পাগলা মসজিদের ১৩ সিন্দুকে মিলল ৩২ বস্তা টাকা, চলছে গণনা

By নিজস্ব সংবাদদাতা, কিশোরগঞ্জ
30 August 2025, 06:39 AM

কিশোরগঞ্জের পাগলা মসজিদের ১৩টি দান সিন্দুক খুলে ৩২ বস্তা টাকা পাওয়া গেছে। সেই সঙ্গে আছে স্বর্ণালংকার ও বৈদেশিক মুদ্রা।

চার মাস ১৮ দিন পর আজ শনিবার সকালে মসজিদের দানবাক্সগুলো খোলা হয়। প্রথমে লোহার সিন্দুক থেকে টাকা বস্তায় ভরা হয়, এরপর মেঝেতে ঢেলে শুরু হয় গণনার কাজ।

এর আগে গত ১২ এপ্রিল দানবাক্সগুলো খুলে রেকর্ড ৯ কোটি ১৭ লাখ ৮০ হাজার টাকাসহ বৈদেশিক মুদ্রা, সোনার গয়না ও হীরা পাওয়া গিয়েছিল।

টাকাপয়সা ছাড়াও দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে আসা অসংখ্য ভক্ত মসজিদে নিয়মিত হাঁস-মুরগি, গরু-ছাগলসহ নানা ধরনের জিনিসপত্র দান করে থাকেন।

আজ সকাল ৭টায় সিন্দুকগুলো খোলা হয়। এ সময় উপস্থিত ছিলেন কিশোরগঞ্জের জেলা প্রশাসক ফৌজিয়া খান, পুলিশ সুপার মোহাম্মদ হাছান চৌধুরী এবং দানবাক্স খোলা কমিটির আহ্বায়ক অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট এরশাদুল আহমেদ। টাকা গণনার কাজ করছেন পাঁচ শতাধিক মানুষ। তাদের মধ্যে আছেন পাগলা মসজিদের এতিমখানাসহ দুটি মাদ্রাসার প্রায় সাড়ে তিনশ শিক্ষার্থী, রূপালী ব্যাংকের একশ কর্মী এবং মসজিদ কমিটি ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীসহ সেনাবাহিনীর সদস্যরা।

জেলা প্রশাসক ফৌজিয়া খান জানান, পাগলা মসজিদ ও ইসলামী কমপ্লেক্সের খরচ চালানোর পর দানের বাকি টাকা ব্যাংকে জমা রাখা হয়। বর্তমানে নগদ ৯১ কোটি টাকা ব্যাংকে জমা আছে, এর বাইরে অনলাইনে আসা আরও প্রায় পাঁচ লাখ টাকা জমা আছে। আজকের গণনার পর এই টাকাও ব্যাংকে জমা হবে।

তিনি আরও বলেন, এই টাকার লভ্যাংশ থেকে জেলার বিভিন্ন মসজিদ, মাদ্রাসা ও এতিমখানায় অনুদান দেওয়া হয়। পাশাপাশি অসহায় ও জটিল রোগে আক্রান্তদের সহায়তাও করা হয়ে থাকে।

পুলিশ সুপার মোহাম্মদ হাছান চৌধুরী জানান, সকাল থেকে টাকা সিন্দুক খোলা, বস্তায় ভরা, গণনা এবং নিরাপদে ব্যাংক পর্যন্ত পৌঁছে দেওয়া পর্যন্ত সার্বিক নিরাপত্তার দায়িত্বে রয়েছে পুলিশ বাহিনী। তিনি নিজেও এই প্রক্রিয়ার সঙ্গে নিবিড়ভাবে জড়িত। এছাড়া গণনার দিন ছাড়াও বাকি দিনগুলোতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা সিন্দুকের নিরাপত্তায় নিয়োজিত থাকেন।