তেজগাঁও কলেজ শিক্ষার্থীদের ফার্মগেট অবরোধ, তীব্র যানজট
তেজগাঁও কলেজ শিক্ষার্থী সাকিবুল হাসান রানা মৃত্যুর ঘটনার বিচারের দাবিতে ফার্মগেট মোড় অবরোধ করেছেন তার সহপাঠীরা। এতে আশপাশের এলাকায় তীব্র যানজট সৃষ্টি হয়েছে।
আজ বৃহস্পতিবার সকাল ১০টা ৩০ মিনিটে অবরোধ শুরু হয় এবং ১১টা পর্যন্ত ফার্মগেট–সংলগ্ন এলাকায় যান চলাচল সম্পূর্ণ স্থবির হয়ে পড়ে।
কলেজটির শিক্ষার্থী ফারহান বলেন, 'আমরা রানা ভাইয়ের হত্যার বিচার চাই।'
নিহত ১৮ বছর বয়সী সাকিবুল হাসান রানা কলেজটির দ্বাদশ শ্রেণির শিক্ষার্থী। গতকাল দুপুরের দিকে ঢাকার মগবাজারের একটি হাসপাতালে আইসিইউতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।
তেজগাঁও থানার তদন্ত কর্মকর্তা ইন্সপেক্টর আশিক ইকবাল জানান, শিক্ষার্থীরা সকাল সাড়ে ১০টার দিকে ফার্মগেট মোড় অবরোধ করেন।
ফার্মগেট এলাকার একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের কর্মী মোহাম্মদ আশিক বলেন, কারওয়ান বাজার থেকে তার অফিসে পৌঁছাতে মোটরবাইকে প্রায় এক ঘণ্টা লেগেছে।
আরেক অফিসগামী রাফি ইবনে মুনির জানান, তীব্র যানজটের কারণে তাকে রমনা থেকে ফার্মগেট অফিস পর্যন্ত হেঁটে যেতে হয়েছে।
শেরে বাংলা নগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মনিরুল ইসলাম মনির দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, গত ৬ ডিসেম্বর রাতে ছাত্রাবাসে দুটি গ্রুপের মধ্যে উত্তেজনা দেখা দেয়। এরপর ধাক্কাধাক্কি থেকে পরিস্থিতি দ্রুতই সংঘর্ষে রূপ নেয়। রানার মাথায় গুরুতর আঘাত লেগেছিল।
তিনি বলেন, 'রানার মরদেহ হাসপাতাল থেকে পুলিশকে না জানিয়ে গাজীপুরে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল। আমরা ময়নাতদন্তের জন্য মরদেহ ফিরিয়ে আনতে বলেছি। এ ঘটনায় এখনো কোনো মামলা হয়নি।'
তেজগাঁও কলেজ ছাত্রদলের আহ্বায়ক মোরশেদ আলম তরুণ গতকাল ডেইলি স্টারকে বলেছিলেন, 'আমি শুনেছি ৬ ডিসেম্বর কিছু আবাসিক ও বাইরের লোকজন ছাত্রাবাসে গিয়ে মাদক সেবন করছিল। তখন রানাসহ ছাত্রাবাসের কয়েকজন শিক্ষার্থী প্রতিবাদ করলে ধাক্কাধাক্কির ঘটনা ঘটে।'
মোরশেদ আলম তরুণ আরও বলেছিলেন, 'পরে আমি ও আরও কয়েকজন ছাত্রদল নেতা বিষয়টি মীমাংসা করি। কিন্তু প্রায় দেড় ঘণ্টা পর ওই বহিরাগত গ্রুপটি শিক্ষার্থীদের ওপর আক্রমণ করে। এতে রানাসহ চারজন আহত হয়।'
নিহতের সহপাঠী ও বন্ধু আবু বকর দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, 'রানা মাদক সেবনের প্রতিবাদ করায় তাকে আক্রমণ করা হয়।'
তবে তিনি অভিযোগ করেন, 'দুই গ্রুপের সদস্যরা ছাত্রদল নেতাদের সঙ্গে জড়িত।'