‘সমিতি-সমিতি খেলা না কমলে সিনেমার কোনো উন্নতি হবে না’

জাহিদ আকবর
জাহিদ আকবর
11 December 2019, 07:38 AM
UPDATED 11 December 2019, 13:59 PM

বাংলা সিনেমার অন্যতম নায়ক শাকিব খান চতুর্থবারের মতো ‘জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার’ পেলেন। ‘সত্তা’ সিনেমার জন্য যৌথভাবে তিনি ‘শ্রেষ্ঠ অভিনেতা’ নির্বাচিত হয়েছিলেন। বর্তমানে ‘বীর’ নামে নতুন ছবির শুটিংয়ে ব্যস্ততার মাঝেই আজ (১১ ডিসেম্বর) পশ্চিমবঙ্গের একটি ক্লাবের আয়োজনে দুঃস্থ ও অনাথ শিশুদের সাহায্যের জন্য পারফর্ম করবেন শাকিব খান ও কলকাতার শ্রবান্তী। তার আগে তিনি মুঠোফোনে কথা বলেন দ্য ডেইলি স্টার অনলাইনের সঙ্গে।

চতুর্থবারের মতো এর মতো ‘শ্রেষ্ঠ অভিনেতা’র পুরস্কার’ পেলেন। সবমিলিয়ে কেমন লাগে বিষয়টি?

পুরস্কার ঘোষণার পর থেকে কিছুটা বিতর্ক ছিলো। সবকিছু এড়িয়ে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর হাত থেকে পুরস্কার নেওয়াটা এটা বড় ব্যাপার। বছরের একটা দিন চলচ্চিত্রের মানুষদের তিনি সময় দেন। নিজে এসে পুরস্কার হাতে তুলে দেন, কুশল বিনিময় করেন- এটিই ভালো লাগার বিষয়।

যৌথভাবে পুরস্কার পেয়েছেন- আপনার প্রতিক্রিয়া কী?

যৌথভাবে ঘোষণা দেওয়া নিয়েও প্রথমে আমার খারাপ লেগেছিলো। আরিফিন শুভ আমার সঙ্গে প্রথম এই পুরস্কার পেলেন। এখানে খারাপের কিছু নেই। আমার তো আর হারানোর কিছু নেই। কিছু বিতর্কের জন্য ভেবেছিলাম পুরস্কারটি নিবো না। কিন্তু, পুরস্কার না নিলে প্রধানমন্ত্রীকে অসম্মান করা হতো।

এতো খ্যাতি-অর্জন আপনার জীবনে, কোনো অপ্রাপ্তি আছে কি?

জীবনে অনেক সম্মান-প্রাপ্তি বাকি আছে। আমি যে স্বপ্নের পথটি দেখি সেদিকে চলা এখনো শুরু করিনি। স্বপ্নের রাস্তার দ্বারপ্রান্তে দাঁড়িয়ে আছি। এখনও বহু পথ আমাকে পাড়ি দিতে হবে।

শোনা যাচ্ছে ‘ম্যাগনেট’ নামে একটি সিনেমা করবেন। কবে থেকে এই ছবির শুটিং শুরু করবেন?

এটি একেবারে ভুয়া খবর। আমি এর কিছুই জানি না। এই নামে কোনো সিনেমা করছি না। এই পরিচালক একবার এসেছিলেন আমার কাছে। আমাকে নিয়ে সিনেমা বানাবেন এটি অনেকে ভাবতেই পারেন। করবো কী না সেটি আমার ব্যাপার।

‘বীর’ সিনেমার খবর কী?

এখন ‘বীর’র কাজ করছি। মৌলিক গল্পের সিনেমা। ইতোমধ্যে ৫০ শতাংশ কাজ হয়েছে। টানা শুটিং করছি। এটি একটি দেশাত্মবোধক সিনেমা। বঙ্গবন্ধুর জন্ম শতবার্ষিকীর বছর মুক্তি পাবে ‘বীর’। ছবিটি তাকে উৎসর্গ করতে চাই।

যৌথ প্রযোজনার সিনেমায় দর্শক আপনাকে দেখতে চায়…

একটা সময় ছিলো যখন সিনেমা হলে মধ্যবিত্ত, নিম্নবিত্তের পাশাপাশি উচ্চবিত্ত দর্শকরাও আসতেন। অশ্লীলতা চিত্রজগতকে গ্রাস করলে তারা মুখ ফিরিয়ে নেন। যৌথ প্রযোজনার সিনেমাগুলো মুক্তির সময় রুচিশীল দর্শক আবার হলে আসতে শুরু করেছেন। নিয়মনীতির ফাঁদে আটকে পড়ায় যৌথ প্রযোজনার প্রায় কাজ বন্ধ হয়ে গেছে। তাই তারা আবার হলবিমুখ হয়েছেন। ব্যক্তি আক্রোশ থেকে ঈর্ষান্বিত হয়ে এটি করা হয়েছে। যাদের হাতে কাজ নেই তারা এখন আমাকে তাদের উপলব্ধির কথা জানিয়ে অনুতপ্ত হচ্ছেন। ইন্ডাস্ট্রিতে যে সমিতি-সমিতি খেলা চলছে সেগুলো না কমলে সিনেমার কোনো উন্নতি হবে না।