কাপ্তাই হ্রদে জনপ্রিয় হয়ে উঠছে হাউসবোট, রয়েছে রাত্রিযাপনের সুবিধাও

By সংবাদদাতা, রাঙামাটি
29 November 2025, 17:25 PM
UPDATED 29 November 2025, 23:42 PM

রাঙামাটির কাপ্তাই হ্রদে পর্যটকদের আকর্ষণ বাড়াতে চালু হয়েছে বেশ কয়েকটি 'হাউসবোট'। এসব বোটে সারাদিন হ্রদের জলঘেরা সৌন্দর্য ঘুরে দেখার পাশাপাশি রাত্রিযাপনের সুবিধাও রয়েছে। 

হাউসবোটের মালিকেরা জানান, ২০১৯ সালে কাপ্তাই হ্রদে প্রথম হাউসবোট নামানো হয়। পরে ধাপে ধাপে এর সংখ্যা বাড়তে থাকে। এসব হাউসবোটে পর্যটকদের জন্য রয়েছে ভিন্ন ভিন্ন ভ্রমণ প্যাকেজ। বোটগুলো আকার অনুযায়ী ১০ থেকে ১৫ বা ১৫ হতে ৩০ জনও থাকতে পারেন। এতে নান্দনিক ডাইনিং, এসি ব্যবস্থা, আধুনিক শৌচাগার, বিনোদন ব্যবস্থাসহ নানা সুযোগ-সুবিধা রয়েছে। এছাড়া পর্যটকদের চাহিদা অনুযায়ী পাহাড়ি বিভিন্ন খাবার ও বারবিকিউ পার্টির ব্যবস্থা করা হয়। 

ঢাকা থেকে ঘুরতে আসা আরেফিন জুয়েল বলেন, আমাদের বিয়ে হয়েছে তিন মাসের মতো হবে। বিয়ের পর এটাই আমাদের প্রথম ট্যুর। তাই স্মরণীয় হিসেবে রাখতে আমরা কাপ্তাই হ্রদে ঘুরেছি ও রাত্রিযাপন করেছি। বেশ ভালো সময় কেটেছে। 

পরিবার নিয়ে ঘুরতে আসা মেহেদী হাসান বলেন, এই ধরনের হাউসবোট আমি কাশ্মীরে দেখেছি। এখন আমাদের দেশে এমন সুবিধা থাকায় কাউকে আর বাইরে যেতে হবে না। এটা খুব ভালো একটা সুবিধা। এটা ধরে রাখতে পারলে দেশের পর্যটন শিল্প আরও অনেক এগিয়ে যাবে। 

রয়েল অ্যাডভেঞ্চার হাউসবোটের মালিক মো. মিজানুর রহমান বলেন, আমরা ২০২৩ সালে হাউসবোট চালু করেছি। প্রথম দিকে তেমন টুরিস্ট না পেলেও এখন ভালো পাচ্ছি। শীতের মৌসুম শুরু হওয়ায় টুরিস্টদের আগমনও বাড়ছে। আমাদের বোটে ১৬ থেকে ৩২ জনের থাকার ব্যবস্থা রয়েছে। জনপ্রতি সাত হাজার থেকে নয় হাজার টাকা পর্যন্ত বিভিন্ন প্যাকেজ রয়েছে দুই দিনের থাকা-খাওয়াসহ।

প্রমোদিনী বোট লাইফের ম্যানেজার মিন্টু চাকমা বলেন, আমাদের চারটি হাউসবোট রয়েছে। আমরা ২০১৯ সালে প্রথম কাপ্তাই হ্রদে হাউসবোট চালু করেছি। পরে বেশকিছু হাউসবোট চালু হয়েছে। আমরা এটা খুব ভালো দিক হিসেবে দেখছি। এখন তেমন বুকিং নেই। তবে আশা করছি, ডিসেম্বরের দিকে ভালো বুকিং পাবো। 

হাউসবোট ওনার্স অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি বাপ্পি তঞ্চঙ্গ্যা বলেন, কাপ্তাই হ্রদে এখন প্রায় ১৫টি মতো হাউসবোট চালু রয়েছে। বোটগুলো বিভিন্ন প্যাকেজ অনুযায়ী ভাড়া হয়। রাঙামাটির সব পর্যটন স্পটগুলোতে পর্যটকদের ঘুরে দেখানো হয়। এছাড়া পর্যটকদের চাহিদা অনুযায়ী পাহাড়ি বিভিন্ন খাবার ও বারবিকিউ পার্টির ব্যবস্থা থাকে।