জাতীয় শোক দিবসে বরগুনায় ছাত্রলীগের ২ গ্রুপের সংঘর্ষ

By নিজস্ব সংবাদদাতা, পটুয়াখালী
15 August 2022, 09:20 AM
UPDATED 15 August 2022, 15:32 PM

জাতীয় শোক দিবসে বরগুনায় ছাত্রলীগের ২ গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এসময় পুলিশের লাঠিচার্জে শতাধিক লোক আহত হয়েছেন।

আজ সোমবার দুপুর ১২টার দিকে এ ঘটনা ঘটে।

পুলিশ ও স্থানীয়রা জানায়, দুপুর ১২টার দিকে জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে বঙ্গবন্ধু স্মৃতি কমপ্লেক্সে ফুল দিতে যায় জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ শেষে ফেরার সময় শিল্পকলা একাডেমির সামনে পৌঁছালে ছাত্রলীগের পদবঞ্চিত সদস্যরা তাদের ওপর হামলা চালায়। এতে ২ গ্রুপের নেতা-কর্মীরা সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়েন। পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে লাঠিচার্জ করে তাদের ছত্রভঙ্গ করে দেয় এবং পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।

patuakhali_pic_461_15.08.22_0.jpg
ছবি: সংগৃহীত

এ ঘটনায় কয়েকটি মোটরসাইকেলসহ অতিরিক্ত পুলিশ সুপারের গাড়ি ভাঙচুর করা হয়। পরে শিল্পকলা ও লঞ্চঘাট এলাকায় অভিযান চালিয়ে লাঠি-সোটা, রামদাসহ দেশিয় অস্ত্র উদ্ধার করে পুলিশ। এ ঘটনায় শহরের বিভিন্ন স্থানে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।

বিষয়টি নিশ্চিত করে বরগুনার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার এস এম তারেক রহমান দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, শিল্পকলা একাডেমির সামনে ছাত্রলীগের ২ গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। পুলিশ গিয়ে সবাইকে ছত্রভঙ্গ করে দিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে সক্ষম হয়। এ সময় ছাত্রলীগের একটি গ্রুপ শিল্পকলা একাডেমির ভেতরে প্রবেশ করে এবং শিল্পকলা একাডেমির দ্বিতীয় তলা থেকে পুলিশের গাড়িতে ইট মারে। পুলিশ আশপাশের এলাকায় অভিযান চালিয়ে কিছু দেশীয় অস্ত্র উদ্ধার করে।

জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি রেজাউল কবির রেজা ডেইলি স্টারকে জানান, বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে ফুল দিয়ে শিল্পকলা একাডেমিতে প্রবেশের সময় শিল্পকলার ভেতর থেকে তাদের ওপর ইট-পাটকেল নিক্ষেপ করে অজ্ঞাত লোকজন। তাদের ইট-পাটকেল নিক্ষেপের কারণে পুলিশের গাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয় এবং পুলিশ ক্ষিপ্ত হয়ে লাঠিচার্জ শুরু করে।

লঞ্চঘাট থেকে দেশিয় অস্ত্র উদ্ধারের বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি জানান, ছাত্রলীগের কোনো নেতাকর্মী নদীবন্দরে যায়নি। আর উদ্ধার হওয়া দেশিয় অস্ত্র ছাত্রলীগের নয়।

পদবঞ্চিত জেলা ছাত্রলীগ গ্রুপের নেতা বর্তমান কমিটির সহ-সভাপতি সবুজ মোল্লার সঙ্গে কথা বলার চেষ্টা করা হলে তিনি ব্যস্ততা দেখিয়ে এই মুহূর্তে কিছু বলতে পারবেন না বলে জানান।

উল্লেখ্য, দীর্ঘ ৮ বছর পর গত ১৭ জুলাই বরগুনা শহরের সিরাজ উদ্দীন টাউন হল মিলনায়তনে বরগুনা জেলা ছাত্রলীগের সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। এরপর ২৪ জুলাই রাতে কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক জেলা ছাত্রলীগের নতুন কমিটির অনুমোদন দেন। এতে জেলা কমিটির সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকসহ ৩৩ সদস্যের নাম প্রকাশ করা হয়। এরপর থেকেই ঘোষিত এ কমিটি প্রত্যাখ্যান করে বরগুনা শহরে পদবঞ্চিতরা প্রতিবাদ জানাতে থাকে। তাদের মধ্যে একাধিকবার ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার ঘটনাও ঘটেছে।

এ বিষয়ে বরগুনার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার এস এম তারেক রহমান বলেন, লিখিত অভিযোগ পেলে এ ব্যাপারে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।