মাঠ থেকে হাসপাতালে যাওয়া গিলের খেলা নিয়ে শঙ্কা
তিন বল খেলে স্লগ সুইপে একটা বাউন্ডারি মেরেই ঘাড়ে হাত দিয়ে অস্বস্তি অনুভব করতে থাকেন শুভমান গিল। ভারত অধিনায়ক এরপর আর ব্যাট করতে পারেননি। ফিল্ডিংয়েও দেখা যায়নি তাকে। জানা গেছে, পরে হাসপাতালে যাওয়া গিল কলকাতা টেস্ট থেকেই ছিটকে গেছেন।
গিলের ঘাড়ে ব্যথা (নেক স্পাজম) হওয়ায় সতর্কতামূলক ব্যবস্থা হিসেবে তাকে মাঠ থেকে স্ট্রেচারে করে দ্বিতীয় দিনের খেলার শেষে এক বেসরকারি হাসপাতালে নেওয়া হয় স্ক্যানের জন্য। তাকে ঘাড়ে সাপোর্ট ব্রেস পরে থাকতে দেখা যায়, সঙ্গে ছিলেন দলের ডাক্তার ও নিরাপত্তা কর্মকর্তা।
ইনিংসের শুরুতেই মাত্র তিন বল খেলতেই গিল অস্বস্তি অনুভব করেন। সাইমন হার্মারকে সুইপ করে বাউন্ডারি মেরে রান নেওয়ার পরপরই তিনি ঘাড়ের পেছনটা ধরে ফিজিওকে ডাকেন। এরপর দ্রুতই মাঠ ছেড়ে যান, রিটায়ার্ড হার্ট হন এবং আর ব্যাটিংয়ে নামেননি, ফলে ভারত ১৮৯ রানে অলআউট হয়।
বিবৃতিতে বিসিসিআই জানায়, 'শুভমন গিলের ঘাড়ে স্পাজম হয়েছে, তাকে বিসিসিআই মেডিকেল টিম পর্যবেক্ষণে রেখেছে।'
দিনের খেলা শুরুর আগে সম্প্রচারকারীরা গিলকে কোচিং স্টাফ ও মেডিকেল দলের এক সদস্যের সামনে ঘাড়ের ব্যায়াম করতে দেখেন। ২০২৪ সালের অক্টোবরে নিউ জিল্যান্ডের বিপক্ষে এক টেস্টও তিনি এমন ঘাড়ের শক্তভাবের কারণে মিস করেছিলেন।
ইনজুরিটিকে 'দুর্ভাগ্যজনক', বললেও, গিলের ওয়ার্কলোড ও অংশগ্রহণ নিয়ে বড় কোনো উদ্বেগ নেই বলে জানান ভারতীয় বোলিং কোচ মরনে মর্কেল। তিনি বলেন, 'গিল খুব ফিট ছেলে, নিজেকে খুব ভালোভাবে দেখভাল করে। আজ সকালে দুর্ভাগ্যজনকভাবে তার ঘাড়ে ব্যথা নিয়ে ঘুম থেকে উঠে, আর সেটাই দিনের পুরোটা সময় তাকে ভুগিয়েছে—যা আমাদের জন্য ছিল খুব গুরুত্বপূর্ণ। ও থাকলে আরও একটি গুরুত্বপূর্ণ পার্টনারশিপ হতে পারত… সত্যিই খারাপ সময়।'
গিলের এই ইনজুরি যখন ঘটল, ঠিক তখনই তার ওয়ার্কলোড নিয়ে নজরদারি চলছিল। গত আইপিএল থেকে তিনি টানা সব ফরম্যাটে খেলছেন এবং চারজন টেস্ট ক্রিকেটারের সঙ্গে অস্ট্রেলিয়া থেকে সরাসরি কলকাতায় উড়ে আসেন টি-টোয়েন্টি সিরিজের পর।
গিল অনুপস্থিত থাকায় দক্ষিণ আফ্রিকার দ্বিতীয় ইনিংসে দলকে নেতৃত্ব দেন ঋষভ পান্ত। গিল না থাকলেও অবশ্য রবীন্দ্র জাদেজার স্পিনে দক্ষিণ আফ্রিকানদের চাপে ফেলে দেয় ভারত; আছে জয়ের পথে।