ভারত-বাংলাদেশের শিল্পীদের চিত্র প্রদর্শনী শুরু কলকাতায়

By কলকাতা প্রতিনিধি
13 December 2017, 07:37 AM
UPDATED 13 December 2017, 13:53 PM

কলকাতার অ্যাকাডেমি অফ ফাইন আর্টসে শুরু হয়েছে সাত দিনের ভারত-বাংলাদেশের শিল্পীদের চিত্র প্রদর্শনী। বাংলাদেশের ‘লিভিং আর্ট’ আয়োজিত ‘ইন্টারন্যাশনাল কনটেম্পোরারি গ্রুপ আর্ট এক্সিবিশন ২০১৭’- এ দুই দেশের মোট ২৬টি চিত্রকর্ম স্থান পেয়েছে।

প্রদর্শনীটি চলবে ১৮ ডিসেম্বর পর্যন্ত।

মঙ্গলবার (১২ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় কলকাতার বাংলাদেশ উপদূতাবাসের ডেপুটি হাইকমিশনার তৌফিক হাসান, প্রখ্যাত চিত্রশিল্পী রবীন মণ্ডল, ধীরাজ চৌধুরী এবং নিখিল রঞ্জন পাল প্রদীপ জ্বালিয়ে প্রদর্শনীর আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন।

অ্যাক্রেলিক, এচিং এবং তেলরঙের ব্যবহারে আঁকা ছবিগুলোতে উঠে এসেছে দুই বাংলার মানুষ, সংস্কৃতি, পরিবেশ এবং ঐতিহ্যের নানা বিষয়।

বাংলাদেশের চিত্রশিল্পীদের মধ্যে জামাল উদ্দিন আহমেদ, দুলাল গাইন, রাশেদ সুখন, বি এম জামাল হোসেন, আবিদা হোসেন, খন্দকার মাহফুজ আলম ও মমতা পারভীনের আঁকা ছবি জায়গা পেয়েছে গ্যালারিতে।

একইভাবে ভারতের প্রখ্যাত চিত্রশিল্পী রবীন মণ্ডল, তারক দাশ, জয়ন্ত ঘোষাল, সমীর চন্দ্র এবং চন্দন নায়েকের আঁকা ছবি রয়েছে এই প্রদর্শনীতে।

প্রদর্শনীর উদ্বোধন হওয়ার পরই কলকাতার দর্শকরা এসে ভিড় জমান গ্যালারিতে। মন্ত্রমুগ্ধ হয়ে দেখেন শিল্পীদের তুলিতে সৃষ্ট দুই বাংলাকে।

ভারত-বাংলাদেশের শিল্পীদের চিত্র প্রদর্শনী
কলকাতায় বাংলাদেশের ‘লিভিং আর্ট’ আয়োজিত ‘ইন্টারন্যাশনাল কনটেম্পোরারি গ্রুপ আর্ট এক্সিবিশন ২০১৭’-এর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে আমন্ত্রিত অতিথিরা। ছবি: স্টার

উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের সংক্ষিপ্ত বক্তব্য রাখতে গিয়ে বাংলাদেশের উপরাষ্ট্রদূত তৌফিক হাসান বলেন, “মানুষের সঙ্গে মানুষের সম্পর্ক তৈরিতে শিল্পী-সাহিত্যিক-বুদ্ধিজীবীদের এমন উদ্যোগ খুবই প্রশংসনীয়।”

প্রদর্শনীর আয়োজক ‘লিভিং আর্ট’ এর কর্ণধার বিপ্লব গোস্বামী দ্য ডেইলি স্টারকে জানান যে এটি তাদের তৃতীয় আয়োজন। দুই বাংলার শিল্পীদের যৌথ প্রয়াসে প্রথম আয়োজনটি হয়েছিল বাংলাদেশের শিল্পকলা একাডেমিতে। দ্বিতীয় আয়োজনটি হয়েছিলো কলকাতার আইসিসিআর গ্যালারিতে।

দুই বাংলার শিল্পীদের তুলির আঁচড়ে তুলে আনা আবহ এক ছাদের নিচে দাঁড়িয়ে দেখার সুযোগ করার মধ্য দিয়ে ভারতের পশ্চিমবঙ্গ ও বাংলাদেশের মানুষের মধ্যে সম্পর্ক তৈরি করা এই আন্তর্জাতিক প্রদর্শনীর প্রধান উদ্দেশ্য, যোগ করেন বিপ্লব গোস্বামী।