মামদানির জয় থেকে শিক্ষা: ভোটারদের রাজনীতির কেন্দ্রে আনুন
বাকি সব ভুলে যান, কেবল নিউইয়র্ক সিটির মেয়র হিসেবে জোহরান মামদানির নির্বাচিত হওয়াটাই ভোটারদের 'ইচ্ছাশক্তি'র যথাযথ প্রমাণ। নিউইয়র্কের প্রায় সব সংগঠিত শক্তিই তার বিপক্ষে ছিল। কিন্তু মামদানির পাশে ছিল 'জনতার শক্তি'। এটাই একমাত্র স্বীকৃত গণতান্ত্রিক শক্তি। যদি নির্বাচনযন্ত্র প্রশাসনের প্রভাবমুক্ত থাকে, তাহলে ভোটাররা অন্য সব শক্তিকে পরাজিত করতে পারে।
প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প প্রকাশ্যে মামদানির বিরোধিতা করেছেন। রিপাবলিকান পার্টি, এমনকি ডেমোক্র্যাটিক পার্টির শীর্ষ নেতারা (ক্লিনটন মামদানির প্রতিদ্বন্দ্বীকে সমর্থন করেছিলেন) তার বিপক্ষে ছিল, উচ্চবিত্তরা তার বিপক্ষে কোটি কোটি ডলার ঢেলেছে। তবুও শেষ পর্যন্ত মামদানিই জয় পেয়েছেন। জিতে গেছেন ভোটাররা। বিজয়ী হয়েছে গণতন্ত্র।
সবচেয়ে বড় কথা, এই নির্বাচন ভেঙে দিয়েছে দরিদ্রদের অসহায়ত্ব, মধ্যবিত্তদের হীনমন্যতা ও বঞ্চিতদের সেই মানসিক বাধা—যে অভিজাতদের কখনো হারানো যায় না। যুক্তরাষ্ট্রের গণতান্ত্রিক ভাবমূর্তি পুনরুদ্ধারে এই নির্বাচনের মতো শক্তিশালী বার্তা আর কিছুই হতে পারত না। এই নির্বাচন ভোটের শক্তি, ঐক্যবদ্ধ ভোটারদের ক্ষমতা ও জনগণের প্রজ্ঞার প্রতি নতুন আস্থা এনেছে। নিউইয়র্কের অধিকাংশ নাগরিক যুক্তরাষ্ট্রের বর্তমান রাজনৈতিক প্রবণতার সব ধারণাকেই চূর্ণ-বিচূর্ণ করে দিয়েছে।
মামদানি নিঃসন্দেহে অসাধারণ বক্তা, তার নির্বাচনী প্রচারণাও ছিল অনন্য। কিন্তু আসল বিষয় ছিল—তিনি জনগণের মনোভাব বুঝতে পেরেছিলেন এবং তা কার্যকরভাবে প্রকাশ করেছিলেন। ফলে ভোটাররা তার প্রতি আস্থা রেখেছেন। এর সবই অর্থহীন হয়ে যেত, যদি ভোটারদের মধ্যে তাদের মতামত প্রকাশের সেই সাহস, দৃঢ়তা ও শক্তি না থাকত—যা তারা রেকর্ড সংখ্যক ভোট দিয়ে প্রমাণ করেছেন।
