আমি কোনো সিনেমায় চুক্তিবদ্ধ হইনি: মেহজাবীন

By সাদী মোহাম্মদ শাহনেওয়াজ
19 September 2020, 12:55 PM
UPDATED 19 September 2020, 20:21 PM

মেহজাবীন চৌধুরী দীর্ঘদিন ধরে ছোটপর্দায় নানামুখী চরিত্রে অভিনয় করে নিজের দক্ষতার প্রমাণ দিয়েছেন। দর্শকের কাছে একজন সুঅভিনেত্রী হিসেবে পরিচিতি তৈরি করেছেন। তবে, এই অভিনেত্রীকে এখনো পর্যন্ত রূপালি পর্দায় দেখা যায়নি। নানান সময়ে তিনি সিনেমা নিয়ে নিজের মতামত জানিয়েছেন। বর্তমানে মিডিয়াপাড়ায় তার সিনেমায় প্রথম চুক্তি নিয়ে অনেক আলোচনা চলছে। একটি সংবাদমাধ্যমে তার প্রথম সিনেমায় চুক্তিবদ্ধ হওয়ার সংবাদ প্রকাশ পেয়েছে। এ বিষয়টি নিয়ে দ্য ডেইলি স্টারের সঙ্গে কথা বলেছেন এই অভিনেত্রী।

একটি সংবাদ মাধ্যমে খবর প্রকাশিত হয়েছে- শিহাব শাহীন পরিচালিত ‘জায়া’ আপনার অভিনীত প্রথম সিনেমা হতে যাচ্ছে। এই বিষয়ে আপনার মন্তব্য কী?

বাংলাদেশে ৪০-৫০ মিনিটের একটি নাটককে ‘একক নাটক’ বলা হয়ে থাকে। আর সেটা যদি ৫০ মিনিটের বেশি হয় তাকে ‘টেলিফিল্ম’ বলা হয়। যা একটি পূর্ণাঙ্গ সিনেমা থেকে সম্পূর্ণ আলাদা। শিহাব শাহীন পরিচালিত ‘জায়া’ হলো টেলিফিল্ম। এটি একটি ওয়েব প্লাটফর্মের জন্য নির্মাণ করা হচ্ছে। তাই এটিকে ওয়েব ফিল্ম বলা যেতে পারে। কিন্তু, তা চলচ্চিত্র নয়।

উদাহরণ হিসেবে বলেতে পারি- মিজানুর রহমান আরিয়ান পরিচালিত ‘তুমি আমারি’তে আমি অভিনয় করেছি। যা ছিল একটি বিশেষ ওয়েব প্রজেক্ট এবং ওটিটি প্লাটফর্মের জন্য নির্মিত হয়েছে। এটিকে সিনেমা বলা যাবে না। কারণ এটি ওয়েবে প্রকাশিত হয়েছে। তাই একে ওয়েব ফিল্মই বলতে হবে।

আমাদের দেশে ওয়েবের জন্য কোনো কনটেন্ট নির্মাণ আর চলচ্চিত্র নির্মাণ দৃষ্টিভঙ্গির জায়গা থেকে একটি বিষয় অপরটি থেকে অনেক অনেক দূরে। সুতরাং, সংবাদটি পুরোপুরি ভুলভাবে উপস্থাপন করা হয়েছে। পরিস্থিতি আমার জন্য কিছুটা বিব্রতকর হয়ে উঠেছে। কারণ ভুল সংবাদ প্রকাশের পর ভক্তরা আমাকে  সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে অভিনন্দন জানাচ্ছেন। মূল কথা হচ্ছে, আমি কোনো সিনেমার জন্য চুক্তিবদ্ধ হইনি।

সিনেমার সংজ্ঞা অবিচ্ছিন্নভাবে পরিবর্তিত হচ্ছে এবং অনেকে অনলাইন প্রজেক্টগুলোকে শিল্পের ভবিষ্যৎ হিসেবে দেখছেন। আপনার কি মনে হয় এটাই বিভ্রান্তির কারণ?

বিশ্বব্যাপী অনেক দেশে অনেক শব্দ ব্যবহৃত হয়। কিন্তু, আমাদের দেশে সেসব শব্দগুলো প্রায়ই ভুলভাবে বোঝা হয়। উদাহরণস্বরূপ, যদি কোনো আন্তর্জাতিক অনলাইন প্ল্যাটফর্ম কোনো প্রজেক্টকে মুভি হিসেবে শ্রেণীবদ্ধ করে, তখন সেটি সিনেমা হিসেবেই নির্মাণ করা হয়। পরে তা সিনেমা হল ও ওয়েব প্লাটফর্ম দুই জায়গাতেই প্রদর্শিত হতে পারে। কারণ, মুভিটির মূল দৈর্ঘ্য একই থাকে। কোয়ালিটিও ঠিক থাকে।

প্রত্যেক অভিনয়শিল্পীর জীবনে প্রথম সিনেমা নিয়ে অনেক বড় স্বপ্ন ও প্রত্যাশা থাকে। আপনি কীভাবে আপনার রূপালি পর্দায় অভিষেকের বিষয়টি নিয়ে স্বপ্ন দেখেন?

টেলিভিশনে আমরা যে ধরনের কাজ করি তা অনেক সীমাবদ্ধতার মধ্যে দিয়ে করতে হয়। আমার অভিনীত প্রথম সিনেমাতে এমন একটি চরিত্রে অভিনয় করতে চাই, যেখানে একজন নারীর জীবনসংগ্রামকে গভীরভাবে ফুটিয়ে তোলা হবে। আর সে কাজে মৌলিকতা থাকবে।

আপনার বর্তমান ব্যস্ততা নিয়ে বলুন-

অনেকগুলো ভালো গল্পের নাটকে চুক্তিবদ্ধ হয়েছি। করোনা মহামারির কারণে বেশিরভাগেরই শুটিং শুরু করতে পারিনি। সম্প্রতি শুটিং শুরুর পরে আমরা বুঝতে পেরেছি কেবল অভিনেতা কিংবা ক্রুদের ঝুঁকির মধ্যে ফেলছে না। যারা আমাদের  শুটিং দেখতে আসেন তাদেরও ঝুঁকিতে ফেলছে। সেই সময়ের অপেক্ষায় আছি যখন ঝুঁকি কমে যাবে। আর যে ধরনের কাজ করতে ভালোবাসি, সেগুলোই করতে পারব।