ফরিদপুরে শুরু হয়েছে ৩৮ ঘণ্টার বাস ধর্মঘট

By নিজস্ব সংবাদদাতা, ফরিদপুর
11 November 2022, 04:09 AM
UPDATED 11 November 2022, 10:50 AM

ফরিদপুরে বিএনপির বিভাগীয় গণসামবেশের একদিন আগে আজ শুক্রবার ভোর থেকে শুরু হয়েছে ৩৮ ঘণ্টার পরিবহন ধর্মঘট।

মহাসড়কে থ্রি হুইলার বন্ধ না হওয়ার প্রতিবাদে ফরিদপুরের বাস মালিক ও শ্রমিকদের সংগঠন ফরিদপুর জেলা মালিক শ্রমিক ঐক্য পরিষদের উদ্যোগে আজ ভোর ৬টা থেকে আগামীকাল শনিবার রাত ৮টা পর্যন্ত এ ধর্মঘট চলবে।

এ ঘটনায় আঞ্চলিক ও দূরপাল্লার যাত্রীবাহী বাস ও মিনিবাসের পাশাপাশি সরকারি পরিবহন বিআরটিসির (বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্পোরেশন) বাস চলাচলও বন্ধ আছে।

আজ সকাল ৮ থেকে ৯টা পর্যন্ত ফরিদপুর শহরের ভাঙা রাস্তা মোড় থেকে শুরু করে নতুন বাসস্ট্যান্ড পর্যন্ত এলাকায় গিয়ে দেখা গেছে সড়কে তিন চাকার যানবাহন চলাচল করছে।

phridpur-dhrmghtt-1.jpg
বাস ধর্মঘট চলায় তিন চাকার যানবাহনে চলাচল করছেন দূরের যাত্রীরাও। ছবি: স্টার

ফরিদপুর পৌর বাস টার্মিনালে পার্ক করে রাখা হয়েছে ফরিদপুর থেকে নানান গন্তব্যে ছেড়ে যাওয়া বাসগুলো। বাসচালক ও শ্রমিকদের অনেককে ক্যারাম খেলে বা গল্প করে সময় কাটাতে দেখা গেছে।

ফরিদপুর পৌর বাস টার্মিনালে কথা হয় রাহিল ট্রাভেলস বাসচালক জাকির হোসেনের সঙ্গে। তিনি দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, 'কেন ধর্মঘট ডাকা হয়েছে জানি না। নেতারা বলতে পারবেন। শুধু শুধু ২ দিন আমাদের বসে থাকতে হবে।'

তাজমহল পরিবহনের চালক জাহাঙ্গীর হোসেন ডেইলি স্টারকে বলেন, 'বাস শ্রমিক না হয়ে যদি ইজিবাইক চালাতাম তাহলে এভাবে বসে থাকতে হতো না। বসে থাকলে আমাদের সংসার চলে না।'

তিনি আরও বলেন, 'বাস বন্ধ হলে যাত্রীর পাশাপাশি শ্রমিকরাও ভোগান্তিতে পড়েন।'

phridpur-dhrmghtt-2.jpg
ধর্মঘট চলায় বাসচালক ও শ্রমিকেরা ক্যারাম খেলে বা গল্প করে সময় কাটাচ্ছেন। তিন চাকার যানবাহনে চলাচল করছেন দূরের যাত্রীরাও। ছবি: স্টার

ফরিদপুর শহরের পুরাতন বাসস্ট্যান্ড এলাকায় কথা হয় ফরিদপুর থেকে ভাঙ্গাগামী যাত্রী রাহুল হাসনাতের (৩২) সঙ্গে। তিনি ডেইলি স্টারকে বলেন, 'বাড়ি থেকে জরুরি ফোন আশায় এখনই যেতে হচ্ছে। সাধারণত ফরিদপুর থেকে বাসে করে ভাঙ্গা যেতে ভাড়া লগে ৮০ টাকা। বাস বন্ধ থাকায় বেশি খরচ হচ্ছে।'

আগামীকাল শনিবার ফরিদপুর শহর থেকে ৬ কিলোমিটার দূরে কোমরপুর আব্দুল আজিজ ইনস্টিটিউশন প্রাঙ্গণে বিএনপির ফরিদপুর বিভাগীয় গণসমাবেশ হবে।

বাস বন্ধের প্রসঙ্গ তুলে ফরিদপুর জেলা বিএনপির আহ্বায়ক সৈয়দ মোদাররেস আলী ডেইলি স্টারকে বলেন, 'বাস বন্ধ করে আমাদের নেতাকর্মীদের আটকানো যাবে না। তারা পায়ে হেঁটে সমাবেশে আসবেন।'