আমাদের নির্বাচন মামদানির নির্বাচনের মতো শাসক শ্রেণিকে নাড়িয়ে দেওয়ার অর্থে হয়তো এক নয়, কিন্তু গণতন্ত্রে ফিরে আসার অর্থে একই রকম গুরুত্বপূর্ণ। আমরা আবারও আশা করছি, আমরা এমন এক প্রাণবন্ত সংসদের দোরগোড়ায়, যেখানে সরকার ও ক্ষমতাসীন দলকে জবাবদিহিতার আওতায় আনা সম্ভব হবে; যেখানে আমলাতন্ত্র 'প্রভু' নয়, 'সেবক' হিসেবে কাজ করবে; যেখানে পুলিশ আইন প্রয়োগ করবে, 'আইনের ঊর্ধ্বে' থাকবে না।
আমাদের মতে, এই নির্বাচন নিয়ে সবার প্রত্যাশা একটি শব্দেই ধারণ করা যায়—জবাবদিহিতা প্রতিষ্ঠা। এত বছর ধরে আমরা জবাবদিহিতা দেখিনি। শেষ পর্যন্ত আমাদের কাছে নির্বাচন আসছে দীর্ঘ ১৭ বছর পর এবং আশা করি এটি অবাধ ও সুষ্ঠু হবে।
নিউইয়র্ক সিটির মেয়র নির্বাচন থেকে আমাদের শেখার অনেক কিছু আছে। অনেকেই হয়তো বলবেন যে দুটির প্রেক্ষাপট ভিন্ন। একটি যুক্তরাষ্ট্রে, অন্যটি বাংলাদেশে। কিন্তু এই ভিন্নতা কেবল বাহ্যিক। আসল সাদৃশ্য রয়েছে ক্ষমতাকে জবাবদিহির আওতায় আনার মধ্যে। আর এখানেই মূল শিক্ষা—কীভাবে ভোটারদের হৃদয়ে পৌঁছাতে হয়, তাদের আস্থা অর্জন করতে হয়, তাদের উজ্জীবিত করে পাশে দাঁড় করাতে হয়। মামদানির জন্য কাজ করেছেন ৫০ হাজারেরও বেশি স্বেচ্ছাসেবক—যাদের অধিকাংশই তরুণ। ভোটাররা তার প্রতি এমন গভীর আস্থা রেখেছিল যে, সব ঝুঁকি নিতে প্রস্তুত ছিল। তারা পিছু হটেনি।
বাংলাদেশি ভোটারদের কি এমন সুযোগ দেওয়া হবে? চ্যালেঞ্জ শুধু তাদের কাছে পৌঁছানো নয়, বরং তাদের ক্ষমতায়ন। জনগণের মতামতই যে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ, এই আত্মবিশ্বাস তাদের দেওয়াটা জরুরি। মামদানি তার নির্বাচনী কৌশল ব্যাখ্যা করে বলেছেন, সাধারণত রাজনীতিবিদরা ভোটারদের কাছে যান তাদের পরিকল্পনা জানাতে এবং বলেন, তাতে জনগণের কী উপকার হবে। কিন্তু মামদানি উল্টো পথে হেঁটেছেন। তিনি জানতে চেয়েছিলেন জনগণ কী চায়। মামদানি বলেছিলেন, 'সবাই বলেছে, তারা চায় নিউইয়র্ক শহর যেন তাদের জন্য সাশ্রয়ী হয়। তাই আমরা আমাদের প্রচারণা চালিয়েছি জীবনযাত্রার খরচ কমানোর লক্ষ্যকে সামনে রেখে।' বাংলাদেশে আমাদের রাজনীতিবিদরা কি কখনো ভোটারদের জিজ্ঞেস করেন, তারা কী চান? এবার তারা কী করবেন?
