নির্বাচনকালীন অভিযোগ নিষ্পত্তিতে ১০ কর্মকর্তা নিয়োগ ইসির
আগামী ১২ ফেব্রুয়ারি একই দিনে ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন ও গণভোট উপলক্ষে নির্বাচনকালীন অভিযোগ নিষ্পত্তি এবং আচরণবিধি তদারকির জন্য ১০ কর্মকর্তাকে নিয়োগ দিয়েছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)।
গতকাল শনিবার ইসির সহকারী সচিব মোহাম্মদ শহীদুর রহমান সই করা একটি অফিস আদেশে কর্মকর্তা নিয়োগের তথ্য জানানো হয়।
অফিস আদেশে বলা হয়, ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন ও গণভোট সুষ্ঠু, শান্তিপূর্ণ ও গ্রহণযোগ্যভাবে সম্পন্ন করতে তফসিল ঘোষণার দিন থেকে ফল প্রকাশ পর্যন্ত ১০টি প্রশাসনিক অঞ্চলের জন্য ১০ কর্মকর্তাকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।
এই কর্মকর্তাদের মধ্যে উপপরিচালক, সিনিয়র সহকারী পরিচালক ও সহকারী পরিচালক পদমর্যাদার ইসি কর্মকর্তারা রয়েছেন।
ইসি সূত্র জানায়, কর্মকর্তাদের মোট ১০টি নির্দিষ্ট দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।
এর মধ্যে রয়েছে ভোটকেন্দ্রসংক্রান্ত অভিযোগ গ্রহণ, নির্বাচনকালীন অভিযোগ ও আচরণবিধি লঙ্ঘনের বিষয় নিষ্পত্তি, সংশ্লিষ্ট নথিপত্র কমিশনে দাখিল এবং নির্বাচন ফলাফল প্রেরণে সহায়তা করা।
এ ছাড়া তারা বিভিন্ন নির্বাচন-সংক্রান্ত কমিটি থেকে প্রতিবেদন সংগ্রহ করে ইসিতে জমা দেবেন কর্মকর্তারা।
তারা রিটার্নিং কর্মকর্তাদের সঙ্গে সার্বক্ষণিক যোগাযোগ রক্ষা করবেন এবং প্রতীক বরাদ্দের পর প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীদের তালিকাও সংগ্রহ করবেন।
ভোটের দিন সার্বিক পরিস্থিতি নিয়ে প্রতিবেদন পাঠানো, বেসরকারি ফলাফল সংগ্রহ ও প্রচার এবং দেশে -বিদেশে ভোটদান ((আইসিভি ও ওসিভি) সংক্রান্ত কার্যক্রম তদারকিও তাদের দায়িত্বের মধ্যে থাকবে।
এর আগে ১১ ডিসেম্বর নির্বাচন কমিশন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন ও গণভোটের তফসিল ঘোষণা করে ইসি।
তফসিল অনুযায়ী, মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার শেষ সময় ২৯ ডিসেম্বর। মনোনয়নপত্র যাচাই-বাছাই চলবে ৩০ ডিসেম্বর থেকে ৪ জানুয়ারি পর্যন্ত। প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষ সময় ২০ জানুয়ারি।
চূড়ান্ত প্রার্থী তালিকা ও প্রতীক বরাদ্দ ঘোষণা করা হবে ২১ জানুয়ারি। নির্বাচনী প্রচারণা চলবে ২২ জানুয়ারি থেকে ১০ ফেব্রুয়ারি সকাল ৭টা ৩০ মিনিট পর্যন্ত।
ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে ১২ ফেব্রুয়ারি।