স্বাধীন ফিলিস্তিনের কথা ভুলে যাবেন না: ট্রাম্পকে ইউরোপীয় ইউনিয়নের চাপ

By স্টার অনলাইন ডেস্ক
18 October 2025, 10:50 AM
UPDATED 18 October 2025, 16:59 PM

গাজায় ইসরায়েলি গণহত্যা বন্ধে যুদ্ধবিরতির পর তেল আবিব চাচ্ছে এখন দেশটির বিরুদ্ধে অন্য দেশগুলোর বিশেষ করে, ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) দেশগুলোর সব নিষেধাজ্ঞা তুলে নেওয়া হোক। এমন পরিস্থিতিতে ইইউ চাচ্ছে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প যেন গাজা যুদ্ধবিরতি চুক্তির মাধ্যমে স্বাধীন ফিলিস্তিনের কথা ভুলে না যান।

গতকাল শুক্রবার প্রভাবশালী সংবাদমাধ্যম পলিটিকোর প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়।

এতে বলা হয়, প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের কাছে ইইউ যে খসড়া পরিকল্পনা তুলে ধরতে যাচ্ছে তাতে ফিলিস্তিনকে স্বাধীন রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতির ওপর জোর দেওয়া হয়েছে।

ইইউ জোটের পররাষ্ট্র বিভাগের সেই চার পৃষ্ঠার পরিকল্পনা আগামী সপ্তাহে সদস্য দেশগুলোর কাছে তুলে ধরা হবে।

এই পরিকল্পনায় বলা হয়েছে যে, স্থায়ী শান্তি নিশ্চিত করতে যুক্তরাষ্ট্রের নেতৃত্বে যে চুক্তি হয়েছে তা বাস্তবায়নে ইইউয়ের কর্মকর্তারা সর্বোচ্চ চাপ দেবে।

জোটের বেশ কয়েকটি দেশ ইতোমধ্যে ফিলিস্তিনকে স্বাধীন রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছে। ইসরায়েলের পাশাপাশি ফিলিস্তিন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে যে দুই রাষ্ট্র সমাধানের কথা বলা হচ্ছে তাতে ইইউয়ের ভূমিকা তারা বাড়াতে চায়।

পরিকল্পনা অনুসারে, যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে পরবর্তী কূটনৈতিক আলোচনায় ইইউ ফিলিস্তিন কর্তৃপক্ষের গুরুত্ব তুলে ধরবে।

ইইউয়ের পররাষ্ট্র বিভাগ চাচ্ছে, ফিলিস্তিনের যে প্রতিষ্ঠানগুলোর ওপর অর্থনৈতিক নিষেধাজ্ঞা আছে সেগুলো দূর করা হোক। এ ছাড়াও, ইসরায়েলের দখলে থাকা ফিলিস্তিনের পশ্চিমতীরে অবৈধ ইহুদি বসতিগুলোর ওপর চাপ বাড়াতে হবে।

ফিলিস্তিনের সশস্ত্র সংগঠন হামাস যেন চুক্তির পুরোপুরি বাস্তবায়ন করে তা নিশ্চিত করতে ইসরায়েলি সরকারের পাশাপাশি মিশর, কাতার ও তুরস্কের সঙ্গে কাজ করার কথাও ইইউ পরিকল্পনায় বলা হয়েছে।

এই জোট গাজায় মানবিক সহায়তার পরিমাণ-প্রবাহ এবং মিশর-গাজা সীমান্তের রাফা ক্রসিংয়ে বেসামরিক চলাচল দেখভাল করতে চায়। পরে জোটভুক্ত রাষ্ট্রগুলোর অনুমতি পেলে গাজায় পণ্য হস্তান্তর প্রক্রিয়া পর্যবেক্ষণও করতে চায় ইইউ।

ইইউ আরও চায় যে ফিলিস্তিন ভূখণ্ডে কাজ করা বেসরকারি প্রতিষ্ঠানগুলোর ওপর ইসরায়েল নিষেধাজ্ঞা তুলে নিক।

ইইউ ভবিষ্যতে যুদ্ধবিধ্বস্ত গাজায় পুনর্গঠনের কাজে ও স্থলমাইন অপসারণে অংশ নিতে চায়। সেখানে বিনিয়োগ ও ব্যবসা-বাণিজ্য করতে চায়। ফিলিস্তিনিদের সঙ্গে শিক্ষাবিষয়ক কর্মসূচি আবার শুরু করতে চায়। এসব কর্মসূচি ইসরায়েলি নিষেধাজ্ঞার কারণে বন্ধ হয়ে আছে।