ঝিনাইদহে সনদ জালিয়াতি মামলায় সাবেক প্রধান শিক্ষকের ৭ বছরের কারাদণ্ড
ঝিনাইদহে সনদ জালিয়াতির অভিযোগে একটি স্কুলের সাবেক প্রধান শিক্ষককে ৭ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড ও ২০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড দিয়েছেন চিফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত।
আজ বুধবার ঝিনাইদহ চিফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মাসুদ আলী এ রায় ঘোষণা করেন।
দণ্ডপ্রাপ্ত শিক্ষক মো. রনি আক্তার সদর উপজেলার অধ্যক্ষ মোশাররফ হোসেন-সালেহা খাতুন মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সাবেক প্রধান শিক্ষক।
মামলার বাদি একই বিদ্যালয়ের বর্তমান ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক নাসরীন আক্তার। তিনি ২০২৪ সালের ১৪ নভেম্বর সদর থানায় মামলা (জিআর নং–৫২৮/২৪) করেন।
অভিযোগে বলা হয়, শিক্ষক নিবন্ধন ও বিএড সনদ জালিয়াতি করে চাকরি পেয়েছিলেন রনি আক্তার।
ঝিনাইদহ কোর্ট পুলিশের পরিদর্শক মো. মোক্তার হোসেন দ্য ডেইলি স্টারকে জানান, জাল সনদ ব্যবহার করে চাকরির অপরাধে আদালত রনি আক্তারকে দুটি ধারায় ৭ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড ও ২০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড দিয়েছেন।
জরিমানার অর্থ অনাদায়ে দুটি ধারায় ৩ মাস করে মোট ৬ মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড ভোগ করতে হবে। রায়ে বলা হয়েছে, উভয় সাজা ধারাবাহিকভাবে কার্যকর হবে।
রায় ঘোষণার সময় আসামি আদালতে উপস্থিত ছিলেন।
বিবাদি পক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট মো. তারিকুল আলম দাবি করেন, মামলাটি অনেক দ্রুত নিষ্পত্তি করা হয়েছে। এ রায়ের বিরুদ্ধে তারা উচ্চ আদালতে আপিল করবেন।