জবিতে শিক্ষার্থীদের ২ গ্রুপের দফায় দফায় সংঘর্ষ, শিক্ষকসহ আহত ১২
বাসে উচ্চস্বরে কথা বলাকে কেন্দ্র করে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীদের দুই গ্রুপের মধ্যে দফায় দফায় সংঘর্ষ হয়েছে। এতে শিক্ষকসহ অন্তত ১২ জন আহত হয়েছেন।
আজ মঙ্গলবার দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের দ্বিতীয় গেট, কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার প্রাঙ্গণ এবং ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগের চেয়ারম্যানের কক্ষের সামনে তিন দফায় এই সংঘর্ষ হয়।
আহতদের মধ্যে রয়েছেন—মার্কেটিং বিভাগের ১৯ ব্যাচের শিক্ষার্থী সামিউদ্দিন সাজিদ, আল-আমিন, আশরাফুল, প্রত্যয়, ইব্রাহিম, জনি ও জাহিদ, রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের সাদী এবং বাংলা বিভাগের ছাব্বীর।
তাদের মধ্যে সাজিদ কেন্দ্রীয় ছাত্রদলের সহসভাপতি কাজী জিয়া উদ্দিন বাসেতের অনুসারী এবং জাহিদ হাসান জনি শাখা ছাত্রদলের আহ্বায়ক সদস্য। অন্যদিকে সাদী, ছাত্রদলের আহ্বায়ক সদস্য মাশফিক রাইন, আতাউল্লাহ আহাদ ও বাংলা বিভাগের আশরাফুল ইসলাম শাখা ছাত্রদলের যুগ্ম আহ্বায়ক সুমন সরদার গ্রুপের অনুসারী বলে জানা গেছে।
শিক্ষার্থীদের সূত্রে জানা গেছে, গতকাল সোমবার বাসে সামিউদ্দিন সাজিদ ও তার বন্ধুরা কথা বলছিলেন। সেসময় সাদী তাদের উচ্চস্বরে কথা বলা নিয়ে আপত্তি তোলেন এবং হুমকি দেন, 'তোমাকে দ্বিতীয় গেটে ঝুলিয়ে রাখব।' আজ দুপুরে দ্বিতীয় গেটের সামনে সাজিদকে মারধর করেন সাদী, মাসফিক, আশরাফুল ও আরাফাত। এ সময় সাজিদকে বাঁচাতে গেলে আল-আমিন, প্রত্যয়, ইব্রাহিম ও জাহিদও মারধরের শিকার হন।
দ্বিতীয় ধাপে শান্ত চত্বরে সংঘর্ষ হয়। পরে ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. মো. রইছ উদ্দিনের কক্ষে সমঝোতার উদ্যোগ নেওয়া হয়। কিন্তু সাদীকে সেখানে আনার সময় তৃতীয় দফায় আবার সংঘর্ষ হয়। এতে বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী প্রক্টর ড. মো. নঈম আক্তার সিদ্দিকী, ফেরদৌস হোসেন ও মাহাদী হাসান জুয়েলসহ কয়েকজন শিক্ষকও আহত হন।
আহত শিক্ষার্থী সাজিদ বলেন, 'গতকাল বাসে কথা বলায় সাদী হুমকি দিয়েছিল। আজ ১৫-২০ জন নিয়ে এসে আমাদের ওপর হামলা করে। গতকাল হলে গিয়েও আমার বিষয়ে খোঁজ নিয়েছিল।'
মার্কেটিং বিভাগের শিক্ষার্থী আল-আমিন বলেন, 'চেয়ার দিয়ে মুখে এমনভাবে আঘাত করেছে যে মুখ ফুলে গেছে, চেয়ারটাই ভেঙে গেছে।'
শাখা ছাত্রদলের আহ্বায়ক মেহেদী হাসান হিমেল বলেন, 'আমরা ঘটনাস্থলে গিয়ে দুপক্ষকে সামলানোর চেষ্টা করেছি। পরে শিক্ষকদের সঙ্গে বসে সমঝোতা হয়েছে।'
বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. তাজাম্মুল হক দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, শিক্ষার্থীদের দুই গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষ হয়েছিল। পরে তা বড় আকার নেয়। ইতোমধ্যে তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। তদন্ত শেষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।