টেস্ট দল ‘থিতু’, তাই স্পোর্টিং উইকেট আশা করছেন শান্ত 

By ক্রীড়া প্রতিবেদক
10 November 2025, 13:56 PM

ঘরের মাঠে খেলা হলে যেকোনো দলই কন্ডিশনের সুবিধা নিয়ে থাকে, বাংলাদেশ সেই সুবিধা নেয় অনেক বাড়াবাড়ি রকমের। তবে আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে তেমন কিছু করতে চান না নাজমুল হোসেন শান্ত। তার মতে টেস্ট দল যেহেতু থিতু আছে তারা চাইবেন স্পোর্টিং উইকেটে খেলে ব্যাটারদের বড় রানের সুযোগ দিতে।

মঙ্গলবার থেকে সিলেটে শুরু হচ্ছে বাংলাদেশ-আয়ারল্যান্ডের দুই টেস্টের সিরিজ। দীর্ঘ পরিসরের হওয়ায় আইরিশদের থেকে যেকোনো বিচারে ঢের এগিয়ে স্বাগতিক দল। এরমধ্যে বাকি দুই সংস্করণে যেখানে চলছে ভোগান্তি টেস্টে সেখানে একাদশ নিয়ে ভাবনা বেশ কম।

ওপেনিং, থেকে মিডল অর্ডার, স্পিন আক্রমণ একদম পাকাপাকি। পেসারদের অবস্থাও ভালো। সব মিলিয়ে মাঠে প্রয়োগ ছাড়া পরিকল্পনা নিয়ে নেই জটিলতা।

প্রতিপক্ষে আইরিশদের ছোট করে না দেখলেও থিতু দল থাকার তৃপ্তি শান্তর,  'আপনি যদি টেস্ট দলটা দেখেন, মোটামুটি থিতু আছে, দুই একটা খেলোয়াড়  ছাড়া। আর পেস বোলারদের তো আমরা রোটেশন করে করে খেলাই। কাজেই এই দলটাতে বেশিরভাগ ক্রিকেটাররা কিন্তু আছে। বাড়তি কোনো পরিকল্পনা নেই। অবশ্যই যদি এই সিরিজটা আমরা ভালোভাবে খেলতে পারি, তাহলে এটা আমাদের বাড়তি একটা আত্মবিশ্বাস দিবে। কিন্তু হ্যাঁ, টেস্ট ক্রিকেটে সব সময় চ্যালেঞ্জ থাকে।  কাজেই ওই দলকে (আয়ারল্যান্ড) ছোট করে দেখার কোনো সুযোগ নেই। সেরাটা দিয়েই আমাদের খেলা লাগবে। মি আশা করব যে আমাদের খেলোয়াড়গুলো সবাই ভালোভাবে খেলতে পারবে।'

সিলেটের উইকেট এমনিতেই স্পোর্টিং হয়ে থাকে। এখানে শুরুর দিকে ব্যাটাররা পান সুবিধা, ম্যাচ চতুর্থ, পঞ্চম দিনে গেলে স্পিনারদের জন্য তৈরি হয় সুযোগ। এবারও ব্যাটার-বোলার সবার জন্য কিছু না কিছু চাইছেন শান্ত,  'একটা নির্দেশনা তো দেওয়া হয়েছে দলের পক্ষ থেকে গ্রাউন্ডসম্যানকে।  আমি আশা করি উইকেটটা ভালো হবে, স্পোর্টিং উইকেটই আমি আশা করছি। তবে উইকেটে সব সময় সারপ্রাইজ থাকে,  নির্দিষ্ট উইকেটে কী আচরণ করছে, আবহাওয়া, কন্ডিশন, অনেক কিছু ম্যাটার করে। অধিনায়ক  হিসেবে আমি আশা করব যে উইকেটটা স্পোর্টিং হবে, ভালো উইকেটই হবে। ব্যাটসম্যানরা বড় রান করার একটা সুযোগ থাকবে।'

ওপেনিংয়ে সাদমান ইসলামের সঙ্গে মাহমুদুল হাসান জয় খেলবেন। তিনে শান্ত নিজে। চার ও পাঁচে দুই অভিজ্ঞ মুমিনুল হক ও মুশফিকুর রহিম। ছয়ে কিপার ব্যাটার লিটন দাস। বাড়তি ব্যাটার খেলালে জাকের আলি নামবেন সাতে। এরপর মেহেদী হাসান মিরাজ, তাইজুল ইসলামের দুই জায়গায়। আর থাকছেন দুই পেসার।

বাংলাদেশের একাদশ অনুমিতই। বাকি দুই ফরম্যাটে মিডল অর্ডার নিয়ে চিন্তা থাকলেও টেস্টে তা নেই। একাদশ প্রসঙ্গেও সেই আভাস দেন বাংলাদেশ অধিনায়ক,  'মিডল অর্ডারে আপনি যদি দেখেন, লাস্ট সিরিজে মুশফিক ভাইয়ের একটা বড় ইনিংস ছিল, লিটনের একটা ভালো ইনিংস ছিল। মিরাজ অলওয়েজ ধারাবাহিক ছয়-সাতে। ওখানে বোলারদেরকে নিয়ে বড় বড় রান করে। এখানে আমার মনে হয় না মিডল অর্ডার নিয়ে খুব বেশি চিন্তার কোনো কারণ আছে। আর সমন্বয়টা কালকে আপনি ৯টা ৫ অথবা ৯টা ১০ এর মধ্যে পেয়ে যাবেন।'