈদেশিক হিসাবের ওপর অব্যাহত চাপ, আমদানি কমানো ও বেসরকারি বিনিয়োগের ধীরগতির মধ্যে বাংলাদেশ গত দুই অর্থবছরে ছয় শতাংশের নিচে প্রবৃদ্ধি অর্জন করেছে। ২০২২-২৩ অর্থবছরে তা ছিল পাঁচ দশমিক ৭৮ শতাংশ ও ২০২৩-২৪ অর্থবছরে পাঁচ দশমিক ৮২ শতাংশ।

বিগত সরকার ২০২৪-২৫ অর্থবছরে জিডিপি প্রবৃদ্ধি ছয় দশমিক ৭৫ শতাংশ ধরেছিল। অর্থনীতিবিদরা চলমান চ্যালেঞ্জের পরিপ্রেক্ষিতে একে 'উচ্চাভিলাষী' হিসাবে আখ্যা দিয়েছিলেন।