এমবাপের ৪ গোলে অলিম্পিয়াকোসকে হারাল রিয়াল
কিলিয়ান এমবাপে যখন ছন্দে থাকেন, তখন কি ঘটে গ্রিসের পিরেয়াসে বুধবার রাতে ঠিক সেটাই দেখল ফুটবল বিশ্ব। একাই চার গোল করে রিয়াল মাদ্রিদের তিন ম্যাচের জয়ের স্বাদহীনতা মিটিয়ে দিলেন ফরাসি তারকা। সাত গোলের রোমাঞ্চকর এক লড়াইয়ে অলিম্পিয়াকোসকে ৪-৩ ব্যবধানে হারিয়ে আবারও আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে উঠে এলেন এই ফরাসি।
ম্যাচের শুরুটা যদিও রিয়ালের জন্য সুখকর ছিল না। মাত্র ২০ গজ দূর থেকে দারুণ শটে দলকে এগিয়ে দেন অলিম্পিয়াকোসের চিকুইনহো। আক্রমণভাগে দ্রুতগতির পাস–পজিশনিংয়ে সাজানো সেই আক্রমণ রিয়ালকে মুহূর্তেই চাপে ফেলে দেয়। কিন্তু তার পর থেকেই শুরু এমবাপের শো।
২২ মিনিটে ভিনিসিয়ুস জুনিয়রের দুর্দান্ত থ্রু বল ধরে ডিফেন্স ভেদ করে গোলরক্ষক টজোলাকিসের পায়ের ফাঁক দিয়ে বল পাঠিয়ে স্কোরলাইন সমতায় আনেন এমবাপে। দুই মিনিটের ব্যবধানে আবারও গোল, এবার আরদা গুলারের নিখুঁত ক্রসে হেড থেকে নিচু শটে বল পাঠান জালে।
এরপর ইতিহাসের দ্বিতীয় দ্রুততম চ্যাম্পিয়নস লিগ হ্যাটট্রিক। মাত্র ৬ মিনিট ৪২ সেকেন্ডে তিন গোল। যেখানে তার চেয়ে দ্রুত ত্রিমাত্রিক আঘাত হেনেছেন কেবল মোহামেদ সালাহ (২০২২ ইউসিএল, রেঞ্জার্সের বিপক্ষে)। দৌড়ে উঠে গিয়ে ঠান্ডা মাথায় বল জালে জড়ানো এমবাপের সেই গোল ম্যাচের মোড়ই ঘুরিয়ে দেয়।
প্রথমার্ধে চোটে চিকুইনহো মাঠ ছাড়ার পর বদলি হিসেবে নামা মেহদি তারেমি ৫২ মিনিটে শক্তিশালী হেডে ব্যবধান কমান। তবে আন্দ্রি লুনিনের প্রতিরোধ সত্ত্বেও বারবার আক্রমণে ব্যস্ত হয়ে পড়ে অলিম্পিয়াকোস। থিবো কুর্তোয়া অসুস্থ থাকায় লুনিনই রিয়ালের পোস্ট সামলান এ ম্যাচে।
গ্রিসের মাঠে আগের সাত সফরেও কখনো জয় ছিল না রিয়ালের। কিন্তু এমবাপের পায়ের জাদু শেষমেশ সেই ইতিহাসও পাল্টে দেয়। ভিনিসিয়ুসের দারুণ স্প্রিন্ট ও নিচু ক্রস থেকে সহজেই বল ঠেলে নিজের চতুর্থ গোল করেন ফরাসি অধিনায়ক। পাঁচ ম্যাচে নয় গোল নিয়ে এবার ইউসিএলে সর্বোচ্চ গোলদাতার তালিকায় তিন গোলে এগিয়ে গেলেন ভিক্টর ওসিমহেনের চেয়ে।
খেলা শেষ হওয়ার নয় মিনিট আগে আয়ুব এল কাবি গোল করে চাপ সৃষ্টি করলেও শেষ পর্যন্ত মাদ্রিদ লড়াই ধরে রাখে এবং দুর্দান্ত জয় নিয়ে মাঠ ছাড়ে। পাঁচ ম্যাচে চার জয়, আগের ম্যাচে লিভারপুলের কাছে হারের হতাশা মুহূর্তেই ভুলিয়ে দিল এই রোমাঞ্চকর রাত, আর নায়ক হিসেবে নাম লিখলেন কিলিয়ান এমবাপে!