আমরা আশা করেছিলাম, জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের আট মাসের সংলাপ শেষে সব রাজনৈতিক দলের মধ্যে একটি শক্তিশালী ঐকমত্য গড়ে উঠবে অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন আয়োজনের লক্ষ্যে। কিন্তু এটা আমাদের প্রত্যাশা ছিল না যে, তারা নানা শর্ত জুড়ে দেবে এবং সেখানে হুমকিও থাকবে। আমাদের দাবি না মানলে নির্বাচনই হবে না, এমন কথা কীভাবে বলতে পারে? এটা কি ভোটারদের প্রতি সম্মান দেখানো হলো? হতাশার বিষয় হলো, শেখ হাসিনা চলে গেছেন, কিন্তু জনগণের ওপর দলীয় এজেন্ডা চাপিয়ে দেওয়ার যে রাজনৈতিক সংস্কৃতি, তা এখনো রয়ে গেছে। যতদূর জানি, কোনো রাজনৈতিক দলই এখন পর্যন্ত জনগণের প্রত্যাশা জানার ইচ্ছা নিয়ে জনমত জরিপের নূন্যতম প্রচেষ্টাটুকুও করেনি।
বিভিন্ন রাজনৈতিক দলকে একত্রিত করতে, তাদের সঙ্গে ধারাবাহিকভাবে আলোচনা চালাতে এবং মৌলিক বিষয়ে ঐকমত্যে পৌঁছানোর জন্য তাদের যৌথ মতামত বের করে আনতে বিপুল সময়, শ্রম ও সম্পদ ব্যয় করা হয়েছে। এটি নিঃসন্দেহে একটি ইতিবাচক উদ্যোগ। কিন্তু একইসঙ্গে ভোটারদের দৃষ্টিভঙ্গি ও প্রত্যাশা জানার কোনো প্রচেষ্টা করা হয়নি। আমাদের নির্বাচনী প্রক্রিয়ার কেন্দ্রে কখনোই ভোটাররা থাকে না। বাস্তবে তাদের প্রায় কোনো গুরুত্বই দেওয়া হয় না।
উদাহরণ হিসেবে জুলাই সনদের কথাই ধরুন। জুলাই সনদ চূড়ান্ত করতে আমরা কত অর্থ ও সময় ব্যয় করেছি। অথচ সাধারণ মানুষকে এর বিষয়বস্তু সম্পর্কে অবহিত করতে কতটুকু উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে? শুরুতে এতে ৮৪টি প্রস্তাবনা ছিল। এখন পরিকল্পনা করা হচ্ছে, এর মধ্যে সংবিধান সংস্কার সম্পর্কিত ৪৮টি বিষয় নিয়ে কাজ করা হবে এবং সেগুলোর ওপর গণভোট আয়োজন করা হবে। এই প্রস্তাবনাগুলো কী, এর অর্থ কী, এর প্রভাব কী হতে পারে, এগুলো জনগণের জীবনে কীভাবে প্রভাব ফেলবে—এসব প্রশ্নের উত্তর জানার অধিকার কি তাদের নেই? আমাদের ধারণা, কৃষক, দিনমজুর, রিকশাচালক, ফেরিওয়ালা, ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী, শ্রমিক, গৃহকর্মী—যাদের সংখ্যা কয়েক কোটি—তাদের খুব অল্প সংখ্যকই জানেন জুলাই সনদে কী আছে। গুরুত্বপূর্ণ ও জটিল একটি সংবিধান সংস্কার সংক্রান্ত নথি নিয়ে সেই বিষয়ে গণভোট আয়োজন করা কি নৈতিক ও নীতিগতভাবে ঠিক হবে? এমন একটি গণভোট কি জনগণের প্রকৃত মতামতের প্রতিফলন ঘটাবে?
চ্যালেঞ্জ যতই থাকুক, এখন গোটা জাতির সামনে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ কাজ হলো দেশের জন্য অত্যন্ত জরুরি ও প্রতীক্ষিত জাতীয় নির্বাচনটি আয়োজন করা। প্রধান উপদেষ্টা যে সময়সীমা ঘোষণা করেছেন, তার মধ্যেই এই নির্বাচন আয়োজনে আমাদের সর্বান্তকরণে ও সর্বশক্তি দিয়ে প্রচেষ্টা চালাতে হবে।
