শেষ মুহূর্তের গোলে লিভারপুলের হার, সিটির জয়ে উজ্জ্বল হালান্ড
ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগে শনিবার ক্রিস্টাল প্যালেসের মাঠে শেষ মুহূর্তের গোলে নাটকীয়ভাবে হারল শিরোপাধারী লিভারপুল। অন্যদিকে, নিজেদের ডেরায় আর্লিং হালান্ডের নৈপুণ্যে দাপুটে পারফরম্যান্সে বার্নলিকে উড়িয়ে দিয়ে জিতল ম্যানচেস্টার সিটি।
নাটকীয় হারে থামল লিভারপুলের জয়রথ
ইসমাইলিয়া সার প্রথমার্ধের নবম মিনিটে এগিয়ে দেন প্যালেসকে। সেই লিড তারা ধরে রাখে ৮৭তম মিনিট পর্যন্ত। বদলি নামা ফেদেরিকো কিয়েসা এরপর সমতা টানেন লড়াইয়ে। কিন্তু লিভারপুলের স্বস্তি টেকেনি শেষ পর্যন্ত। দ্বিতীয়ার্ধের যোগ করা সময়ের সপ্তম মিনিটে আর্নে স্লটের শিষ্যদের স্তব্ধ করে দেন বদলি নামা এডওয়ার্ড এনকেটিয়া। খুব কাছ থেকে বা পায়ের কোণাকুণি শটে জাল কাঁপান তিনি।
অল্পের জন্য অফসাইড হওয়া থেকে বেঁচে যান এনকেটিয়া। ভিএআরের সাহায্য নিয়ে রেফারি জানান গোলের সিদ্ধান্ত। সঙ্গে সঙ্গে বেজে ওঠে খেলা শেষের বাঁশি। ফলে রোমাঞ্চকর লড়াইয়ে ২-১ ব্যবধানে পরাস্ত হয় লিভারপুল। প্রিমিয়ার লিগে ষষ্ঠ ম্যাচে এটি তাদের প্রথম হার। তবে ১৫ পয়েন্ট নিয়ে তারা ধরে রাখছে পয়েন্ট তালিকার শীর্ষস্থান। সমান ম্যাচে ১২ পয়েন্ট পাওয়া প্যালেস উঠেছে দুইয়ে। একমাত্র দল হিসেবে লিগে এখনও অপরাজিত আছে তারা।
মাত্র ২৮ শতাংশ সময় বল দখলে রেখেও গোলের উদ্দেশে ১৬টি শট নেয় প্যালেস, যার মধ্যে সাতটি ছিল লক্ষ্যে। লিভারপুলের গোলরক্ষক আলিসন বেকার পাঁচটি সেভ করলেও কাজে আসেনি তার দুর্দান্ত দক্ষতা। অন্যদিকে, অলরেডরা ২০টি শট নিলেও মাত্র চারটি লক্ষ্যে রাখতে পারে। সেগুলোর মধ্যে তিনটি দারুণ সেভ করে প্যালেসের জয়ে বড় অবদান রাখেন গোলরক্ষক ডিন হেন্ডারসন।
হালান্ডের নৈপুণ্যে সিটির বড় জয়
ইতিহাদ স্টেডিয়ামে ম্যান সিটির ফিনিশিংয়ের ব্যর্থতায় ৬১তম মিনিট পর্যন্ত স্কোরলাইন ছিল ১-১। এরপর পাল্টে যায় ম্যাচের মোড়। দুই অর্ধে দুটি আত্মঘাতী উপহার পায় পেপ গার্দিওলার শিষ্যরা। শেষদিকে তিন মিনিটের মধ্যে জোড়া লক্ষ্যভেদ করেন হালান্ড। সিটিজেনরা মাঠ ছাড়ে ৫-১ গোলের বড় জয়ের আনন্দ নিয়ে।
দ্বাদশ মিনিটে ম্যাক্সিম এস্তেভের আত্মঘাতী গোলে সিটি এগিয়ে যাওয়ার পর ৩৮তম মিনিটে জেডন অ্যান্থনি সমতা ফেরান। প্রথমার্ধের খেলা শেষ হয় ১-১ স্কোরলাইনে। তবে ম্যাচের বয়স এক ঘণ্টা পার হওয়ার পর যেন স্বাগতিকরা খুঁজে পায় চেনা রূপ। ৬১তম মিনিটে মাথেউস নুনেস আবারও দলকে এগিয়ে নেন। চার মিনিট পর দুর্ভাগ্যজনকভাবে আবার নিজেদের জালে বল পাঠিয়ে দেন এস্তেভ। শেষদিকে জ্বলে ওঠেন হালান্ড। নির্ধারিত সময়ের শেষ মিনিটে ও যোগ করা সময়ের তৃতীয় মিনিটে দুবার জাল কাঁপান তিনি।
ছয় ম্যাচে তিন জয় ও এক ড্রয়ে ম্যান সিটির অর্জন ১০ পয়েন্ট। তারা উঠে এসেছে পয়েন্ট তালিকার তিন নম্বরে। সমান ম্যাচে মাত্র ৪ পয়েন্ট পেয়েছে বার্নলি। তাদের অবস্থান ১৭ নম্বরে।