নদীর মালিক যখন এক পরিবার

মিন্টু দেশোয়ারা
মিন্টু দেশোয়ারা
16 March 2022, 03:26 AM
UPDATED 16 March 2022, 09:38 AM

'জন্মের পর থেকেই দেখছি নদীটি বাড়ির পাশ দিয়ে গেছে। কিন্তু, কোনোদিন এর উপকার পাইনি। মাছ ধরতে গেলে জাল ছিঁড়ে দেওয়া হয়, বড়শি ভেঙে দেওয়া হয়।'

কথাগুলো দ্য ডেইলি স্টারকে বলছিলেন হবিগঞ্জের বানিয়াচং উপজেলার সুন্দরপুর গ্রামের ৫৩ বছর বয়সী জুলহাস মিয়া।

তিনি আরও বলেন, 'ছোট থাকতে এই এলাকায় অনেক খালবিল ছিল। সেখান থেকে মাছ ধরেছি। গত কয়েক দশকে সেগুলো ভরাট হয়ে যাওয়ায় নদীটি ছিল ভরসা। কিন্তু, নদীটি ব্যক্তি মালিকানায় থাকায় এর কোনো সুবিধা নিতে পারিনি।'

'বাপ-দাদাদের কাছ থেকে শুনেছি নদীটির মালিক রাজা সাহেব। এখনো এটি উনাদের পরিবারের মালিকানায় আছে। নদী থেকে শুধু উনার মনোনীত মানুষ মাছ ধরে থাকেন।'

sutki_river_2.jpg
ছবি: মিন্টু দেশোয়ারা/স্টার

সুটকি নদীতে মাছ ধরছিলেন ৪ জন। তাদের মধ্যে ২ জন ডেইলি স্টারকে জানান, তারা মাছ ধরে মালিককে দিয়ে দেন। তার দিনমজুর হিসেবে কাজ করেন। তাদের মতো আরও অনেকে দিনমজুরির ভিত্তিতে কাজ করেন।

৬৫ বছর বয়সী জেলে রফিক মিয়া ডেইলি স্টারকে বলেন, 'আমরা জন্মলগ্ন থেকে শুনছি এই নদীর মালিক আহমদ রাজা সাহেব। আগে এটি ছিল তাদের পূর্বপুরুষের মালিকানা সম্পত্তি। এখন তিনি অন্যদের ইজারা দেন। নিজেও শ্রমিক দিয়ে মাছ ধরান।'

নদীটি লোহারতল এলাকার কুশিয়ারা নদী থেকে উৎপত্তি হয়ে প্রতাবপুর এলাকায় রত্না নদীর সঙ্গে মিলেছে উল্লেখ করে তিনি জানান, বানিয়াচং উপজেলা সদর থেকে প্রায় ৮ কিলোমিটার দক্ষিণে এই নদীর ধারা বয়ে গেছে পূর্ব থেকে পশ্চিমে। প্রবাহিত নদী দৈর্ঘ্য প্রায় ২৩ কিলোমিটার। স্বাধীনতার পর থেকে বানিয়াচংয়ের ইয়াহিয়া ফিস ইন্ডাস্ট্রিজ প্রাইভেট লিমিটেড কোম্পানির নামে ভোগ দখল করা হচ্ছে।

sutki_river_3.jpg
ছবি: মিন্টু দেশোয়ারা/স্টার

এসব যে নদীর গল্প তার নাম সুটকী। অভিযোগ আছে, স্থানীয় প্রশাসনের অবহেলার কারণে জাতীয় নদী রক্ষা কমিশনের তালিকায় এই নদী কিংবা এর দখলদারের নাম নেই।

অন্যদিকে, 'অস্তিত্বহীন' ইয়াহিয়া ফিশ ইন্ডাস্ট্রিজ প্রাইভেট লিমিটেডের নামে সুটকী নদীর ২৪২ একর ২০ শতক ভূমি নামজারি পুনর্বহালের আদেশ দিয়েছেন আদালত।

আদেশটি গত ১৪ ডিসেম্বর দেওয়া হলেও গত ১৪ ফেব্রুয়ারি তা পূর্ণাঙ্গভাবে প্রকাশ পায়। অন্যথায় জেলা ও উপজেলা প্রশাসনের সাবেক ও বর্তমান ৬ কর্মকর্তাকে ৩ মাসের দেওয়ানি কয়েদে (সিভিল জেল) আটক রাখার নির্দেশও দেওয়া হয়েছে।

হবিগঞ্জের যুগ্ম জেলা জজ মিথিলা ইসলাম এ আদেশ দেন বলে জানান বানিয়াচং উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ইফফাত আরা জামান উর্মি।

