‘ভালো বন্ধু অনেক লাগে না, দু-তিন জনই যথেষ্ট’
জয়া আহসান অভিনয় দিয়ে জয় করেছেন কোটি দর্শকদের ভালোবাসা। দেশের গণ্ডি পেরিয়ে ভারতীয় বাংলা সিনেমা, এমনকি বলিউডেও তিনি সাফল্য ধরে রেখে কাজ করছেন। তিনবার পেয়েছেন ফিল্মফেয়ার পুরস্কার।
এ বছর তার অভিনীত পাঁচটি সিনেমা মুক্তি পেয়েছে ভারত ও বাংলাদেশে; প্রথমবার মুক্তি পেয়েছে ওয়েবসিরিজ। 'জিম্মি' নামে এই ওয়েবসিরিজ পরিচালনা করেছেন আশফাক নিপুন।
দ্য ডেইলি স্টারের সঙ্গে সিনেমা ও জীবন নিয়ে কথা বলেছেন জয়া আহসান।
আপনার অভিনীত পাঁচটি সিনেমা ও একটি ওয়েব সিরিজ মুক্তি পেয়েছে ২০২৫ সালে। সবগুলোই প্রশংসা কুড়িয়েছে।
স্বাভাবিকভাবেই এটা ভালো লাগার ব্যাপার। নিজের কাজ যখন দর্শক দেখেন, উপভোগ করেন, তখন অবশ্যই ভালো লাগে, সুখের অনুভূতি কাজ করে।
ক্যারিয়ারের এই সাফল্যকে কীভাবে দেখেন?
সাফল্যে বিশ্বাস করি না। মন দিয়ে কাজ করি। কাজটাই সব। সবসময় চাই কাজটি যেন সুন্দর করে শেষ করতে পারি। মানুষ মনে রাখবেন, তেমন কাজ বেশি বেশি করতে চাই।
আমার কাছে কাজ করে যাওয়াটাই বড় আনন্দের। আনন্দ নিয়ে কাজ করে যেতে চাই।
'জিম্মি' এবং 'ডিয়ার মা' ও 'পুতুলনাচের ইতিকথা' নিয়ে আপনার মতামত শুনতে চাই।
'জিম্মি' আমার প্রথম ওয়েবসিরিজ। দর্শকরা কাজটি দেখেছেন, এটা আমার জন্য আনন্দের। ভালো একটি কাজ 'জিম্মি'।
'ডিয়ার মা' অসংখ্য দর্শক দেখেছেন। এটা ব্যবসা সফল সিনেমা। আর 'পুতুলনাচের ইতিকথা' বহুল প্রশংসিত সিনেমা।
অভিনয়ের বাইরে কী করতে ভালো লাগে?
সবজি চাষ করতে ভালো লাগে। শহরের জীবন আমাদের যান্ত্রিক করে দিয়েছে। গ্রামের জীবন অনেক ভালো কিছু মনে করিয়ে দেয়। তাই শখ করে সবজি চাষ করি।
আপনার এতদূর আসার পেছনে কার অবদান বেশি?
আমার মায়ের অবদান বেশি। বাবার অবদানও আছে। তবে, মায়ের কৃতিত্ব বেশি। গানের স্কুলে নিয়ে যাওয়া, আর্ট শেখা—সবকিছুর জন্য মায়ের অবদানই বেশি। আমরা তিন ভাই বোন। মায়ের অবদান সবার জন্য সমান।
অবসর কাটে কীভাবে?
গাছের পরিচর্যা করেই কেটে যায় বেশির ভাগ অবসর সময়। তাছাড়া, পশু-পাখির প্রতি আলাদা ভালোবাসা আছে। অবসরে তাদের যত্ন নিই। একদম ছোটবেলা থেকেই পশু-পাখির প্রতি ভালোবাসা কাজ করে। এটা বোধহয় রক্তে ছিল। পরিবার থেকেই পেয়েছি।
এ ছাড়া, পরিবারের সঙ্গে সময় কাটাই, বই পড়ি।
এখন কোন বইটি পড়ছেন?
মণীন্দ্র গুপ্তর 'অক্ষয় মালবেরি' পড়ছি। খুবই ভালো একটি বই।
সম্প্রতি ফেসবুকে লিখেছেন 'বন্ধু বিনে প্রাণ বাঁচে না…'।
এটা একটা গানের লাইন। সত্যি কথা বলতে, ভালো বন্ধু অনেক লাগে না। দু-তিন জনই যথেষ্ট। ভালো বন্ধু অনেক হয়ও না। এটাই বাস্তব।