মনোনয়ন পুনর্বিবেচনার দাবিতে গোপালগঞ্জে ৩ বিএনপি নেতার শোডাউন
গোপালগঞ্জ-২ আসনে দলীয় মনোনয়ন পুনর্বিবেচনার দাবিতে শোডাউন করেছেন মনোনয়নবঞ্চিত তিন বিএনপি নেতা।
আজ বৃহস্পতিবার সকাল ১১টার দিকে গোপালগঞ্জ শহরের গেটপাড়া সড়ক ভবনের সামনে থেকে মোটরসাইকেল-গাড়ির দীর্ঘ শোভাযাত্রা নিয়ে তারা এ শোডাউন করেন।
মনোনয়ন বঞ্চিত পাঁচ প্রার্থী—জেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি ও সাবেক সংসদ সদস্য এফ ই শরফুজ্জামান জাহাঙ্গীর, সাবেক সভাপতি ও সাবেক এমপি এম এইচ খান মঞ্জু, জেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি এম সিরাজুল ইসলাম সিরাজ, কেন্দ্রীয় ছাত্রদলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক তৌহিদুর রহমান তাজ ও স্বেচ্ছাসেবক দলের কেন্দ্রীয় কমিটির সহ-সভাপতি সরদার নুরুজ্জামানের ব্যানারে শোডাউনের আয়োজন করা হয়।
তবে এতে অংশ নেন এম এইচ খান মঞ্জু, সিরাজুল ইসলাম সিরাজ ও তৌহিদুর রহমান তাজ।
শোডাউনে প্রায় পাঁচ শতাধিক মোটরসাইকেল, ২৫–৩০টি মাইক্রোবাস ও কয়েকটি ট্রাক অংশ নেয় বলে স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে।
এর আগে, গত ৩ নভেম্বর বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ২৩৭টি আসনে দলীয় মনোনয়ন ঘোষণা করেন। গোপালগঞ্জ-২ আসনে জেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির সদস্য ডা. কে এম বাবর আলীকে প্রাথমিক মনোনয়ন দেওয়া হয়।
মনোনয়ন ঘোষণার ২৪ দিন পর বঞ্চিত ৫ জনের ব্যানারে শোডাউন করলেন তিন প্রার্থী। তারা প্রার্থী ঘোষণার সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনার দাবি জানান।
শোডাউনে এম এইচ খান মঞ্জু বলেন, 'আমরা ৫ প্রার্থী একত্রিত হয়ে গোপালগঞ্জ-২ আসনের মনোনয়ন পুনর্বিবেচনার জন্য তারেক রহমানের কাছে আবেদন করছি। প্রাথমিক মনোনয়ন পাওয়া ডা. বাবর জনবিচ্ছিন্ন ও অজনপ্রিয়। তার পক্ষে ধানের শীষের বিজয় আনা সম্ভব নয়। পাঁচজনের মধ্যে যাকে মনোনয়ন দেওয়া হবে আমরা তার পক্ষেই কাজ করব।'
এম সিরাজুল ইসলাম সিরাজ বলেন, 'আমাদের রক্ত ও ত্যাগের ভিত্তিতেই গোপালগঞ্জে বিএনপি টিকে আছে। আমরা বছরের পর বছর ঘরছাড়া হয়ে থেকেছি। অথচ যাকে মনোনয়ন দেওয়া হয়েছে তার নামে কোনো মামলা নেই।'
আরেক মনোনয়নপ্রত্যাশী তৌহিদুর রহমান তাজ বলেন, 'গোপালগঞ্জ-২ আসনে আমরা ছয়জন মনোনয়ন প্রত্যাশী ছিলাম। এখনো তালিকা চূড়ান্ত নয়—বিভিন্ন জেলায় পরিবর্তনের সুযোগ আছে। ঘোষিত প্রার্থীকে কেন্দ্র করে নেতাকর্মীদের মধ্যে হতাশা তৈরি হয়েছে। তাকে বাদ দিয়ে অন্য কাউকে মনোনয়ন দিলে গোপালগঞ্জে জাতীয়তাবাদী দলের ভিত্তি আরও শক্তিশালী হবে।'