৫০ দিনে ৫৯১ বার যুদ্ধবিরতি লঙ্ঘন ইসরায়েলের, ৩৫৭ ফিলিস্তিনি নিহত
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের মধ্যস্থতায় গত ১০ অক্টোবর যুদ্ধবিরতি চুক্তিতে সই দেয় ইসরায়েল ও ফিলিস্তিনি সশস্ত্র সংগঠন হামাস।
যুক্তরাষ্ট্রের দাবি, এখনো যুদ্ধবিরতি চালু আছে এবং উভয় পক্ষ তা মেনেও নিচ্ছে। তবে বাস্তবতা ভিন্ন।
যুদ্ধবিরতির প্রথম ৫০ দিনের পুরোটা সময়জুড়ে ইসরায়েলি হামলা অব্যাহত ছিল। এসব হামলায় নিহত হয়েছেন ৩৫৭ জন ফিলিস্তিনি।
যার ফলে, এই সংঘাতে মোট নিহতের সংখ্যা ৭০ হাজার ছাড়িয়েছে হয়েছে।
আজ বুধবার এই তথ্য জানিয়েছে কাতারভিত্তিক গণমাধ্যম আল জাজিরা।
৫০ দিনে অন্তত ৫৯১ বার যুদ্ধবিরতি লঙ্ঘন করেছে ইসরায়েল। এসবের মধ্যে বিমান হামলা, কামানের গোলাবর্ষণ ও সরাসরি গুলি চালানোর মতো ঘটনা অন্তর্ভুক্ত।
যুদ্ধবিরতি লঙ্ঘনের বিস্তারিত তথ্য জানিয়েছে গাজার সরকারি গণমাধ্যম কার্যালয়। তাদের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, ১০ অক্টোবর থেকে শুরু করে যুদ্ধবিরতির প্রথম ৫০ দিনে ইসরায়েলি সেনাবাহিনী:
- বেসামরিক মানুষের দিকে ১৬৪ বার গুলি চালিয়েছে।
- গাজা থেকে ৩৫ জন ফিলিস্তিনিকে আটক করেছে।
- 'হলুদ লাইনের' বাইরে থাকা আবাসিক এলাকায় ২৫ বার অভিযান চালিয়েছে।
- ১১৮ বার এক বা একাধিক অবকাঠামোগত সম্পদ ধ্বংস করেছে।
পাশাপাশি, ইসরায়েল মানবিক ত্রাণের প্রবাহ রোধ করেছে এবং গাজা উপত্যকাজুড়ে গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনা ও বাড়িঘর ধ্বংস অব্যাহত রেখেছে।
১০ অক্টোবর যুদ্ধবিরতি চালুর পরদিন থেকেই লঙ্ঘনের ঘটনা ঘটতে থাকে।
অক্টোবরে ১৬ দিন, নভেম্বরে ২৫ দিন ও ডিসেম্বরে ২ দিন এক বা একাধিকবার যুদ্ধবিরতি লঙ্ঘন করেছে তেল আবিব।
তা সত্ত্বেও ওয়াশিংটনের দাবি, যুদ্ধবিরতি এখনো বহাল তবিয়তে কার্যকর আছে।
২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর ইসরায়েলি ভূখণ্ডে হামাস হামলা চালালে এক হাজার ২০০ মানুষ নিহত ও ২৫০ জন জিম্মি হন। সেদিনই প্রতিশোধমূলক গণহত্যা শুরু করে ইসরায়েল। সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী, গাজায় নিহত ফিলিস্তিনির সংখ্যা ৭০ হাজার ১১২। পাশাপাশি আহত হয়েছেন আরও এক লাখ ৭০ হাজার ৯৬৮ জন ফিলিস্তিনি।

