‘জোট হলেও দলীয় প্রতীকেই ভোট’ থেকে না সরতে সিইসিকে এনসিপির চিঠি
নিবন্ধিত সব রাজনৈতিক দলকে নিজ নিজ প্রতীকে নির্বাচন করতে হবে—গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশের (আরপিও) এমন সংশোধনী থেকে সরে না আসতে নির্বাচন কমিশনকে (ইসি) চিঠি দিয়েছে জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি)। তাদের আশঙ্কা বিএনপির চাপে ইসি ও অন্তর্বর্তী সরকার তাদের এই 'ঐতিহাসিক' সিদ্ধান্ত থেকে সরে আসতে পারে।
আজ মঙ্গলবার দলটির আহ্বায়ক মো. নাহিদ ইসলাম স্বাক্ষরিত একটি চিঠি প্রধান নির্বাচন কমিশনারের (সিইসি) কাছে পাঠানো হয়।
চিঠিতে বলা হয়, নির্বাচন কমিশন ও উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে প্রতিটি নিবন্ধিত দলকে নিজস্ব নাম ও প্রতীকে নির্বাচনে অংশ নেওয়ার যে সংস্কারমূলক সিদ্ধান্ত হয়েছিল, তা একটি 'ঐতিহাসিক ও নীতিগতভাবে সঠিক পদক্ষেপ'। কিন্তু দলটি গভীর উদ্বেগের সঙ্গে লক্ষ্য করছে যে গেজেট প্রকাশের ঠিক আগে সেই সিদ্ধান্ত এখন পুনর্বিবেচনার আওতায় আনা হয়েছে।
চিঠিতে বলা হয়, ২০০৮ সালে আরপিওতে উদ্দেশ্যমূলকভাবে সংশোধনী এনে জোটের শরিক ছোট দলগুলোকে বড় দলের প্রতীকে নির্বাচনের সুযোগ দেওয়া হয়। এতে ভোটাররা বিভ্রান্ত হয়েছেন এবং 'কৃত্রিম জোট রাজনীতির' মাধ্যমে জাতীয় ঐকমত্য গঠনের প্রক্রিয়া বারবার বাধাগ্রস্ত হয়েছে।
চিঠিতে আরও বলা হয়, দল নিবন্ধনের মূল উদ্দেশ্যই হলো দলগুলোর অভ্যন্তরীণ গণতন্ত্র, আর্থিক স্বচ্ছতা ও জবাবদিহি নিশ্চিত করা। কিন্তু কোনো নিবন্ধিত দল যখন অন্য দলের প্রতীকে নির্বাচন করে, তখন তারা এই দায়বদ্ধতা এড়িয়ে যায়।
দলটি একে 'প্রক্সি রাজনীতি' হিসেবে আখ্যা দিয়ে বলেছে, এর মাধ্যমে বড় দলগুলো ছোট দলকে নিজেদের প্রভাব বিস্তারের হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করে, যা গণতন্ত্রের স্বচ্ছতা, ন্যায্য প্রতিযোগিতা ও প্রকৃত বহুদলীয় গণতন্ত্রের পরিপন্থী।
চিঠিতে জাতীয় নাগরিক পার্টির পক্ষ থেকে দুটি সুনির্দিষ্ট অনুরোধ জানানো হয়: কমিশনের গৃহীত এবং উপদেষ্টা পরিষদে পাস হওয়া আরপিওর ২০ অনুচ্ছেদের সংশোধনী অনুযায়ী গেজেট প্রকাশ করা। তাদের দ্বিতীয় দাবি হলো, ইসির সিদ্ধান্ত যেন বিএনপির 'অন্যায় চাপের' প্রভাবে পরিবর্তিত না হয়, সে বিষয়ে লিখিত নিশ্চয়তা দেওয়া।
