বৃদ্ধকে ঘুষি মেরে হত্যা: উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান কারাগারে

By নিজস্ব সংবাদদাতা, কুষ্টিয়া
17 April 2021, 11:07 AM
UPDATED 17 April 2021, 17:09 PM

আশি বছরের এক বৃদ্ধকে ঘুষি দিয়ে হত্যার মামলায় অভিযুক্ত দামুড়হুদা উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান ও আওয়ামী লীগ নেতা শহিদুল ইসলামকে কারাগারে পাঠিয়েছেন আদালত।

পুলিশ আজ দুপুরে শহিদুলকে চুয়াডাঙ্গার জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে হাজির করলে বিচারক তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।

স্থানীয় প্রভাবশালী নেতা হিসেবে পরিচিত শহিদুল দামুড়হুদা সদর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি। শুক্রবার রাতে তার বিরুদ্ধে হত্যা মামলা দায়ের করা হয়।

দামুড়হুদা মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল খালেক জানান, নিহত ইসরাফিল মণ্ডলের নাতি আলামিন হোসেন মামলা করেছেন। ইসরাফিলের সঙ্গে আলামিনকেও সেদিন বেধড়ক মার দেন শহিদুল। মামলায় শহিদুলের সঙ্গে নজরুল, ওহাব, লিয়াকত ও আসকারকে আসামি করা হয়েছে।

নিহত ইসরাফিলের বাড়ি দামুড়হুদার পীরকুল্লা গ্রামে।

মামলার বিবরণে জানা যায়, জমি নিয়ে বিরোধের ঘটনায় থানায় অভিযোগ করেছিলেন ইসরাফিল। প্রতিপক্ষও পাল্টা অভিযোগ করে। উভয়পক্ষকে থানায় নিয়ে বিরোধ মীমাংসার উদ্যোগ নিয়েছিলেন ওসি আব্দুল খালেক।

জমির কাগজপত্র যাচাই-বাছাই শেষে শুক্রবার মীমাংসার ফল ইসরাফিলের পক্ষে যায়। কিন্তু শহিদুল এতে হস্তক্ষেপ করেন। থানা থেকে বেরিয়ে আসার সময় প্রতিপক্ষের নজরুল, ওহাব ও লিয়াকত ইসরাফিলের সঙ্গে দুর্ব্যবহার করেন।

ইসরাফিলের চাচাতো ভাই নস্কর আলী মোল্লা দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, ‘একপর্যায়ে ভাইস চেয়ারম্যান শহিদুল মীমাংসার ব্যাপারে তার সিদ্ধান্ত মেনে নিতে ইসরাফিলকে চাপ দেন। প্রতিবাদ করায় ইসরাফিলকে ঘুষি মারেন শহিদুল। ইসরাফিল রাস্তার ওপর পড়ে যান। তাকে উদ্ধার করে দামুড়হুদা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হলে জরুরি বিভাগের চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।’

ওই রাতেই নিহতের মরদেহ উদ্ধার করে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয় এবং শহিদুলকে আটক করা হয়।

আরও পড়ুন: 

উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যানের ঘুষিতে প্রাণ গেল বৃদ্ধের