চট্টগ্রাম ও সাতক্ষীরায় পৃথক অভিযানে অস্ত্রসহ গ্রেপ্তার ৩

By স্টার অনলাইন রিপোর্ট
17 November 2025, 12:12 PM

চট্টগ্রামের রাউজান, রাঙ্গুনিয়া ও চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় এলাকা এবং সাতক্ষীরার শ্যামনগর উপজেলায় পৃথক অভিযানে পুলিশ ও সেনাবাহিনী তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে। এসব অভিযানে বিদেশি পিস্তল, শটগানসহ বিপুল গুলি ও ধারালো অস্ত্র উদ্ধার করা হয়েছে।

চট্টগ্রামের রাউজান ও রাঙ্গুনিয়ায় সোমবার দুটি পৃথক অভিযানে পুলিশ একটি বিদেশি পিস্তল ও ঘরে তৈরি হালকা বন্দুকসহ (এলজি) দুইজনকে গ্রেপ্তার করে।

গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন শাহ আলম ওরফে ডাকাত শাহ আলম এবং হুমায়ুন উদ্দিন আকাশ ওরফে লেদাইয়া।

অভিযানে পাঁচটি এলজি, একটি বিদেশি পিস্তল, পাঁচ রাউন্ড পিস্তলের গুলি এবং দুটি কার্তুজ উদ্ধার করা হয়।

চট্টগ্রাম জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (শিল্প এলাকা ও ডিবি) মো. রাসেল দ্য ডেইলি স্টারকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

তিনি জানান, শাহ আলমকে গ্রেপ্তারের সময় তিনি দৌড়ে পালানোর চেষ্টা করেন। পালানোর সময় তিনি তার কাছে থাকা একটি বিদেশি পিস্তল রাস্তার পাশের পুকুরে ফেলে দেন। ধাওয়া করে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। পরে তার তথ্যের ভিত্তিতে একটি বাড়িতে তল্লাশি চালিয়ে চারটি দেশীয় এলজি, দুটি কার্তুজ, একটি খালি কার্তুজের খোসা ও একটি খালি গুলির খোসা উদ্ধার করা হয়।

তিনি আরও জানান, আরেকটি ঘটনায় পুকুর তল্লাশি করে পুলিশ পাঁচ রাউন্ড গুলিভর্তি একটি পিস্তল উদ্ধার করে। শাহ আলমের বিরুদ্ধে মোট নয়টি মামলা রয়েছে। হাটহাজারী থানায় দায়ের করা ব্যবসায়ী হাকিম হত্যা মামলারও অন্যতম আসামি তিনি।

রাঙ্গুনিয়া থানার পদুয়া ইউনিয়নের মৌলভীখিল এলাকা থেকে হুমায়ুন উদ্দিন আকাশ ওরফে লেদাইয়াকে গ্রেপ্তার করা হয়। পরে তার দেওয়া তথ্য অনুযায়ী রাউজান উপজেলার একটি ঝোপের ভেতর থেকে একটি এলজি ও দুই রাউন্ড কার্তুজ উদ্ধার করা হয়।

এ ছাড়া, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় (চবি) এলাকায় সংঘর্ষের সময় ছাত্রদের ওপর হামলা এবং সম্পত্তি ভাঙচুরের অভিযোগে দায়ের করা মামলায় যুবলীগ নেতা হানিফকে আটক করা হয়েছে। তার বিরুদ্ধেও এফআইআর দায়ের করা হয়েছে।

সাতক্ষীরার শ্যামনগর উপজেলার সুন্দরবন সংলগ্ন এলাকায় সোমবার ভোরে সেনাবাহিনী অভিযান চালিয়ে এস.এম. সাইফুল ওয়াদুদ (৫১) নামের এক ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করে।

কালিগঞ্জ সেনা ক্যাম্পের কর্মকর্তারা জানান, গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে আনুমানিক রাত ১টার দিকে অভিযান পরিচালনা করা হয়।

সেনা সূত্র জানায়, সাইফুল দীর্ঘদিন ধরে সুন্দরবনের গভীর বনে ডাকাতি ও লুটপাটের সঙ্গে জড়িত ছিলেন এবং তিনি ২০১৭ সালের একটি অস্ত্র মামলার আসামি। সেনাবাহিনীর টহল দল বাড়ি ঘিরে ফেললে তিনি ছাদ থেকে লাফিয়ে পালানোর চেষ্টা করে ব্যর্থ হন। কিছুক্ষণ পর তাকে আটক করা হয়। পরবর্তীতে তার বাড়িতে তল্লাশি চালিয়ে একটি সিঙ্গেল ব্যারেল শটগান, ২৭ রাউন্ড গুলি এবং তিনটি ধারালো অস্ত্রউদ্ধার করা হয়। পাঁচটি মোবাইল ফোনও জব্দ করা হয়।

উদ্ধারকৃত অস্ত্র ও মালামালসহ সাইফুলকে শ্যামনগর থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।

শ্যামনগর থানা ওসি হুমায়ুন কবির মোল্যা বলেন, সাইফুলকে বিকাল ৩টার দিকে আনুষ্ঠানিকভাবে পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। 'পালানোর চেষ্টা করার সময় তার পায়ে আঘাত লাগে। শ্যামনগর স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের এক্স-রেতে ফ্র্যাকচার নিশ্চিত হয়েছে। তাকে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে এবং আগামীকাল আদালতে হাজির করা হবে।'