স্নিকো অপারেটরের ভুলে বেঁচে গিয়ে কেয়ারির সেঞ্চুরি, দায় স্বীকার কর্তৃপক্ষের
অ্যাশেজ সিরিজে ব্যবহৃত স্নিকো প্রযুক্তির মালিকানাধীন প্রতিষ্ঠান বিবিজি স্পোর্টস দায় স্বীকার করেছে। তারা জানিয়েছে, অপারেটরের ভুলের কারণে তৃতীয় টেস্টের প্রথম দিনে ইংল্যান্ড রিভিউ নেওয়া সত্ত্বেও অস্ট্রেলিয়ার অ্যালেক্স কেয়ারি আউট হওয়া থেকে বেঁচে গেছেন।
বুধবার এভাবে জীবন পেয়ে দারুণভাবে কাজে লাগিয়ে কেয়ারি তার টেস্ট ক্যারিয়ারের তৃতীয় ও অ্যাশেজে প্রথম সেঞ্চুরির স্বাদ নিয়েছেন। এই উইকেটরক্ষক-ব্যাটারের কল্যাণে স্বাগতিক অস্ট্রেলিয়া দিন শেষ করেছে শক্ত অবস্থানে, ৮ উইকেটে ৩২৬ রান তুলে। উইল জ্যাকসের শিকার হয়ে অষ্টম ব্যাটার হিসেবে মাঠ ছাড়ার আগে ১৪৩ বলে ১০৬ রানের ঝলমলে ইনিংস খেলেছেন তিনি।
যদিও এক পর্যায়ে মনে হয়েছিল, কেয়ারি হয়তো সেঞ্চুরি পূর্ণ করতে পারবেন না। কিন্তু জশ টাংয়ের বল তার ব্যাট ছুঁয়ে উইকেটের পেছনে জেমি স্মিথের গ্লাভসে জমা পড়লেও ক্যাচের আবেদনে সাড়া দেননি আম্পায়ার আহসান রাজা। ইংল্যান্ড কালক্ষেপণ না করে রিভিউ নিলেও স্নিকোর অপারেটরের ভুলে আম্পায়ারের সিদ্ধান্তই বহাল থাকে।
রিপ্লেতে দেখা যায়, বল যখন বাঁহাতি কেয়ারির ব্যাট অতিক্রম করছিল, তখন পরিষ্কার একটি শব্দ শোনা গিয়েছিল। স্নিকোমিটারেও বড় একটি সংকেত (স্পাইক) দেখা গেলেও টিভি আম্পায়ার ক্রিস গ্যাফানি নট আউটের সিদ্ধান্ত বহাল রাখেন। কারণ স্নিকো গ্রাফে দেখা যায়, বল ব্যাটে পৌঁছানোর আগেই শব্দের সংকেতটি তৈরি হয়েছিল। সেসময় ৭২ রানে অপরাজিত থাকা কেয়ারি অবশ্য দিনের খেলা শেষে সংবাদ সম্মেলনে স্বীকার করেছেন, বল ব্যাটে লেগেছে বলে তার মনে হয়েছিল।
পরবর্তীতে বিবিজি স্পোর্টস এই ভুলের জন্য দায় স্বীকার করেছে। ক্রিজে ব্যাটারের প্রান্তের বদলে অডিওটি ভুলবশত বোলারের প্রান্তের স্টাম্প মাইক থেকে নেওয়া হয়েছিল। এই কারণেই অডিও ও ভিডিওর মধ্যে সময়ের ব্যবধান তৈরি হয় এবং সংকেতটি ভিডিওর আগে চলে এসেছিল।
বিবিজি স্পোর্টস এক বিবৃতিতে বলেছে, 'যেহেতু অ্যালেক্স কেয়ারি স্বীকার করেছেন যে, ওই বলটি তার ব্যাট ছুঁয়ে গিয়েছিল, তাই এখান থেকে একমাত্র এই সিদ্ধান্তেই আসা যায় যে, সেই সময়ে স্নিকো অপারেটর অডিও প্রসেসিংয়ের জন্য ভুল স্টাম্প মাইক বেছে নিয়েছিলেন। এই ভুলের জন্য বিবিজি স্পোর্টস পূর্ণ দায়ভার গ্রহণ করছে।'
সেঞ্চুরিতে পৌঁছানোর পর কেয়ারি যখন বাতাসে ঘুষি ছুড়ে উল্লাস করেন এবং আকাশের দিকে তাকান, তখন গ্যালারিতে থাকা তার স্ত্রী ইলোইসকে ডুকরে কাঁদতে দেখা যায়। গত সেপ্টেম্বরে লিউকেমিয়ায় আক্রান্ত বাবা গর্ডনের মৃত্যুর পর এই প্রথম কেয়ারি তিন অঙ্কের দেখা পেয়েছেন এবং তিনি এটিকে একটি 'বিশেষ মুহূর্ত' হিসেবে অভিহিত করেছেন।