'অন্তর্বর্তীকালীন সরকার' শব্দগুচ্ছের মধ্যেই এর অর্থ নিহিত যে, এটি অস্থায়ী। মেয়াদ যাই হোক না কেন, এটি ক্ষণস্থায়ী সরকার। ড. ইউনূসের ব্যক্তিগত জনপ্রিয়তা ও মর্যাদার কারণে বাংলাদেশের বৈশ্বিক সম্পর্ক নিঃসন্দেহে উন্নত হয়েছে। তবে, একটি নির্বাচিত সরকার না আসা পর্যন্ত সেটা স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরবে না। গণমাধ্যমের প্রতিবেদন বলছে, চলতি অর্থবছরে দেশীয় বেসরকারি বিনিয়োগ গত পাঁচ বছরের মধ্যে সর্বনিম্ন পর্যায়ে নেমে এসেছে এবং নির্বাচিত সরকার না থাকায় বিনিয়োগকারীদের মধ্যে অনিশ্চয়তা ও আস্থাহীনতা তৈরি হয়েছে। সম্ভাব্য সরকার সম্পর্কে সুস্পষ্ট ধারণা না থাকায় স্থানীয় উদ্যোক্তারাও বিনিয়োগে আগ্রহী না। কাজেই নির্ধারিত সময়েই নির্বাচন আয়োজন জরুরি। এই পথে বাধা সৃষ্টি করা মানে জাতীয় স্বার্থে আঘাত হানা ছাড়া আর কিছুই না।
তবে অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন আয়োজনের আগে আমাদের অতিক্রম করতে হবে অনেক চ্যালেঞ্জ। সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ হলো রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে আস্থার ঘাটতি। অনেকের বিশ্বাস, নির্বাচনের আগে যে প্রতিশ্রুতিই দেওয়া হোক না কেন, বিজয়ের পর সেটা রক্ষা করা হবে না। এ কারণেই এনসিপি ও জামায়াত গণভোটের ওপর জোর দিচ্ছে—যদিও এর বাস্তবতা ও বৈধতা নিয়ে অনেক প্রশ্ন উঠেছে। অবিশ্বাসের কারণটি খুবই সরল—বিএনপির প্রতিশ্রুতির প্রতি তাদের আস্থার অভাব। একই অনাস্থা অবশ্য অন্য দলগুলোর ক্ষেত্রেও প্রযোজ্য।
এরপর আছে প্রশাসনকে অপব্যবহারের দীর্ঘ ইতিহাস, যা অসম প্রতিযোগিতার ক্ষেত্র তৈরি করে। সব রাজনৈতিক দলই জানে, কীভাবে রাষ্ট্রীয় যন্ত্র—বিশেষ করে পুলিশ ও আমলাতন্ত্রকে নির্বাচনে প্রভাব বিস্তারের কাজে ব্যবহার করা হয়। সেই অভিজ্ঞতাই এই প্রতিষ্ঠানগুলোর নিরপেক্ষতা নিয়ে সন্দেহ আরও বাড়িয়ে দিয়েছে।
রাজনৈতিক সহিংসতার আশঙ্কাও একটি বাস্তবতা, যা উপেক্ষা করা সম্ভব না। ইতোমধ্যেই অভ্যন্তরীণ দলীয় সংঘর্ষের উদ্বেগজনক পরিস্থিতি দেখা যাচ্ছে। আইন ও সালিশ কেন্দ্রের (আসক) তথ্যমতে, চলতি বছরের জানুয়ারি থেকে সেপ্টেম্বরের মধ্যে সারা দেশে ৩২৩টি রাজনৈতিক সহিংসতার ঘটনা ঘটেছে, যার অর্ধেকেরও বেশি ঘটেছে বড় দলগুলোর ভেতরেই। নির্বাচন যতই ঘনিয়ে আসছে ততই অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন আয়োজনের পথে অন্যতম প্রধান উদ্বেগের কারণ হয়ে উঠছে তৃণমূল পর্যায়ে এসব দ্বন্দ্ব।