উর্মি বলেন, 'রায়ে বলা হয়, আদেশের ৩ মাসের মধ্যে বিবাদীদের মামলার বাদীর নামে নামজারি করে দিতে হবে। যেসব কর্মকর্তার বিরুদ্ধে দণ্ডাদেশ দেওয়া হয়েছে, তারা হলেন: হবিগঞ্জের সাবেক অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) বিষ্ণুপদ সাহা, বানিয়াচং উপজেলার সাবেক এসি ল্যান্ড কামরুল আলম, হবিগঞ্জের সাবেক আরডিসি মো. কামরুল ইসলাম সরকার। এ ছাড়া হবিগঞ্জের বর্তমান অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক রাজস্ব, আরডিসি, বানিয়াচংয়ের এসি ল্যান্ডকে আদেশের আওতায় আনা হয়েছে।'

sutki_river_4_0.jpg
ছবি: মিন্টু দেশোয়ারা/স্টার

ডেইলি স্টারের হাতে আসা মামলা ও অন্যান্য কাগজপত্রে জানা যায়, ১৯৭২ সালে সিলেট সাব জজ আদালতে ইয়াহিয়া ফিশ ইন্ডাস্ট্রিজ প্রাইভেট লিমিটেডের পক্ষে দেওয়ান ইয়াহিয়া রাজা সত্ত্ব মামলা করেন। মামলায় তিনি সুটকী নদীকে বিল দেখিয়ে নদীর ভূমি তার ইন্ডাস্ট্রির নামে ঘোষণা, দখল ও ভোগ-দখলের দাবি করেন। একই সঙ্গে তার শান্তিপূর্ণ ভোগ-দখলে যাতে সরকার পক্ষ বাধা না দেয় এ মর্মে স্থায়ী নিষেধাজ্ঞা প্রার্থনা করেন।

১৯৭৩ সালে ৩০ মে সিলেট সাবজজ আদালত বাদীর পক্ষে আদেশ দেন। সে বছর সরকার ওই আদেশের বিরুদ্ধে 'মিস কেস' দায়ের করে। ওই বছরে ৩১ ডিসেম্বর সরকার পক্ষের 'মিস কেস' খারিজ হয়ে যায়।

এরপর ১৯৭৪ সালে বাদীপক্ষ সিলেট সাবজজ-১ আদালতে 'রেকর্ড অব রাইট'-র দাবিতে বিবিধ মামলা করেন। ওই বছরের ২৪ এপ্রিল বাদীর পক্ষে নামজারির আদেশ দেন আদালত।

ওই আদেশ বলে বাদীপক্ষ অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) সিলেট বরাবরে নামজারির মোকদ্দমা করে। সিলেট অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক বানিয়াচং উপজেলা এসি ল্যান্ডকে নামজারির আদেশ দেন। ওই আদেশের পরিপ্রেক্ষিতে বাদীর পক্ষে নামজারি হয়।

sutki_river_5.jpg
ছবি: মিন্টু দেশোয়ারা/স্টার

বানিয়াচং উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ইফফাত আরা জামান উর্মি ডেইলি স্টারকে বলেন, 'পরবর্তীতে বিষয়টি হবিগঞ্জের তৎকালীন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক বিষ্ণুপদ সাহার দৃষ্টিগোচর হলে ১৯৯২ সালের ১০ মার্চ ইয়াহিয়া ফিস ইন্ডস্ট্রিজের পরিচালক দেওয়ান ইয়াহিয়া রাজাকে কারণ দর্শানোর নোটিশ দেন। নোটিশে বলা হয় ইয়াহিয়া রাজার দাবি করা ভূমি সুটকী নদীর অংশ, যা বেআইনিভাবে কোম্পানির নামে নামজারি করা হয়েছে।'

'শোকজের জবাব সন্তোষজনক না হওয়ায় সরকার পক্ষ রিভিউ মামলা করে। সেই মামলায় ইয়াহিয়া রাজার নামজারি আদেশ বাতিল করে রেকর্ড সরকারের নামে পুনর্বহাল করা হয়। ওই আদেশের বিরুদ্ধে ১৯৯৬ সালে ইয়াহিয়া রাজা হবিগঞ্জ যুগ্ম জেলা জজ আদালতে সত্ত্ব জারির মামলা করেন। দীর্ঘদিন পর ওই মামলার রায় হয়েছে।'

এ প্রসঙ্গে বাদী পক্ষের আইনজীবী ফারুক আহমেদ ডেইলি স্টারকে বলেন, '১৯৭২ সালে মামলা করে ডিক্রি পাওয়া হয়। এই ভূমি বা ওয়াটার রিজারভারের সত্ত্ব মালিকানা ঘোষণা করা হয়। এমনকি ওই ডিক্রি অনুযায়ী বাদী পক্ষের নামে সরকার নামজারি করে। ১৯৯৫/৯৬ সালের দিকে আদালতের পারমানেন্ট ইনজাংকশন অমান্য করে যে নামজারি করা হয়েছিল তা কেটে দেওয়া হয়।'

