পুতিন সমালোচক নাভালনি চিকিৎসার জন্য জার্মানিতে

By স্টার অনলাইন ডেস্ক
22 August 2020, 13:34 PM
UPDATED 22 August 2020, 20:49 PM

রাশিয়ার বিরোধীদলীয় নেতা ও রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের কট্টর সমালোচক আলেক্সি নাভালনিকে সাইবেরিয়া থেকে জার্মানিতে নেওয়া হয়েছে।

বিবিসি জানায়, শনিবার, জার্মানির এনজিও ‘সিনেমা ফর পিস’এর উদ্যোগে একটি মেডিকেল ফ্লাইটে বার্লিনের তেগেল বিমানবন্দরে পৌঁছেছেন নাভালনি। সেখানে তাকে চ্যারিটি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

গত বুধবার চা পান করার পর তিনি অসুস্থ হয়ে পড়েন। নাভালনির শরীরে বিষপ্রয়োগ করা হয়েছে বলে ধারণা করছেন সমর্থকরা।

বৃহস্পতিবার ওমস্ক হাসপাতালে নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে ভেন্টিলেশনে ছিলেন নাভালনি।

শুক্রবার, ওমস্কের চিকিত্সকরা নাভালনি মারাত্মক অসুস্থ থাকায় তাকে অন্য কোথাও নেওয়া যাবে না বলে জানান। তবে, এর এক দিন পরই তারা মেডিকেল ফ্লাইটে জার্মানি যাওয়ার জন্য তার অবস্থা যথেষ্ট স্থিতিশীল বলে জানিয়েছেন।

নাভালনির স্ত্রী ইউলিয়া তার সঙ্গে জার্মানিতে গেছেন।

সিনেমা ফর পিস ফাউন্ডেশনের প্রতিষ্ঠাতা, কর্মী ও চলচ্চিত্র নির্মাতা জাকা বিজিল হাসপাতালের বাইরে সাংবাদিকদের জানান, নাভালনির অবস্থা অত্যন্ত উদ্বেগজনক'।

তিনি বলেন, ‘তিনি (নাভালনি) বেঁচে থাকবেন কিনা সেটিই প্রশ্ন না, বেঁচে থাকার পরেও তিনি পুরোপুরি স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরে আসবেন কিনা সেটাই এখন প্রশ্ন।'

শনিবার সকালে নাভালনির মুখপাত্র কিরা ইয়ারমিস এক টুইটে বলেন, সহযোগিতার জন্য সবাইকে ধন্যবাদ। আলেক্সির জীবন ও স্বাস্থ্যের লড়াই কেবল শুরু হলো।’

ইয়ারমিস আরও জানান, এটি অত্যন্ত দুঃখের বিষয় যে তাকে ফ্লাইটে যেতে অনুমতি দেওয়ার ক্ষেত্রে চিকিৎসকরা অনেক সময় নিয়েছিলেন। শুক্রবার সকাল থেকেই সব কাগজপত্র প্রস্তুত ছিল।

বুধবার সকালে উড়োজাহাজে করে সাইবেরিয়ার টমস্ক থেকে মস্কো ফেরার পথে হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়েন নাভালনি। উড়োজাহাজটি জরুরি অবতরণ করে নাভালনিকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।

ইয়ারমিশ সেসময় বলেন, ‘আমাদের ধারণা, আলেক্সির চায়ের সঙ্গে বিষাক্ত কিছু মেশানো হয়েছে। সকালে তিনি শুধু এটাই পান করেছিলেন।’

৪৪ বছর বয়সী আইনজীবী ও দুর্নীতিবিরোধী আন্দোলনকারী আলেক্সি নাভালনি ক্রেমলিনবিরোধী বিক্ষোভ সমাবেশ করার জন্য সাম্প্রতিক বছরগুলোতে বেশ কয়েকবার কারাবরণ করেন।

আগামী মাসে রাশিয়ার আঞ্চলিক নির্বাচনে নাভালনি ও তার মিত্ররা সমর্থিত প্রার্থীদের প্রচারণায় কাজ করছিলেন।