ভোটে বাধা দিলে যেন ২ হাত ফেরত নিয়ে যেতে না পারে: জামায়াত নেতা আজহারুল
জামায়াতে ইসলামীর নায়েবে আমির এটিএম আজহারুল ইসলাম বলেছেন, জামায়াতের পক্ষে গণজোয়ার সৃষ্টি হয়েছে বলে হামলা করা হচ্ছে। হামলা করে জামায়াতকে প্রতিহত করা যাবে না। যারা ভোট ডাকাতি করতে আসবে তাদের প্রতিহত করতে হবে।
তিনি আরও বলেন, যারা যুবক আছেন তাদের বলতে চাই, প্রত্যেকটি ভোটকেন্দ্রে পাহারা দেবেন। পাহারা দেবেন ভোট চুরি বা ডাকাতির জন্য নয়, যারা ভোট দিতে বাধা দেবে, ব্যালট বাক্স ছিনতাই করতে আসবে, তারা দুই হাত নিয়ে আসবে, কিন্তু দুই হাত নিয়ে যেন ফেরত যেতে না পারে। আমরা কারও ভোটাধিকার নষ্ট করতে দেবো না।
আজ মঙ্গলবার বিকেলে ফরিদপুর শহরের অম্বিকা ময়দানে জেলা জামায়াত আয়োজিত গণসমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
আজহারুল ইসলাম বলেন, আমি যত জায়গায় গিয়েছি, এই গণজোয়ার দেখে অনেকে আবোল-তাবোল করা শুরু করেছেন। অনেক জায়গায় হামলা করা হয়েছে। হামলা করে জামায়াতে ইসলামীকে স্তব্ধ করতে পারবেন না।
তিনি আরও বলেন, এবারের নির্বাচন শুধু ক্ষমতা বদলের নির্বাচন নয়, এবারের নির্বাচন আদর্শিক পরিবর্তনের নির্বাচন। সন্ত্রাসমুক্ত বাংলাদেশ গড়ার নির্বাচন। আধিপত্যবাদী শক্তির হাত থেকে সম্পূর্ণভাবে স্বাধীন সার্বভৌম বাংলাদেশের মাথা উঁচু করে দাঁড়ানোর নির্বাচন।
এটিএম আজহারুল ইসলাম বলেন, আমরা কথায় কথায় শুনতাম অমুকের বেটি দেশ ছেড়ে পালায় না। সেই বেটি দেশ ছেড়ে পালিয়ে গেছে। জামায়াতে ইসলামীর লোকরা জনগণকে ফেলে দেশ ছেড়ে পালিয়ে যায়নি। ফাঁসির কষ্টে হাসিমুখে মৃত্যুবরণ করেছেন, শহীদ হয়েছেন।
আওয়ামী লীগের সমালোচনা করে তিনি আরও বলেন, যারা নিজেদের সব সময় দেশের পক্ষের শক্তি বলে, স্বাধীনতার পক্ষের কথা বলে, যার বাপ দেশ স্বাধীন করেছে কথায় কথায় অহংকার করে, তারা আজ কোথায়। তারা শুধু তাদের হাজার হাজার কর্মীকে ফেলে দিয়েই নয়, ১৮ কোটি মানুষকে অনিরাপদ রেখে স্বাচ্ছন্দ্যে জীবনযাপনের জন্য পাশের দেশে আশ্রয় নিয়েছে।
'আজ সেখান থেকে দেশে অন্তর্ঘাতমূলক কর্মকাণ্ডের মাধ্যমে দেশকে অস্থির করার চেষ্টা করা হচ্ছে। যারা দেশ ছেড়ে পালিয়ে যায়, জনগণকে রেখে পালিয়ে যায়, তারা আর যাই হোক, দেশের পক্ষের শক্তি হতে পারে না।
আজহারুল ইসলাম আরও বলেন, কিছু ব্যক্তি জামায়াতকে সহ্য করতে পারে না বলে দুটি কথা বলে বেড়ায়। একটা হলো—জামায়াত ক্ষমতায় গেলে নারীর কোনো স্বাধীনতা থাকবে না। তাদেরকে বোরকা পরতে হবে এবং চাকরি করতে দেওয়া হবে না। সম্পূর্ণ মিথ্যা কথা। আমরা নারীকে শালীনভাবে চলতে পরামর্শ দেই। কিন্তু আমরা নারীবিদ্বেষী নই।