তিনি আরও বলেন, '১৯৯৬ সালে বাদী হবিগঞ্জ সাবজজ (২) আদালতে ভায়োলেশন মামলা/মিস কেস দায়ের করে। এই মিস কেসে উভয় পক্ষের সাক্ষ্যপ্রমাণের পর আদালত সরকারি অফিসিয়ালদের নির্দেশ দিয়েছে আদেশ প্রাপ্তির ৩ মাসের মধ্যে কর্তনকৃত নামজারি বহাল করা হোক। অন্যথায় আদালতের আদেশ অমান্যের কারণে প্রত্যেককে ৩ মাস করে দেওয়ানি কারাগারে থাকতে হবে।'

তিনি জানান, বাদী পক্ষের দাবি মতে এটি বাদী পক্ষের দখলেই আছে। তাদের দাবি মতে এটি পূর্বপুরুষের সম্পত্তি। বাদীপক্ষ এটাকে নদী হিসেবে মানে না। বাদীপক্ষের মতে এটা 'ওয়াটার রিজারভার'। এখান থেকে তাদের দখলীয় বোরো ফসলে পানি দেওয়া হতো।

এ ব্যাপারে সরকারি কৌঁসুলি মো. আফিল উদ্দিন ডেইলি স্টারকে বলেন, 'সিলেট সাব জজ কোর্টের সত্ত্ব ৯৫/৭২ মামলার রায় কার্যকরের জন্য হবিগঞ্জ যুগ্ম জেলা জজ (২) আদালতে সত্ত্বজারি ১/১৯৯৬ দায়ের করা হয়। মূল মামলায় এসএ দাগ-খতিয়ান উল্লেখ না থাকলেও জারি মোকদ্দমায় দাগ-খতিয়ান উল্লেখ করে মামলা করা হয়েছে। সরকার পক্ষে এ মামলায় আপত্তিসহ এসএ পরচা দাখিল ও সাক্ষী দেওয়া হয়েছে।'

'রাষ্ট্রীয় অধিগ্রহণ ও প্রজাসত্ত্ব আইন ১৯৫০ এর বিধান অনুসারে নদী-জলাশয় সরকারি সম্পত্তি,' উল্লেখ করে তিনি আরও বলেন, 'এ আদেশের বিরুদ্ধে রিভিশন দায়ের প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে।'

ইতিহাসবিদ ও বানিয়াচং এলাকার বাসিন্দা গবেষক শেখ ফজলে এলাহী ডেইলি স্টারকে বলেন, 'রাজা গণেশ যখন লাউরেরগড়ের শাসক ছিলেন ঠিক তখনই লাউড়েরগড় দখল করে নেয় খাসিয়ারা। তখনই তারা বানিয়াচংয়ে আসেন এবং সাগরদিগির পশ্চিমপাড় এলাকায় রাজধানী স্থাপন করেন।'

'ওই সময়ে সেখানে রাজত্ব গড়েছিলেন তাদের উত্তরসূরি রাজা গোবিন্দ সিংহ। পরবর্তীতে তিনি ধর্মান্তরিত হয়ে নাম রাখেন হাবিব খাঁ। ভূমিকম্পে ধ্বংসপ্রাপ্ত স্থাপনার নিদর্শন এখনো আছে। পরে অনেক যুদ্ধ হয়। তাদের বংশধর আজবান রাজা এটা পুনরুদ্ধার করেন এবং নতুন করে রাজধানী স্থাপন করা হয় ২ নং হাভেলিতে।'

তার উত্তরসূরি দেওয়ান আলী রাজার বংশধররা এখন রাজবাড়িতে বসবাস করছেন। তাদের প্রতিষ্ঠান ইয়াহিয়া ফিস ইন্ডাস্ট্রিজ। তারা সুটকী নদীর মালিকানা দাবি করছেন।

কোম্পানির বর্তমান মহাব্যবস্থাপক আহমেদ জুলকার নাঈন। তিনি ইয়াহিয়া ফিস ইন্ডাস্ট্রিজকে কোম্পানি দাবি করলেও বাস্তবে সাইনবোর্ড ছাড়া কোনো কার্যক্রম বা যন্ত্রপাতি কিছুই দেখাতে পারেনি। তার দাবি সুটকী নদী নয়, এটা দেওয়ান ইয়াহিয়া রাজার পূর্ব পুরুষরা বোরো ফসলের 'ওয়াটার রিজার্ভার'। মুক্তিযুদ্ধের সময় ইন্ডাস্ট্রিজের যন্ত্রপাতি নষ্ট হয়ে যায়।

বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলন (বাপা) হবিগঞ্জ জেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক তোফাজ্জল সোহেল ডেইলি স্টারকে বলেন, 'নদী কোনো মানুষের হয় না। সুপ্রিম কোর্টের রায় অনুযায়ী সব নদীর অভিভাবক জাতীয় নদী রক্ষা কমিশন। কাজেই কেউ মালিকানা দাবি করলে সেটা বিধিসম্মত হবে না। নদী জনগণের সম্পত্তি, নদীকে ব্যক্তি মালিকানা দাবি করা অন্যায়।'

খোয়াই রিভার ওয়াটারকিপার হিসেবে তিনি বলেন, 'শতাব্দী ধরে একটি নদীর মালিকানা দাবি করা হচ্ছে। এমনকি ১৯৭২ সালের দিকে নিজের নামে সুটকি নদীর নামজারিও করা হয়েছে, এটা বিস্ময়কর।'

'অন্যদিকে জাতীয় নদী রক্ষা কমিশনের তথ্যে হবিগঞ্জে ৬০০ নদী দখলদারের নাম প্রকাশ করা হলেও সুটকী নদী বা দখলদারের নাম পাওয়া যায়নি। দেশের নদ-নদী রাষ্ট্রের সম্পদ। জনগণের সম্পদ রক্ষার জন্য রাষ্ট্রের দায়িত্বশীল প্রতিষ্ঠান রয়েছে।'

তিনি আরও বলেন, 'দায়িত্বশীল প্রতিষ্ঠানের উদাসীনতা কিংবা অন্য যেকোন কারণে সুটকি নদীটি রক্ষায় কার্যকর ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে না। আমরা মনে করি, দ্রুত এই নদীটি রক্ষায় যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।'

হবিগঞ্জ পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী শাহনেওয়াজ তালুকদার ডেইলি স্টারকে বলেন, 'হাওড় জীবনমান উন্নয়ন প্রকল্পের আওতায় এক কোটি টাকা খরচ করে সুটকী নদীর একটি অংশে খনন করা হয়েছে। এটি একটি নদী।'

নদী দখলের তালিকায় এই নদীর নাম না থাকার কারণ জানতে চাইলে তিনি বলেন, 'এটি আমাদের বিষয় না। জেলা প্রশাসন বলতে পারবে।'

অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) বিজেন ব্যানার্জী ডেইলি স্টারকে বলেন, 'এসএ রেকর্ড অনুযায়ী এ নদী সরকারি মালিকানাধীন। দেওয়ান আলী রাজার পক্ষ থেকে সত্ত্ব মামলা করা হয়েছে, এর নম্বর ৯৫/১৯৭২। সেখানে ২৩ নং মোকাবিলা বিবাদী করা হয় সরকারকে। ১ থেকে ২২ নং বিবাদী করা হয় উনাদের নিজেদের লোককে।'

'মামলা করে তাদের পক্ষে এক তরফা রায় করানো হয়। যেহেতু ১৯৬০ সালের পর উনারা মামলা করেছেন তখন এসএ রেকর্ড অনুযায়ী মামলা করতে পারতেন। কিন্তু, উনারা দাগ-খতিয়ান উল্লেখ না করে তৈজী মামলা করেছিলেন। তারপর ডিক্রিকে কার্যকর করতে জারি মামলা করা হয়।'

'এতে ১ নং বিবাদী এডিসি রেভিনিউ ২ নং বিবাদী এসি ল্যান্ড বানিয়াচং ও ৩ নং বিবাদী আরডিসিকে করা হয়। জারি মামলার আদেশ হয় ২০২১ সালে। এই জারি মামলায় তারা দাগ-খতিয়ান উল্লেখ করেন। সেখানে বলা হয়েছে তাদেরকে ৩ মাসের মধ্যে নামজারি করে দেওয়ার জন্য। অন্যথায় সিভিল জেল হবে ৩ মাসের।'

'সরকার পক্ষ আপিল দায়ের করেছে সিলেট কোর্টে মামলা নং ১৯/২০২২। সরকার পক্ষ থেকে জারি মামলার রিভিশন দায়ের করা হবে আজ বুধবার। বর্তমান বিএস রেকর্ডে সরকারের দাগগুলো ১ নং খতিয়ানে উল্লেখ আছে। সরকারের পক্ষ থেকে সরকারি সম্পত্তি রক্ষায় কাজ করা হচ্ছে,' যোগ করেন বিজেন ব্যানার্জী।

নদী দখলের তালিকায় এই নদীর নাম না থাকার বিষয়ে তিনি বলেন, 'এটি আমাদের বিষয় না। হবিগঞ্জ পানি উন্নয়ন বোর্ড বলতে পারবে।'