বিএনপি নেতা ফজলুর রহমানকে ৮ ডিসেম্বর ট্রাইব্যুনালে তলব
আদালত অবমাননার অভিযোগের ব্যাখ্যা দিতে বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ও সুপ্রিম কোর্টের জ্যেষ্ঠ আইনজীবী ফজলুর রহমানকে আগামী ৮ ডিসেম্বর সশরীরে হাজিরের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। একইসঙ্গে সেদিন ফজলুর রহমানকে একাডেমিক সার্টিফিকেট ও বার কাউন্সিলের সার্টিফিকেট আনতে নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।
আজ রোববার বিচারপতি মো. গোলাম মর্তূজা মজুমদারের নেতৃত্বাধীন দুই সদস্যের আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১ এই আদেশ দেন।
শুনানির সময় ট্রাইব্যুনাল ব্যাখ্যা চাইলে প্রসিকিউটর গাজী মনোয়ার হোসেন তামিম এবং মিজানুল ইসলাম ফজলুর রহমানের পরিচয় তুলে ধরেন।
আদালত প্রশ্ন তোলেন—ফজলুর রহমান আসলেই আইনজীবী কি না, তার বৈধ এনরোলমেন্ট কাগজপত্র আছে কি না এবং তিনি কখনও কোনো আদালতে নিয়মিত আইনচর্চা করেছেন কি না?
এ সময় প্রসিকিউটর তামিম ট্রাইব্যুনালকে জানান, ফজলুর রহমান ৪৪ বছরের আইনজীবী অভিজ্ঞতার দাবি করলেও নথিপত্রে দেখা যায় তিনি ১৯৯২ সালে আইন পেশা শুরু করেন। সে হিসেবে তার অভিজ্ঞতা ৩৩ বছর।
ট্রাইব্যুনাল পর্যবেক্ষণে জানান, আইন, রায় বা বিচারকদের সমালোচনা করা যায়, কিন্তু রায় মানতে অস্বীকৃতি জানানো শুধু আদালত অবমাননাই নয়, এটি রাষ্ট্রদ্রোহের শামিল।
গত ২৬ নভেম্বর প্রসিকিউশন বিএনপি নেতার বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার অভিযোগ করে।