নিজের ভবিষ্যৎ বিসিসিআইয়ের হাতে ছাড়লেন গম্ভীর
ঘরের মাঠে চরম বিব্রতকর পরিস্থিতির মুখোমুখি হলো ভারত। দুই ম্যাচের টেস্ট সিরিজে তাদেরকে গুঁড়িয়ে হোয়াইটওয়াশ করে ছাড়ল দক্ষিণ আফ্রিকা। পুরোপুরি ধরাশায়ী হওয়ার পর দলটির প্রধান কোচ গৌতম গম্ভীরের ভবিষ্যৎ নিয়ে অনুমিতভাবেই প্রশ্ন উঠছে। সেই বাস্তবতা মেনে সিদ্ধান্ত নেওয়ার ভার ভারত ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিসিআই) ওপর ছেড়ে দিলেন তিনি।
বুধবার গুয়াহাটি টেস্টের পঞ্চম দিনে ৪০৮ রানের বিশাল ব্যবধানে হেরেছে ভারত। তবে ম্যাচের পরিণতি আসলে অনেক আগেই নিশ্চিত হয়ে গিয়েছিল। ৫৪৯ রানের অসম্ভব লক্ষ্য তাড়ায় তাদের দ্বিতীয় ইনিংস গুটিয়ে গেছে স্রেফ ১৪০ রানে। টেস্টে রানের হিসেবে এটি ভারতের সবচেয়ে বড় হার। এর আগে নাগপুরে ২০০৪ সালে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে ৩৪২ রানে হেরেছিল তারা।
মুখ থুবড়ে পড়ার পর ভবিষ্যৎ নিয়ে অনিশ্চয়তা স্বীকার করে নিলেও আত্মপক্ষ সমর্থন করে গণমাধ্যমকে গম্ভীর বলেন, 'আমার ভবিষ্যৎ নিয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়ার ভার বিসিসিআইয়ের ওপর। তবে আমি সেই একই লোক যে আপনাদের ইংল্যান্ডের মাটিতে ভালো ফল এনে দিয়েছি এবং চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে কোচ ছিলাম।'
এই মন্তব্যের মাধ্যমে গত জুন-আগস্টে ইংল্যান্ডে গিয়ে পাঁচ ম্যাচের টেস্ট সিরিজ ২-২ ব্যবধানে ড্র করা এবং চলতি বছরের শুরুতে অনুষ্ঠিত আইসিসি চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে শিরোপা জয়ের দিকে নির্দেশ করেন গম্ভীর।
গত কিছুদিন ধরেই অবশ্য সমালোচিত হচ্ছেন গম্ভীর। কারণ হলো টেস্টে ঘন ঘন দল পরিবর্তন করা এবং একাদশে বিশেষজ্ঞ ব্যাটার-বোলারদের চেয়ে অলরাউন্ডারদের প্রাধান্য দেওয়া। এই প্রসঙ্গে ভারতের কোচ বলেন, 'টেস্ট ক্রিকেট খেলার জন্য আপনার খুব আকর্ষণীয় ও প্রতিভাবান ক্রিকেটারের প্রয়োজন নেই। আমাদের যা দরকার তা হলো, সীমিত দক্ষতাসম্পন্ন শক্তিশালী চরিত্রের খেলোয়াড়। তারাই ভালো টেস্ট ক্রিকেটার হন।'
নিজেদের মাটিতে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে এই নিয়ে দুটি টেস্ট সিরিজ হারল ভারত। দুটিতেই হোয়াইটওয়াশ হলো তারা। ২০০০ সালেও দুই ম্যাচের সিরিজে ২-০ ব্যবধানেই হেরেছিল দলটি। এবারের বাজে পারফরম্যান্সের জন্য দলের সকলকে দায়ী করেন সাবেক বাঁহাতি ব্যাটার গম্ভীর, 'দোষ সকলেরই। আর তা আমাকে দিয়েই শুরু।'
ভারত তাদের সবশেষ ১৭টি টেস্টের মধ্যে ১০টিতেই হেরেছে। আগামী রোববার থেকে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজ খেলবে তারা। এরপর পাঁচ ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজও খেলবে দল দুটি।
