কেনিয়ার অপেক্ষা বাড়িয়ে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে ফিরল জিম্বাবুয়ে

By স্পোর্টস ডেস্ক
3 October 2025, 00:07 AM

সবশেষ আসরে সুযোগ না পাওয়ার দুঃস্মৃতি সামলে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে ফিরল জিম্বাবুয়ে। কেনিয়াকে অনায়াসে হারিয়ে আগামী ফেব্রুয়ারি-মার্চে অনুষ্ঠেয় টুর্নামেন্টে খেলার টিকিট পেল দলটি। আফ্রিকা অঞ্চলের বাছাইপর্বের বাধা পেরিয়ে তারা সঙ্গী হলো নামিবিয়ার।

বৃহস্পতিবার হারারেতে বাছাইয়ের দ্বিতীয় সেমিফাইনালে ৭ উইকেটের বড় ব্যবধানে জিতেছে জিম্বাবুয়ে। টস জিতে আগে ব্যাট করে পুরো ওভার খেলে ৬ উইকেটে ১২২ রানের সাদামাটা পুঁজি পায় কেনিয়া। জবাবে ৩০ বল হাতে রেখে মাত্র ৩ উইকেট খুইয়ে লক্ষ্যে পৌঁছায় স্বাগতিকরা।

জিম্বাবুয়ের বোলাররা ছিলেন ভীষণ আঁটসাঁট। অভিজ্ঞ পেসার ব্লেসিং মুজারাবানি ৪ ওভারে ১৯ রান খরচায় ২ উইকেট নিয়ে ছিলেন সবচেয়ে সফল। এরপর ব্যাট হাতে মূল অবদান রাখেন ম্যাচসেরা হওয়া ওপেনার ব্রায়ান বেনেট। তিনি খেলেন ৫১ রানের বিস্ফোরক ইনিংস। ২৫ বল মোকাবিলায় আটটি চারের সঙ্গে দুটি ছক্কা হাঁকান তিনি।

সপ্তমবারের মতো টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে অংশ নিতে যাচ্ছে জিম্বাবুয়ে। তবে গত বছর ওয়েস্ট ইন্ডিজ ও যুক্তরাষ্ট্রে যৌথভাবে অনুষ্ঠিত সবশেষ টুর্নামেন্টে তারা অনুপস্থিত ছিল। বাছাপর্বের পয়েন্ট তালিকায় নামিবিয়া ও উগান্ডার পেছনে থাকায় কপাল পুড়েছিল তাদের।

সিকান্দার রাজার দলের কাছে পরাস্ত হওয়ায় কেনিয়ার অপেক্ষা আরও বাড়ল। ২০০৭ সালে দক্ষিণ আফ্রিকায় হওয়া টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের প্রথম আসরে অংশ নিয়েছিল দলটি। এরপর আর ক্রিকেটের ক্ষুদ্রতম সংস্করণের সর্বোচ্চ মঞ্চে সুযোগ পায়নি তারা।

এর আগে একই ভেন্যুতে বাছাইয়ের প্রথম সেমিফাইনাল ম্যাচও হয় একপেশে। ৬৩ রানে জিতে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের মূলপর্বে খেলার যোগ্যতা অর্জন করে নামিবিয়া। টস হেরে আগে ব্যাটিংয়ে নেমে ৬ উইকেটে ১৭৪ রান তোলে তারা। জবাবে ৮ উইকেট হারিয়ে ১১১ রানের বেশি করতে পারেনি তানজানিয়া।

নামিবিয়া টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে খেলতে যাচ্ছে টানা চতুর্থবারের মতো। ২০২১ সালে সংযুক্ত আরব আমিরাত ও ওমানে যৌথভাবে অনুষ্ঠিত আসরে তাদের অভিষেক হয়েছিল। সেবার চমক জাগিয়ে সুপার টুয়েলভ পর্যন্ত পৌঁছালেও গত দুটি টুর্নামেন্টে তারা বাদ পড়ে গ্রুপপর্ব থেকে।

২০টি দল নিয়ে ভারত ও শ্রীলঙ্কায় যৌথভাবে হবে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের দশম আসর। জিম্বাবুয়ে ও নামিবিয়াসহ ইতোমধ্যে ১৭টি দল তাদের জায়গা নিশ্চিত করেছে। বাকি তিনটি দল আসবে এশিয়া ও প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের বাছাইপর্ব থেকে।