‘শেখ হাসিনা সরকারের বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক আদালতে মানবতাবিরোধী অভিযোগ আনা হবে’

বাসস
বাসস
27 November 2024, 19:33 PM
UPDATED 28 November 2024, 08:06 AM

শেখ হাসিনা সরকারের বিরুদ্ধে মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগ আনা হবে। এতে জুলাই-আগস্ট গণআন্দোলনের সময়ের হত্যাকাণ্ড এবং প্রায় ১৬ বছর দীর্ঘ শাসনকালে হাজার হাজার গুমের ঘটনা অন্তর্ভুক্ত থাকবে।

ঢাকায় বুধবার রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় আইসিসির প্রধান কৌঁসুলি করিম খানকে এই কথা জানিয়েছেন অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস।

এ সময় তারা রোহিঙ্গা সংকট, মিয়ানমার পরিস্থিতি, রোহিঙ্গাদের জন্য মানবিক সহায়তা এবং জুলাই-আগস্ট গণআন্দোলনের সময় নৃশংসতার বিচার ও জবাবদিহি নিয়ে আলোচনায় করেন।

করিম জানান, বাংলাদেশ চাইলে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালকে সহায়তা দিতে আইসিসি প্রস্তুত।

তিনি আরও জানান, মিয়ানমারের সামরিক সরকারের প্রধান মিন অং হ্লাইংয়ের বিরুদ্ধে আইসিসি অফিস রোহিঙ্গা সংখ্যালঘুদের বিরুদ্ধে মানবতাবিরোধী অপরাধের জন্য আনুষ্ঠানিকভাবে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারির আবেদন করেছে।

রোহিঙ্গা সংকট নিয়ে প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ আন্তর্জাতিক সম্মেলন আয়োজনের আহ্বানকে সমর্থন করে তিনি আশা প্রকাশ করেন, জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদ ২০২৫ সালে এই সম্মেলন আয়োজনের সম্মতি দিয়েছে। সম্মেলন থেকে সংকট সমাধানের একটি নতুন টেকসই দিক নির্দেশনা পাওয়া যাবে।

প্রধান উপদেষ্টা বলেন, এই সম্মেলন আন্তর্জাতিক সব অংশীজনকে একত্রে বসিয়ে সংকট, বিশেষত বাংলাদেশে ক্যাম্পে থাকা রোহিঙ্গা এবং তাদের শিশুদের দুর্দশার স্থায়ী সমাধান খুঁজতে সহায়তা করবে।

রোহিঙ্গা ক্যাম্পে হতাশার মধ্যে বেড়ে ওঠা তরুণদের প্রসঙ্গে অধ্যাপক ইউনূস বলেন, 'আমাদের নিশ্চিত করতে হবে যে, এটি যেন বিস্ফোরিত না হয়।'

মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে জাতিসংঘের তত্ত্বাবধানে একটি সুরক্ষিত অঞ্চল প্রতিষ্ঠায় সাম্প্রতিক আহ্বান পুনর্ব্যক্ত করে প্রধান উপদেষ্টা বলেন, এই সুরক্ষিত অঞ্চল বাস্তুচ্যুত মানুষের জন্য সহায়ক এবং চলমান মানবিক সংকট মোকাবিলায় কার্যকর হবে।

তিনি বলেন, 'এই অঞ্চলের নিরাপত্তা জাতিসংঘ দ্বারা নিশ্চিত করা উচিত। লড়াই বন্ধ হলে এই সুরক্ষিত অঞ্চলে থাকা মানুষ সহজেই তাদের নিজ নিজ স্থানে ফিরে যেতে পারবে।'