খামেনির উপদেষ্টার সঙ্গে পুতিনের ‘অপ্রত্যাশিত’ বৈঠক, যা আলোচনা হলো

By স্টার অনলাইন ডেস্ক
20 July 2025, 15:14 PM
UPDATED 20 July 2025, 23:28 PM

ইরানের শীর্ষ নেতা আয়াতুল্লাহ আলি খামেনির পরমাণু বিষয়ক উপদেষ্টা আলি লারিজানি'র সঙ্গে বৈঠক করেছেন রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমে এই বৈঠককে 'অপ্রত্যাশিত' ও 'বিস্ময় জাগানিয়া' বলে অভিহিত করা হয়েছে।

আজ রোববার এই তথ্য জানিয়েছে বার্তা সংস্থা এএফপি।

ক্রেমলিনে আয়োজিত এই বৈঠকে তেহরানের পরমাণু কর্মসূচি নিয়ে আলোচনা হয়েছে বলে জানা গেছে।

ইরানের ইসলাম-ভিত্তিক প্রশাসনের সঙ্গে সৌহার্দ্যপূর্ণ সম্পর্ক বজায় রেখে চলে রাশিয়া। বিভিন্ন সময়ে তেহরানকে সমর্থনও জুগিয়েছে মস্কো। তবে সাম্প্রতিক ইসরায়েল-ইরান সংঘাতে প্রত্যক্ষভাবে তেহরানের পাশে দাঁড়ায়নি মস্কো। এমন কী, সংঘাতে ওয়াশিংটন যোগ দেওয়ার পরেও তারা নীরব থেকেছে।

ক্রেমলিনের মুখপাত্র দিমিত্রি পেসকভ এই বৈঠকের বিষয়ে বলেন, 'ইরানের লারিজানি মধ্যপ্রাচ্যে সংঘাতের মাত্রা বেড়ে যাওয়ার বিষয়ে তেহরানের বিশ্লেষণ এবং দেশটির পরমাণু প্রকল্পের বর্তমান পরিস্থিতি তুলে ধরেন।'

peskov.jpg
ক্রেমলিনের মুখপাত্র দিমিত্রি পেসকভ। ছবি: রয়টার্স

পেসকভ জানান, এই অঞ্চলকে স্থিতিশীল করতে এবং ইরানের পরমাণু কর্মসূচির ভবিষ্যত নিয়ে রাজনৈতিক সমাধানে পৌঁছাতে চায় রাশিয়া। রাশিয়ার এই দৃষ্টিভঙ্গি সম্পর্কে সংশ্লিষ্ট সবাই ইতোমধ্যে অবগত আছেন এবং পুতিন তা আবারও এই বৈঠকে উল্লেখ করেছেন।

উল্লেখ্য, এই বৈঠকের বিষয়ে কোনো পূর্ব-ঘোষণা দেয়নি ক্রেমলিন বা তেহরান।

ব্রিটেন, ফ্রান্স ও জার্মানি নতুন করে ইরানের সঙ্গে তাদের পরমাণু কর্মসূচি নিয়ে আলোচনায় বসবে। আগামী কয়েক দিনের মধ্যেই এই বৈঠক আয়োজিত হবে।

পৃথকভাবে জার্মানির এক কূটনীতিক সূত্র এএফপিকে আজ এই তথ্য জানায়।

নাম না প্রকাশে ইচ্ছুক সূত্রের বরাত দিয়ে ইরানের তাসনিম এজেন্সিও জানিয়েছে, ইউরোপের তিন পরাশক্তির সঙ্গে পরমাণু আলোচনায় বসতে রাজি হয়েছে তেহরান। 

ইরানের পরমাণু সমৃদ্ধকরণ উদ্যোগ বন্ধ হয়ে যাবে—এমন কোনো চুক্তিতে যেতে আগ্রহী নয় তেহরান।

Iran nuclear plant.JPG
ইরানের পরমাণু স্থাপনা। ফাইল ছবি: সংগৃহীত

তবে গত সপ্তাহে সংবাদমাধ্যম এক্সিওসের এক প্রতিবেদনে অজ্ঞাত সূত্রের বরাত দিয়ে জানানো হয়, এ ধরনের চুক্তিতে সম্মতি দিতে ইরানকে 'উৎসাহ' দিয়েছেন পুতিন।

তবে তাৎক্ষণিকভাবে ওই প্রতিবেদনের প্রতি তীব্র নিন্দা জানিয়ে রাশিয়া দাবি করে, এ বিষয়টিতে সত্যতা নেই।

ইরান বরাবরই দাবি করেছে, তাদের পরমাণু কর্মসূচির সঙ্গে পরমাণু অস্ত্র নির্মাণের কোনো যোগসূত্র নেই। দেশটি শুধু শান্তিপূর্ণ কাজে ব্যবহারের জন্য ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধকরণ করছে, যা 'বৈধ অধিকারের' মধ্যে পড়ে।