১০ ঘণ্টায়ও উদ্ধার হয়নি ৩০ ফুট গভীর গর্তে পড়ে যাওয়া শিশুটি

By নিজস্ব প্রতিবেদক, রাজশাহী
10 December 2025, 17:44 PM
UPDATED 11 December 2025, 00:03 AM

রাজশাহীর তানোর উপজেলায় পরিত্যক্ত গভীর নলকূপের প্রায় ৩০ ফুট গভীরে পড়ে যাওয়ার ১০ ঘণ্টা পার হলেও শিশুটিকে এখনো উদ্ধার করা যায়নি।

রাত ১০টা ৫০ মিনিট পর্যন্ত উদ্ধারকর্মীরা মাটির নিচে প্রায় ১৮ থেকে ২০ ফুট পর্যন্ত খনন করতে পেরেছেন বলে জানিয়েছেন তানোর ফায়ার সার্ভিস কর্মকর্তা আব্দুর রউফ।

তিনি বলেন, 'ফায়ার সার্ভিসের তিনটি ইউনিট শিশুটিকে উদ্ধারের চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। শিশুটিকে সুস্থ ও অক্ষত অবস্থায় উদ্ধারের সর্বোচ্চ চেষ্টা করা হচ্ছে।'

'বিকেল ৫টা ৩০ মিনিট থেকে একটি এক্সক্যাভেটর গর্তের পাশেই সমান্তরাল আরেকটি পথ খুঁড়ছে এবং দুটি ট্র্যাক্টর মাটি সরাচ্ছে। শিশুটিকে বাঁচিয়ে রাখতে গর্তের ভেতরে নিয়মিত অক্সিজেন সরবরাহ করা হচ্ছে,' বলেন তিনি।

পুলিশ জানায়, দুপুরের দিকে মাটি বোঝাই একটি ট্রলি হঠাৎ সেখানে দেবে যায়। এ ঘটনা দেখতে রুনা খাতুন তার ছেলে সাজিদকে নিয়ে মাঠে যান। হাঁটার সময় সাজিদ হঠাৎ 'মা' বলে চিৎকার করে ওঠে। তখন পেছনে ফিরে রুনা খাতুন বুঝতে পারেন ছেলে গর্তে পড়ে গেছে। কিছুক্ষণ পর তিনি নিচ থেকে আস্তে আস্তে 'মা, মা' ডাক শুনতে পান।

রুনা খাতুন বলেন, 'গর্তটির মুখ খড় দিয়ে ঢাকা ছিল। আমরা কেউই লুকানো গর্তটি দেখতে পাইনি।'

তানোর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শাহিনুজ্জামান বলেন, 'দুপুর ১টার দিকে দুই বছরের একটি শিশু খুবই সরু পরিত্যক্ত একটি গর্তে পড়ে যায়। উদ্ধার অভিযান চলছে। সংবাদ পেয়ে ফায়ার সার্ভিস ঘটনাস্থলে এসে স্থানীয়দের সহযোগিতায় খনন কাজ শুরু করে।'

স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, কোয়েলহাট গ্রামে ভূগর্ভস্থ পানির স্তর অনেক কমে গেছে। গ্রামের একজন বাসিন্দা পানির স্তর পরীক্ষা করতে গর্তটি করেছিলেন এবং পরে সেটি ভরাট করেন। কিন্তু বৃষ্টিতে মাটি বসে গিয়ে পুরনো গর্তটি আবার বের হয়ে আসে।

এদিকে আশপাশের এলাকা থেকে এসে উদ্ধার অভিযান দেখছেন এবং শিশুটির সুস্থতার জন্য দোয়া করছেন। তারা আতঙ্ক ও অনিশ্চয়তা নিয়ে সেখানে অপেক্ষা করছেন।

ভিড় নিয়ন্ত্রণে রাখতে পুলিশ দড়ি দিয়ে এলাকা ঘিরে রেখেছে বলে জানান ওসি।

এই প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত উদ্ধার অভিযান চলছি।