দুঃখজনক হলেও সত্য, এই চূড়ান্ত পর্যায়ে এসেও আমরা জাতির ভবিষ্যৎ দিকনির্দেশনা নিয়ে কোনো ঐকমত্যে পৌঁছাতে পারিনি। আট মাসের আলোচনার পর সরকার বাধ্য হয়েছে রাজনৈতিক দলগুলোকে আহ্বান জানাতে যে, সম্ভব হলে এক সপ্তাহের মধ্যে যেন তারা একটি চূড়ান্ত অভিন্ন অবস্থানে পৌঁছায়, যাতে নির্বাচনী প্রক্রিয়া এগিয়ে নেওয়া যায়। আমরা আশা করি, এই আহ্বানের প্রতি তারা সম্মান জানাবে।
আমরা যতটা বুঝতে পারছি, জামায়াত ও এনসিপির প্রধান দাবি উচ্চকক্ষে আনুপাতিক প্রতিনিধিত্ব নিশ্চিত করা। এটি একটি যৌক্তিক দাবি এবং এর মাধ্যমে উচ্চকক্ষের কার্যকারিতা বাড়বে বলে আমরা মনে করি। অন্তত দিন শেষে উচ্চকক্ষকে নিম্নকক্ষের রাবার স্ট্যাম্পে পরিণত করা যাবে না। বিএনপির প্রস্তাব যদি গৃহীত হয়, সেটাই হবে। বিএনপির উচিত বিকল্প প্রস্তাবটির যৌক্তিকতা বিবেচনা করা।
অন্যদিকে, জামায়াত ও এনসিপির উচিত বিএনপির প্রস্তাব মেনে নেওয়া—যাতে জোটের সদস্যরা জোটের নেতৃত্বে থাকা দলের প্রতীক ব্যবহার করতে পারে। এটা হয়তো সর্বোত্তম সমাধান না, কিন্তু আপসের ভিত্তিতে ভিন্নমতাবলম্বী দলগুলোর এটি মেনে নেওয়া উচিত। 'জোট হলেও দলীয় প্রতীকে ভোট' নিয়ে ইতোমধ্যে গেজেট প্রকাশিত হলেও রাজনৈতিক ঐকমত্যে পৌঁছানো গেলে তা সংশোধনের জন্য পর্যাপ্ত সময় এখনো আছে।
গণভোটের সময় নিয়ে বিএনপির প্রস্তাব, জাতীয় নির্বাচনের সঙ্গে একই দিনে গণভোট আয়োজন করা যেতে পারে। যদিও আমরা দৃঢ়ভাবে মনে করি, জুলাই সনদের বিষয়বস্তু সম্পর্কে ভোটাররা খুব কম জানায় এমন গণভোট ন্যায্য হবে না। তারপরও নির্বাচন আয়োজনের প্রতিবন্ধকতা দূর করতে এনসিপি ও জামায়াতের উচিত বিএনপির এই প্রস্তাব মেনে নেওয়া। আলাদা দিনে গণভোট আয়োজন মানে আরেকটি বিরাট আয়োজন এবং ব্যয় প্রায় দ্বিগুণ। এর ব্যবস্থাপনাও কার্যত অসম্ভব হয়ে পড়বে।
কাজেই, তিন প্রধান দলের মধ্যে মতৈক্যের একটি যথেষ্ট সম্ভাবনা আছে বলে আমরা দেখতে পাচ্ছি।
যেখান থেকে শুরু করেছিলাম সেখানেই শেষ করছি—নিউইয়র্ক শহরে মামদানির অনুপ্রেরণাদায়ক জয়ের উদাহরণ দিয়ে। ভোটারদের প্রাপ্য সম্মান দিন। তাদের ইচ্ছা পূরণ করার সুযোগ করে দিন। বাংলাদেশের ভবিষ্যৎ রচনার কেন্দ্রবিন্দুতে তাদের নিয়ে আসুন। ভোটারদের ওপর নিজেদের ইচ্ছা চাপিয়ে দেওয়ার সংস্কৃতি এবার অন্তত শেষ হোক।
আমাদের আহ্বান—সব রাজনৈতিক দল, বিশেষ করে প্রধান তিনটি দল নিজেদের মতভেদ দূরে সরিয়ে রেখে জাতীয় স্বার্থকে সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দিক এবং ২০২৬ সালের ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচন আয়োজনের লক্ষ্যে একসঙ্গে কাজ করুক। বারবার একই বৃত্তে ঘোরা বন্ধ করে এগিয়ে যাওয়ার সময় এখনই।
মাহফুজ আনাম, সম্পাদক ও প্রকাশক, দ্য ডেইলি স্টার