মাউন্ট মানাসলু অভিযান
প্রথম বাংলাদেশি হিসেবে কৃত্রিম অক্সিজেন ছাড়াই বিশ্বের অষ্টম সর্বোচ্চ পর্বত মানাসলু (৮ হাজার ১৬৩ মিটার) শিখরে আরোহণ করেছেন পর্বতারোহী বাবর আলী। গত ২৬ সেপ্টেম্বর নেপালের স্থানীয় সময় ভোর সাড়ে ৪টার দিকে এই পর্বত-শিখর স্পর্শ করেন তিনি।
'মাউন্টেন অব দ্য স্পিরিট'-খ্যাত এই পর্বতের অবস্থান নেপালের মানসিরি হিমাল রেঞ্জে। দ্য ডেইলি স্টারের পাঠকদের জন্য মাউন্ট মানাসলু আরোহণের রোমাঞ্চকর গল্প নিয়ে হাজির হয়েছেন এভারেস্টজয়ী এই পর্বতারোহী।
বাবর আলীর লেখায় 'মানাসলু অভিযানের দিনলিপি'র আজ বুধবার পড়ুন পঞ্চম পর্ব।
১১ সেপ্টেম্বর, ২০২৫
ক্রিসেরও সুপ্ত ইচ্ছে আমার মতোই অক্সিজেন ছাড়া মানাসলু আরোহণের। যদিও সেটা নানান যদি আর কিন্তুর ওপর নির্ভরশীল। ক্যাম্প-৩-এ রাত কাটিয়ে আসতে পারলে আর শরীরকে ধর্তব্যে নিয়ে পরের সিদ্ধান্ত নেব আমি। একই অভিলাষ ক্রিসেরও। এটা ওর প্রথম আট হাজার মিটারি অভিযান। গত বছর হিমালয়ের অন্যতম সুন্দর চূড়া আমা দাবলাম আরোহণ করেছে ও। ক্যালকুলেটেড রিস্ক নিয়ে ডাইনিংয়ে বসে আলোচনার এক ফাঁকে ক্রিস বলল, 'দেয়ার আর ওল্ড মাউন্টেইনিয়ারস অ্যান্ড দেয়ার আর বোল্ড মাউন্টেইনিয়ারস। বাট দেয়ার আর নো ওল্ড অ্যান্ড বোল্ড মাউন্টেইনিয়ারস। বাট এক্সেপ্ট রেইনহোল্ড মেসনার, কনরাড এনকার, ক্রিস বনিংটন, এড ভিয়েস্তুরস অ্যান্ড অ্যা ফিউ অব দেম। দে আর ওল্ড অ্যান্ড বোল্ড টু।' আমি ওর সঙ্গে খানিকটা দ্বিমত পোষণ করলাম।
ক্রিসের সঙ্গে আমাদের বেশ জমে গেছে। আমাদের আবাস বিশ্বের দুই প্রান্তে। ভৌগোলিকভাবে দূরত্ব থাকলেও মানসিকভাবে আমরা বেশ কাছাকাছি। বলা হয়ে থাকে, খাবারের মতো লেভেলার দুনিয়ায় খুব কমই আছে। পর্বতও অনেক ক্ষেত্রে দারুণ লেভেলার। কারও সঙ্গে কথোপকথনের সময় তার সামাজিক স্ট্যাটাস, অর্থনৈতিক অবস্থা এসব ধর্তব্যে না এনেও দিব্যি কথা চালিয়ে নেওয়া যায় পর্বতে। নিজের চেনা গণ্ডির মানুষের সঙ্গের বদলে এতগুলো সমমনা মানুষের সাহচর্য পাওয়াও বিশাল ব্যাপার। খাওয়া-পরার এন্তেজাম করতেই ফুরিয়ে যায় আমাদের আয়ুর বেশিরভাগ। এর বাইরেও যে বিশাল একটা পৃথিবী আছে, সেটা অধিকাংশ সময়েই আমরা ভুলে যাই; এই দুনিয়ায় টিকে থাকার বাধ্যবাধকতাতেই হয়তো।
