ইরানের বিরুদ্ধে অস্ট্রেলিয়ার মানবাধিকার নিষেধাজ্ঞা

আকিদুল ইসলাম
আকিদুল ইসলাম
11 December 2022, 03:57 AM
UPDATED 11 December 2022, 10:12 AM

অস্ট্রেলিয়ার ফেডারেল সরকার ইরানের নৈতিকতা পুলিশসহ আরও কয়েকজন ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করবে।

গতকাল শনিবার এই ঘোষণা দিয়েছে দেশটির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।

হিজাব না পরার 'অপরাধে' গ্রেপ্তার হওয়া ২২ বছর বয়সী কুর্দি ইরানি নারী মাহসা আমিনি ইরানের নৈতিকতা পুলিশের হেফাজতে গত ১৬ সেপ্টেম্বর মারা যান। তার মৃত্যুর পর ইরানে ব্যাপক বিক্ষোভ ছড়িয়ে পড়ে।

অস্ট্রেলিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী পেনি ওং ঘোষণা করেছেন, তার দেশ ইরানের নৈতিকতা পুলিশ, বাসিজ প্রতিরোধ বাহিনী, একটি আধাসামরিক গোষ্ঠী এবং বিক্ষোভকারীদের ওপর সহিংস দমন-পীড়নের সঙ্গে জড়িত ৬ ইরানির ওপর মানবাধিকার নিষেধাজ্ঞা আরোপ করবে।

এ ছাড়া, ইউক্রেনের বিরুদ্ধে যুদ্ধে ব্যবহারের জন্য রাশিয়াকে ড্রোনের নকশা ও ড্রোন সরবরাহের সঙ্গে সম্পর্কিত একটি ব্যবসায়িক সংস্থা এবং ৩ জন ইরানির ওপর আর্থিক নিষেধাজ্ঞা আরোপের আন্তর্জাতিক উদ্যোগেও যোগ দিয়েছে অস্ট্রেলিয়া সরকার।

সহকারী পররাষ্ট্রমন্ত্রী টিম ওয়াটসের সঙ্গে যৌথ বিবৃতিতে সিনেটর ওং বলেছেন, 'অস্ট্রেলিয়া ইউক্রেনের জনগণ ও ইরানের জনগণের পাশে আছে।'

অস্ট্রেলিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী গণমাধ্যমকে বলেছেন, 'আমরা আমাদের মূল্যবোধ ও স্বার্থের সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ সংলাপ ও কূটনীতি অনুসরণ করি। আমরা মানবাধিকার সমুন্নত রাখার জন্য নিষেধাজ্ঞার মতো বিভিন্ন  কৌশল প্রয়োগ করি।'

ইরানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় তাদের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে হস্তক্ষেপ না করার জন্য অস্ট্রেলিয়াকে অনুরোধ করেছে।

এ ছাড়া, আন্তর্জাতিক আইন লঙ্ঘন হিসেবে বিক্ষোভকারীদের ওপর সরকারি দমনের সময় অধিকার লঙ্ঘনের পশ্চিমা সমালোচনাও প্রত্যাখ্যান করেছে।

১৯৭৯ সালের ইসলামি বিপ্লবের পর থেকে ইরানের ধর্মতান্ত্রিক শাসনের বিরুদ্ধে সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জগুলোর মধ্যে একটি হচ্ছে চলমান হিজাব বিরোধী বিক্ষোভ।

আকিদুল ইসলাম: অস্ট্রেলিয়া প্রবাসী লেখক, সাংবাদিক