মেসি-রোনালদোর স্তরে পৌঁছে গেছেন হালান্ড, বললেন গার্দিওলা
অ্যাস্টন ভিলার বিপক্ষে গোলশূন্য ম্যাচের পর অনেকে ভেবেছিলেন, হয়তো হালান্ডের গোল মেশিনে একটু মরিচা ধরেছে। কিন্তু বোর্নমাউথের বিপক্ষে প্রথমার্ধেই জোড়া গোল করে সেই ধারণা উড়িয়ে দিয়েছেন নরওয়েজিয়ান তারকা। নিজের স্বভাবসিদ্ধ নিখুঁত ফিনিশিংয়ে আবারও প্রমাণ করলেন কেন তিনি আধুনিক ফুটবলের সবচেয়ে ভয়ংকর স্ট্রাইকারদের একজন।
আবার তিনি একেবারেও নিখুঁত নন, হ্যাটট্রিকের সুযোগ মিস করে তা যেন মনে করিয়ে দিলেন। তবুও মৌসুমের পরিসংখ্যান অন্য কিছুই বলে: প্রিমিয়ার লিগে এখন পর্যন্ত ১৩ গোল, এর মধ্যে ৮টি ডাবল; আর ক্লাব ও দেশের হয়ে মোট ২৬ গোল। এমন পারফরম্যান্সে ফুটবলবিশ্বে হালান্ডের নাম এখন কিংবদন্তিদের কাতারে আলোচনায়।
বোর্নমাউথের বিপক্ষে গোলের পর রোবট নাচে উদযাপন করেন হালান্ড, যা মনে করিয়ে দেয় ইংলিশ স্ট্রাইকার পিটার ক্রাউচের বিখ্যাত রোবট ডান্সকে। ম্যাচ শেষে সামাজিক মাধ্যমে হালান্ড লিখেছেন, 'মনে হয় আর লুকিয়ে রাখা সম্ভব হয়নি...' যার উত্তরে ক্রাউচ রসিকতা করে বলেন, 'আমি হেঁটেছিলাম, যাতে ওরা দৌড়াতে পারে।'
তবে এসব মজার মুহূর্তের আড়ালেও হালান্ডের গোলক্ষুধাই আলোচনার কেন্দ্রবিন্দু। ম্যাচ শেষে পেপ গার্দিওলা যখন তার শিষ্যকে জড়িয়ে ধরেন, তখন সাংবাদিকরা প্রশ্ন ছুড়ে দেন, হালান্ড কি মেসি-রোনালদোদের স্তরে পৌঁছে গেছেন?
গার্দিওলার জবাব ছিল স্পষ্ট ও নির্ভীক, 'তুমি কি তার পরিসংখ্যান দেখেছো? অবশ্যই সে সেই স্তরে আছে। মেসি ও রোনালদো টানা ১৫ বছর ধরে যা করেছে, হালান্ডও সেই মানে পৌঁছেছে। মেসি এখনও প্রতি ম্যাচে দুই-তিন গোল করছে, রোনালদো সৌদি লিগেও একইভাবে। হালান্ড সেই ধারায়ই চলছে।'
'ও অবিশ্বাস্যভাবে কোচেবল, খুব নিচু স্বভাবের মানুষ, সবসময় শিখতে চায়। ও বাঁচে শুধু গোলের জন্য। সত্যি বলতে, ও না থাকলে আমাদের পক্ষে এতটা এগোনো কঠিন হতো,' যোগ করেন এই স্প্যানিশ কোচ।