সকালের নাশতার পর গ্রামে ঘুরতে বেরোলাম। গ্রামের শেষ মাথায় একটা মনাস্ট্রি আছে। সামদো নামের এই গ্রামটি মূলত তিব্বতি গ্রাম। শেরপাদের মতো এরাও পূর্ব দেশ থেকে এসেছে অনেক বছর আগে। এই গ্রামের অধিকাংশ বাসিন্দার নামের শেষে লামা আছে। তবে ওদের 'তিব্বতি' বললে খানিকটা অপমানিত বোধ করে। আমাদের দেশের পাহাড়ি জনগোষ্ঠীকে যেমন আমরা সমতলের বাসিন্দারা অবজ্ঞাভরে 'উপজাতি' বলি। বাঙালি জাতিসত্তার বাইরে বাকিদের আমরা অতি সহজেই 'উপজাতি' বলে অভিহিত করি। নিজেদের জাতিসত্তাকে বাকি সবার চেয়ে উৎকৃষ্ট ভাবার প্রবণতা যেকোনো রাষ্ট্রের সংখ্যাগরিষ্ঠ জাতিসত্তার মধ্যে অনেকটা অবচেতনে হলেও থাকে। অন্য জাতিসত্তার লোকেদের নিজেদের চেয়ে হীন মনে করার প্রবৃত্তি সংখ্যাগরিষ্ঠ জনগোষ্ঠীর মধ্যে প্রবল। এটা দুনিয়ার সব দেশের ক্ষেত্রেই সত্য। এই গ্রামের লোকেরা নিজেদের 'তিব্বতি' এর বদলে 'নুব্রি' বলে পরিচয় দিতে স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করে। পাহাড়কে উপজীব্য করে বেঁচে থাকা মানুষদের বাদ দিয়ে কি আর পাহাড়ের সংস্কৃতি কিংবা আচার-বিচার বোঝা যায়? তিলচে থেকে ট্রেক শুরুর পর মোটামুটি সব গ্রামই ছিল গুরুং-অধ্যুষিত।
পৌনে ১০টার দিকে চলা শুরু। প্রথমেই গ্রাম পেরিয়ে ঝিরির সমান্তরালে নেমে যাওয়া। এখানেই বিক্রমের সঙ্গে দেখা। তানভীর ভাইয়ের সঙ্গে আমা দাবলাম অভিযানে পরিচয় হয়েছিল ওর। রামেচাপের ছেলে। খুবই সপ্রতিভ আর প্রাণচঞ্চল। তানভীর ভাইয়ের একটু খেদ ছিল আমাদের একসঙ্গে হাঁটা হচ্ছে না দেখে। আগের দুদিন আসলেই ওনার সঙ্গে হাঁটা হয়েছে কম। আজ মোটামুটি একসঙ্গেই চলছি।
ট্রেইলের বামে ঝিরি। আর ঝিরির গোড়া থেকে পাহাড় উঠে গেছে আকাশে। পাহাড়ের কাঁধ অবধি বার্চ বন। এরপরেই পাথুরে পাহাড়। পাহাড়ের খাঁজ গলে নেমে আসছে দুগ্ধফেনিভ জলরাশি। আর পাহাড়ের চূড়ার অংশটুকু মুখ লুকিয়েছে মেঘের আড়ালে। আমার কল্পিত স্বর্গের চেয়েও এই জায়গাটা সম্ভবত সুন্দর।
