৬০ লাখ টাকা পুরস্কার ঘোষণা, তারপরও অনূর্ধ্ব-২১ হকি দলের অধিনায়কের যে আক্ষেপ
সম্প্রতি শেষ হওয়া এফআইএইচ জুনিয়র হকি বিশ্বকাপে দারুণ পারফরম্যান্সের সুবাদে বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব-২১ হকি দল আর্থিক পুরস্কার হিসেবে ৬০ লাখ টাকা পাচ্ছে।
সোমবার ঢাকা ক্যান্টনমেন্টের শাহীন দ্বীপ রিসোর্টে এক সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ হকি ফেডারেশনের (বিএইচএফ) সভাপতি এয়ার চিফ মার্শাল হাসান মাহমুদ খান এই পুরস্কারের ঘোষণা দিয়েছেন।
মোট অর্থের মধ্যে বিএইচএফ দেবে ৪০ লাখ টাকা এবং বাংলাদেশ বিমান বাহিনী দেবে ২০ লাখ টাকা।
হকি জুনিয়র বিশ্বকাপে ২৪টি দলের মধ্যে ১৭তম স্থান অধিকার করে নতুন চালু হওয়া 'চ্যালেঞ্জার ট্রফি' জিতেছে বাংলাদেশ। অনূর্ধ্ব-২১ দলে ১৯ জন খেলোয়াড় ও ডাচ কোচ সিগফ্রিড আইকম্যানসহ ১০ জন কোচিং স্টাফ ছিলেন। চুক্তির মেয়াদ শেষে তিনি আগামী ১৮ ডিসেম্বর ঢাকা ছাড়বেন।
এএইচএফ জুনিয়র নারী এশিয়া কাপে ব্রোঞ্জ পদক জেতা বাংলাদেশ নারী অনূর্ধ্ব-১৮ হকি দলের জন্যও ১০ লাখ টাকা নগদ পুরস্কারের ঘোষণা দিয়েছেন বিএইচএফ সভাপতি।
ফেডারেশনের এমন উদ্যোগে খুশি হলেও অনূর্ধ্ব-২১ দলের সদস্যরা যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের কাছ থেকে প্রত্যাশিত স্বীকৃতি না পাওয়ায় হতাশা প্রকাশ করেছেন।
অনূর্ধ্ব-২১ দলের অধিনায়ক মেহরাব হোসেন সামিন দ্য ডেইলি স্টারকে মুঠোফোনে বলেছেন, 'ফেডারেশন তাদের সামর্থ্য অনুযায়ী যে আর্থিক পুরস্কার ঘোষণা করেছে, তাতে আমরা অবশ্যই খুশি। আমরা জানি, ফেডারেশনের সামর্থ্য থাকলে তারা খেলোয়াড়দের জন্য আরও বড় পুরস্কার ঘোষণা করত। কিন্তু তাদের আর্থিক সীমাবদ্ধতা আছে।'
আক্ষেপ নিয়ে তিনি যোগ করেছেন, 'সরকারের কাছ থেকে আমাদের বড় প্রত্যাশা ছিল। কারণ অন্যান্য খেলাধুলার জুনিয়র ও সিনিয়র দলের আন্তর্জাতিক সাফল্যের তুলনায় জুনিয়র হকি বিশ্বকাপে খেলার যোগ্যতা পাওয়ার মতো অর্জনের পরও আমাদের উল্লেখযোগ্য কিছু দেওয়া হয়নি।'
তিনি উদাহরণ টেনে বলেছেন, 'শুধু ভারতের বিপক্ষে একটি ম্যাচ জয়ের (এশিয়ান কাপ বাছাইপর্বে) জন্য বাংলাদেশ জাতীয় ফুটবল দলের সদস্যদের ২ কোটি টাকা দিয়েছিল যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়। মনে হচ্ছে, আমরাই অবহেলিত।'
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র সামিন এখন বাংলাদেশ নৌবাহিনী দলের হয়ে আসন্ন আন্তঃবাহিনী হকি টুর্নামেন্টে খেলতে মনোযোগী আছেন। তবে অবিলম্বে ঘরোয়া লিগ পুনরায় শুরু করার আহ্বান তিনি জানিয়েছেন ফেডারেশনের প্রতি।
সামিন বলেছেন, 'ভবিষ্যতে যদি আমরা ভালো কিছু করতে চাই এবং আমাদের খেলার মানকে পরবর্তী স্তরে নিয়ে যেতে চাই, তবে ঘরোয়া লিগে আরও বেশি ম্যাচ খেলতে হবে। আর আমাদের লিগের মান উন্নত, যা খেলোয়াড়দের কৌশল ও দক্ষতা বাড়াতে সাহায্য করবে এবং জুনিয়র বিশ্বকাপ থেকে তারা যা শিখেছে, তা শাণিত করতে পারবে।'