এটা কোন নির্বাচনই না, এটা কালো দাগ হয়ে গেলো: তামিম

By ক্রীড়া প্রতিবেদক
1 October 2025, 07:05 AM
UPDATED 1 October 2025, 13:39 PM

বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) নির্বাচনে অন্তবর্তী সরকারের হস্তক্ষেপের প্রতিবাদে তামিম ইকবাল ও তার প্যানেল সরে দাঁড়িয়েছেন। বাংলাদেশের সাবেক অধিনায়ক এরপর গণমাধ্যমের সামনে হাজির হয়ে বলেছেন, দেশের ক্রিকেট আজ শতভাগ হেরে গেল। বিসিবির নির্বাচন হয়ে থাকল কালো দাগ। তিনি এই নির্বাচনকে পাতানো বলেও আখ্যা দেন। 

বুধবার মিরপুর শেরে বাংলা ক্রিকেট স্টেডিয়ামে তামিমের দেওয়া বক্তব্য তুলে ধরা হলো: 

'আপনারা জানেন যে আমরা আজকে আমাদের মনোনয়ন প্রত্যাহার করেছি। আমিসহ প্রায় ১৪-১৫ জনের মতো প্রত্যাহার করেছি। এবং কারণটা খুবই পরিস্কার। এখানে আমার কাছে মনে হয় না যে আমাকে খুব বিস্তারিত ব্যাখ্যা করে আপনাদেরকে কোন কিছু বলার আছে। আমি শুরু থেকেই একটা কথা বলে আসছি যে নির্বাচনটা কোন দিকে যাচ্ছে বা কীভাবে হচ্ছে, এ জিনিস নিয়ে আপনারা সবাই এখন পরিস্কার। যখন যেমন মনে হচ্ছে, যখন যা মনে হচ্ছে, তখন তা করা হচ্ছে। এটা আসলে নির্বাচন না। ক্রিকেটের সঙ্গে এ জিনিসটা কোন দিক থেকেই মানায় না। আমি নিশ্চিত যখন ইসি তালিকা দিবে যে আজকে কারা কারা প্রত্যাহার করেছেন, তাদের নামগুলা আপনারা দেখলেই বুঝতে পারবেন যে তারা সবাই তাদের জায়গা থেকে হেভিওয়েট, তাদের ভোটব্যাংকও খুব শক্ত। এটা হলো আমাদের একটা প্রতিবাদ। এখান থেকে এসে যে এই নোংরামির অংশ আমরা থাকতে পারবো না। এখানে বিভিন্ন ধরনের বিভিন্ন সময় অনেক ধরনের কথা বলা হয়েছে, কিন্তু দিনশেষে আমার কাছে মনে হয় যে এই নোংরামির সঙ্গে আমরা কোন দিক থেকে কোনভাবেই পার্ট রাখতে পারবো না।'

'দ্বিতীয়ত আমি একটা জিনিস সবসময় বলেছি বাংলাদেশ ক্রিকেট এটা ডিজার্ভ করে না, বাংলাদেশের ক্রিকেট ফ্যানরাও এটা ডিজার্ভ করে না। এটাও বলে রাখি, আমি জানিনা কতজন স্বীকার করবেন কী করবেন না, কিন্তু এখানে আরও অনেকেই আজকে প্রত্যাহার করতেন। তাদেরকে বিভিন্নভাবে, বিভিন্ন ওয়েতে বুঝানো হয়েছে বা চাপ সৃষ্টি করা হয়েছে, তাদেরকে কোনভাবে থামানো হয়েছে। না হলে আরও অনেকেই আজকে প্রত্যাহার করতেন। তাও ১৫ জন যদি আজকে করে থাকেন, যদি আমি ঠিক  হয়ে থাকি, এটা একটা সিগনিফিকেন্ট নাম্বার। অলমোস্ট পঞ্চাশ ভাগ প্রত্যাহার করে নিয়েছে। ... আমি এই বিষয়ে পরের সময় বিস্তারিত আপনাদের সঙ্গে কথা বলবো।'

'আপনারা জিততেও পারেন, হারতেও পারেন, কিন্তু আজকে ক্রিকেট শতভাগ হেরে গিয়েছে। এটা নিয়ে কোন সন্দেহ নাই। আপনারা বড় গলায় বলেন যে বাংলাদেশে ফিক্সিং বন্ধ করা লাগবে, আগে নির্বাচনের ফিক্সিং বন্ধ করেন, পরে ক্রিকেটের ফিক্সিং বন্ধ করার চিন্তাটা করিয়েন। আমার এর চেয়ে বেশি কিছু বলার নাই।' 

'আমার কাছে মনে হয় যে এটা স্পষ্টভাবে ক্লিয়ার সবার কাছে, কারা কারা কোন সময়ে, কারা কারা কোন ধরনের ইনভলমেন্ট এখানে রেখেছেন, কী  ধরনের হস্তক্ষেপ হয়েছে, নিয়ম ইচ্ছামত, সুবিধা মতন চেঞ্জ করা হয়েছে। আর এর সঙ্গে কারা কারা জড়িত, একদম স্পষ্টভাবে ক্লিয়ার। আমি এর চেয়ে বেশি আর কোন কথা বলব না, ইনশাল্লাহ ভবিষ্যতে আমি এটা নিয়ে অবশ্যই কথা বলব। আমি আমার স্পিচে এই কথাই বলে শেষ করব যে এই নির্বাচন বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের জন্য একটা কালো দাগ হয়ে গেল। আর এই নির্বাচনের সঙ্গে যারা আছে, আমি নিশ্চিত তারাও বুঝতে পারেন যে নির্বাচন কোন দিক থেকেই এটা একটা নির্বাচন ছিল না।'