চলতে চলতে ক্রিসের সঙ্গে কথা হচ্ছে। ট্রেকে এলেই ওর নাকি আগের প্রেমিকার কথা মনে পড়ে। মানুষের ট্রেকে গিয়ে কত সুন্দর স্মৃতি থাকে; আর ওর হয়েছিল ব্রেকাপ। একটা ছয়-সাত ঘণ্টার ট্রেইলে ঢুকেছিল ক্রিস আর ওর প্রাক্তন দয়িতা। সঙ্গে সাকুল্যে দুই লিটার পানি। পুরো পথে আর পানি মিলবে না। আধাঘণ্টা যেতে না যেতেই ও প্রকৃতির ডাকে সাড়া দিয়ে ফিরে এসে দেখে সঙ্গে থাকা সবেধন নীলমণি দুই লিটার পানির দেড় লিটারই ঢকঢক করে গিলে ফেলেছে ওর প্রেমিকা। অথচ ট্রেকে গেলে ঢকঢক পানি না গিলে ছোটো ছোটো চুমুক দেওয়াই দস্তুর। ব্যাপারটা দেখে রোখ চাপতে না পেরে ক্রিস একটু বেশিই কথা শুনিয়ে ফেলেছিল। বাকি আধা লিটার পানি ওর দিকে ছুঁড়ে দিয়ে ওখানেই সম্পর্কের ইতি টেনেছিল ওর প্রেমিকা। শুনে আমি বললাম, 'দ্যাটস দ্য উইয়ারডেস্ট ওয়ে টু এক্সপেরিয়েন্স অ্যা ব্রেক-আপ।' এরপর থেকে ক্রিস ট্রেকে এলে প্রচুর পানি বহন করে। এই পরিমাণ পানি দিয়ে তৃষ্ণা মেটানোর পাশাপাশি একজন প্রাপ্তবয়ষ্ক মানুষের গোসলও সেরে ফেলা যাবে।
'উইয়ারডেস্ট' শব্দটা শুনে সে তৎক্ষণাৎ আরেকটা ঘটনা শোনাল। ওর এক কাছের বন্ধুরও ব্রেক-আপ হয়েছে নাকি ট্রেকে গিয়ে। ট্রেকের বিরতিতে কাঁধ থেকে ব্যাকপ্যাক নামিয়ে রেখেছিল ওর সেই বন্ধু। সেটা অসাবধানতাবশত গড়িয়ে গিয়ে ওর বান্ধবীর মেকাপ বক্স ভেঙে যায়৷ এর সঙ্গে আগের জমে থাকা ক্ষোভ মিলিয়ে ওই ট্রেকের পরেই ওর বন্ধুর ব্রেক-আপ হয়ে যায়। এবার আমি মুশকিলে পড়ে গেলাম কোনটা অধিক আজব ঘটনা সেটার উপসংহারে পৌঁছাতে।
ঝিরির অন্যপাশেও প্রচুর বার্চ গাছ আছে। বার্চের ছালে অতি সহজেই লেখা যায়। এর ছাল মোটামুটি উঠানোই থাকে। একই দশা আমাদের দেশের অর্জুন গাছেরও। এর ছাল দামি হওয়ায় অধিকাংশ সময়েই এর ছাল-চামড়া আর আস্ত থাকে না। চলতে চলতে সুউচ্চ পাহাড়গুলোর দিকে চোখ মেলে তাকাই; শান্ত সমাহিত নির্বিকারভাবে হাজার হাজার বছর ধরে এভাবেই দাঁড়িয়ে ওরা। এই গম্ভীর মৌনভাবের জন্যই লোকের কাছে হিমালয় দেবভূমি। অজ্ঞানতার আঁধার থেকে মুক্ত হওয়ার জন্য সেই আদিকাল থেকে সাধু-তীর্থযাত্রীরা নিজেদেরকে সঁপে দিয়েছে এই সুবিশাল ভূখণ্ডের কাছে। তবে সেকালের তীর্থযাত্রীরা এ যুগের তীর্থযাত্রীদের মতো অন্যের কাঁধে চড়ে পুণ্য লাভের জন্য যেতেন না।
