অবৈধ আয়: যুব মহিলা লীগের পাপিয়া ও স্বামী সুমনের ৪২ মাসের কারাদণ্ড

By স্টার অনলাইন রিপোর্ট
14 August 2025, 11:39 AM

যুব মহিলা লীগের বহিষ্কৃত নেত্রী শামীমা নূর পাপিয়া ও তার স্বামী মফিজুর রহমান সুমনের ৪২ মাসের কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত।

প্রায় ৬ কোটি ২৪ লাখ টাকা অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে দায়ের করা মামলায় আজ বৃহস্পতিবার ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৩ এর বিচারক মোহাম্মদ আবু তাহের এ রায় দেন।

আদালতে এসময় জামিনে থাকা পাপিয়া দম্পতি উপস্থিত ছিলেন। রায়ের পরপরই বিচারক তাদের জামিন বাতিল করে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।

বিচারক তাদের দুজনের প্রত্যেককে ৫ লাখ টাকা করে জরিমানাও করেছেন, অনাদায়ে আরও ছয় মাস কারাদণ্ড ভোগ করতে হবে।

রায়ে বিচারক বলেন, রাষ্ট্রপক্ষ তাদের বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ নিঃসন্দেহে প্রমাণ করতে পেরেছে।

এর আগে রাষ্ট্রপক্ষ এবং আসামিপক্ষ তাদের যুক্তি উপস্থাপন সম্পন্ন করে এবং আদালত মামলার অভিযোগকারীসহ ২২ জন রাষ্ট্রপক্ষের সাক্ষীর বক্তব্য রেকর্ড করে।

২০২০ সালের ৪ আগস্ট দুদক ঢাকার সমন্বিত জেলা কার্যালয়-১ এ পাপিয়া দম্পতির বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করে।

মামলার বিবরণী অনুযায়ী, পাপিয়া ২০১৯ সালের ১২ অক্টোবর থেকে ২০২০ সালের ২২ ফেব্রুয়ারির মধ্যে ওয়েস্টিন হোটেলে ৩ কোটি ২৩ লাখ টাকারও বেশি নগদ অর্থ পরিশোধ করেন।

২০২১ সালের ৩০ মার্চ দুর্নীতি দমন কমিশনের উপপরিচালক সিনিয়র স্পেশাল জজ আদালতে তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র জমা দেন।

২০২১ সালের ৩০ নভেম্বর একই আদালত মামলায় পাপিয়া দম্পতির বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করে।

এর আগে, ২০২০ সালের ২২ ফেব্রুয়ারি র‍্যাবের একটি দল পাপিয়া, তার স্বামী সুমন ও তাদের ২ সহযোগীকে দেশত্যাগের চেষ্টা করার সময় ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে গ্রেপ্তার করে।

পরে অভিযান চালিয়ে তাদের কাছ থেকে ৭টি পাসপোর্ট, ২ লাখ ১২ হাজার ২৭০ টাকা, ২৫ হাজার ৬০০ টাকার জাল নোট, ১১ হাজার ৪৮১ মার্কিন ডলার, ৪২০ শ্রীলঙ্কান রুপি, ৩০১ ভারতীয় রুপি ও দুটি ডেবিট কার্ড উদ্ধার করে।

৩ কোটি ২৩ লাখ টাকা পাচারের অভিযোগে চলতি বছরের ২৫ মে পাপিয়াকে চার বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়।

অবৈধ আগ্নেয়াস্ত্র রাখার অভিযোগে দায়ের করা আরেকটি মামলায় ২০২০ সালের ১২ অক্টোবর এই দম্পতির ২০ বছরের কারাদণ্ড হয়।