বৈষম্যবিরোধী আন্দোলন প্রত্যাহারে চাপ দিয়েছিল ডিজিএফআই: হাসনাত
জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) দক্ষিণাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক হাসনাত আবদুল্লাহ বলেছেন, গত বছরের জুলাইয়ে বৈষম্যবিরোধী আন্দোলন প্রত্যাহার করতে আমাকে ও দুই শিক্ষার্থীকে প্রতিরক্ষা গোয়েন্দা পরিদপ্তর (ডিজিএফআই) চাপ দিয়েছিল।
তিনি আরও বলেন, ভয়ভীতি ও চাপ প্রয়োগ করে আমাদের চুপ করানোর চেষ্টা করে।
জুলাই আন্দোলনে শহীদ রংপুর বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের (বেরোবি) শিক্ষার্থী আবু সাঈদ হত্যার ঘটনায় মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় আজ মঙ্গলবার আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-২ এ সাক্ষ্য দেওয়ার সময় তিনি এ কথা বলেন।
হাসনাত আবদুল্লাহ বলেন, গত বছরের ১৭ জুলাই আমাকে ও এনসিপির উত্তর অঞ্চলের মুখ্য সংগঠক সারজিস আলমকে এক আত্মীয়ের বাসা থেকে তুলে রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন পদ্মায় নেওয়া হয়। পরে সেখানে আসেন সাবেক তিন মন্ত্রী-আনিসুল হক, মোহাম্মদ এ আরাফাত ও মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল। তাদের সঙ্গে আলোচনায় বসতে ডিজিএফআইয়ের কর্মকর্তারা আমাদের চাপ দেন।
তিনি আরও বলেন, অন্যান্য সমন্বয়কদের সঙ্গে পরামর্শ ছাড়া আলোচনায় বসতে রাজি না হওয়ায় তারা আমাদের পরিবারের ক্ষতি করার হুমকি দেন। পরে কর্মকর্তারা ক্ষুব্ধ হয়ে আমাদের মৎস্য ভবনের কাছে একটি গোপন বন্দিশালা নিয়ে যান। সেখানে সারারাত আমাদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়।
হাসনাত আরও বলেন, এক পর্যায়ে ডিজিএফআইয়ের এক কর্মকর্তা হুমকি দিয়ে বলেছিলেন— যেভাবে আমরা ২৮ অক্টোবর বিএনপির সমাবেশ ১০ মিনিটে ছত্রভঙ্গ করেছি, একইভাবেই তোমাদের আন্দোলনও নিশ্চিহ্ন করে দিতে পারি।
ট্রাইব্যুনাল হাসনাত আবদুল্লাহর সাক্ষ্য রেকর্ড করেছে।