চলতি পথে রিতার সঙ্গে পরিচয় হলো। ভারতীয় বংশোদ্ভূত কানাডিয়ানের মূল বাড়ি পশ্চিমবঙ্গের শিলিগুড়ির দিকে নেপাল-ভুটান সীমান্তে। বাংলা, ইংরেজি, হিন্দি আর নেপালি-চার ভাষাতেই ওর ভিত মজবুত। নিজেদের মধ্যে নানান বিষয়ে প্রচুর গল্প হচ্ছিল। এক জায়গায় বেস ক্যাম্পে যাবার রাস্তা পড়ল। কাল এখান থেকে বামে এগিয়েই বেস ক্যাম্প যেতে হবে। কিছুটা এগিয়ে একটা চোর্তেনের পাশে থামা হলো। ফুর্বা দাইয়ের ছেলে রিনজে এসে জানাল, চলমান আন্দোলনে জেন-জিদের অবদানের কথা মাথায় রেখে ও র্যাপার হিসেবে নিজের নাম জেন-জি করে নিয়েছে।
পরের পথটুকু আত্ম-নিমগ্ন হয়ে চলা। আজকের পথটা বেশ সহজ। খুব বেশি চড়াই-উতরাই নেই। দুপাশে ঘাসের মাঝখানে মেঠো পথ ধরে চলছি। মাত্র ১ ঘণ্টা ৪৫ মিনিটে পৌঁছে গেলাম সামাগাঁও। ৩ হাজার ৮০০ মিটার থেকে নেমে এলাম ৩ হাজার ৫০০ মিটারে। বেশ বড়সড় এই গ্রামকে এভারেস্ট বেস ক্যাম্প ট্রেকের নামচে বাজারের সঙ্গে তুলনা করা যায়। উচ্চতায়ও এই দুই গ্রামের প্রায় সহাবস্থান। তবে নামচের মতো গিয়ার শপ কিংবা ঝাঁ চকচকে ক্যাফে নেই। বদলে আছে তিব্বতি জীবনধারার শান্ত-সমাহিত রূপ। শহুরে জীবনের গতি, অধৈর্য, অহেতুক তাড়াহুড়ো এখানে অনুপস্থিত। গতি নামক উত্তাল চাকার বদলে এখানে আছে ধীরতার সুখ। সবকিছুই হচ্ছে, তবে সেটা ধীরলয়ে। জীবিকা-নির্বাহের তাড়নাকে ছাপিয়ে জীবনই এখানে হয়ে উঠেছে প্রকট।
সুন্দর একটা স্তূপ পেরিয়ে কিছুটা এগিয়ে তাশি দেলেক নামক সুন্দর একটা লজে উঠলাম। কাচের জানালার ওপাশে ততক্ষণে ঝকঝকে রোদ উঠেছে। দুপুরে ডাল-ভাত খাওয়ার ফাঁকেই চারপাশ কাঁপিয়ে হেলিকপ্টার এলো। এতক্ষণ গ্রামটাকে শাসন করছিল নীরবতা। সেটা নিমেষে খানখান হয়ে গেল। মানাসলু অভিযানের অনেক অভিযাত্রীই এখান অবধি ডানাবিহীন এই আকাশযানে চলে আসেন। পরে অভিযোজনের জন্য কমপক্ষে দুদিন থাকেন। তবে হেলিকপ্টার চলাচল পুরোপুরি আবহাওয়া নির্ভর ব্যাপার। ২০২২ সালে মানাসলু সার্কিট ট্রেক করতে এসে অভিজিৎ নন্দী দা আর নোমান খান ভাই বেশ কদিন আটকে ছিলেন এই সামাগাঁওতে। টানা বর্ষণে সামাগাঁও থেকে মাছাখোলা অবধি রাস্তায় স্থানে স্থানে হয়েছিল ভূমিধস। আর লারকে পাস সেবার কয়েক ফুট তুষারের নিচে চাপা পড়েছিল। হেলিকপ্টার চলাচলের উপযোগী আবহাওয়া কীভাবে বোঝা যায় সেটা বুঝিয়ে দিলো গেসমেন। দুই পাহাড়ের মাঝের এক করিডর ধরে সামাগাঁওতে হেলিকপ্টার আসে। সেটা মেঘে ঢাকা থাকলে কাঠমান্ডুর সঙ্গে হেলিকপ্টার যোগাযোগ সম্ভবপর হয় না।
আমাদের অভিযানের মালবাহকরা এখান থেকে ফিরে যাবে। সামাগাঁও থেকে বেস ক্যাম্প অবধি মালবহনের কাজ করে এই গ্রামের স্থানীয়রা। বাইরের কাউকে এখানে কাজ করতে দেওয়া হয় না। প্রাণশক্তিতে ভরপুর এই কর্মযোগীদের বিদায় জানিয়ে গেলাম গ্রামের হেলথ পোস্টে। ক্রিস কাঠমান্ডু থেকেই পেটের পীড়ায় ভুগছিল। এই সুযোগে অতি উচ্চতার হেলথ পোস্ট কেমন হয়, সেটা দেখার সুযোগ ছাড়লাম না। প্রথমেই ক্রিসের ওজন নেওয়া হলো। দশাসই শরীরের ওজন শয়ের কাঁটা পেরিয়ে আরও পাঁচ দাগ এগোল। নিজের চিকিৎসক পরিচয় না দিয়ে উৎসুক দৃষ্টিতে চারপাশ দেখলাম। সরকারি চিকিৎসালয় হওয়ায় মুফতেই মিলল চিকিৎসাসেবা।
বিকেলে গেলাম লোটাস ফিট অব মানাসলু হেরিটেজ গোম্পাতে। অভিযানের সফলতার উদ্দেশ্যে পূজা দেওয়ার জন্যই পাহাড় চূড়ার মনাস্ট্রিতে উঠলাম সবাই। গ্রামের শেষ মাথা থেকে গোম্পার চূড়া অবধি মিনিট দশেকের হাঁটাপথ। হাঁটতে হাঁটতে ক্রিসকে জিজ্ঞেস করলাম, 'নেপালের নতুন সরকার নিয়ে তোমার কী ভাবনা?'
ও বলল, কে ক্ষমতায় আসল কিংবা কে পালাল সেটা নিয়ে আমার মাথাব্যথা নেই। 'আই জাস্ট ওয়ান্ট চিপার পারমিটস ফর ক্লাইম্বিং'।
পাথরের ওপর মাটির প্রলেপ দেওয়া দেওয়ালে ঘেরা লোটাস ফিট গোম্বা। জুতা খুলে গোম্বার অভ্যন্তরে কাঠের মেঝেতে পা রাখতেই ঠান্ডায় পা অসাড় হবার জোগাড়। পদ্মসম্ভবার নানান আকারের মূর্তি আছে গোম্বার অভ্যন্তরে। বেশ কিছুক্ষণ অপেক্ষার পর একজন থুত্থুড়ে লামা এলেন। বয়সের ভারে ন্যুব্জ হলে কী হবে, চোখে অন্তর্ভেদী দৃষ্টি। ওনার সামনে দাঁড়াতেই মনে হলো আমার অন্তরের ভেতরটা অবধি দেখে নিয়েছেন। কী তীব্র সেই দৃষ্টি।
ফেরার পথে চোখে পড়ল মিলারেপা মেমোরিয়াল পিস গার্ডেনের ছোট্ট একটা সাইনবোর্ড। এত কাছে এসে মিলারেপা দর্শন না করে যাই কীভাবে। গ্রামের মূল রাস্তা থেকে সরু একটা পথ ধরে অল্প এগোতেই মহাযোগীর বিশাল মূর্তি। লম্বা চুলের হাড় জিরজিরে মিলারেপা ধ্যানী ভঙ্গিতে চেনা মুদ্রায় বসা। মিলারেপার মূর্তি দেখে দেবদর্শন-জনিত আনন্দ নিয়ে লজে ফিরলাম।



