এবার ‘সমস্যা হবে না’ বুঝেই দায়িত্ব নিয়েছেন শান্ত

By ক্রীড়া প্রতিবেদক
10 November 2025, 11:14 AM
UPDATED 10 November 2025, 17:19 PM

ওয়ানডের নেতৃত্ব থেকে সরিয়ে দেওয়ার অভিমানে টেস্ট অধিনায়কত্বও ছেড়ে দিয়েছিলেন নাজমুল হোসেন শান্ত। আর অধিনায়কত্ব করবেন না বলেও স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছিলেন তিনি। তবে পরের টেস্ট সিরিজে সেই তিনিই আবার টেস্ট অধিনায়ক। এই দফায় তিনি নাকি খুবই পরিষ্কার, কোন সমস্যা হবে না বলেও নিশিত হয়ে গেছেন।

বাংলাদেশ সর্বশেষ টেস্ট সিরিজ খেলেছে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে। সেই সিরিজের পর শান্ত পদত্যাগ করায় নতুন টেস্ট অধিনায়ক খুঁজছিল বিসিবি। তবে নানামুখী হিসেব নিকেশের পর ফের শান্তর কাছেই ফিরে যায় তারা। শুরুতে রাজী না হলেও পরে শান্তও দেন সায়।

মঙ্গলবার সিলেট আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে পুরনো দফার দায়িত্বই চালিয়ে যাবেন শান্ত, তবে নতুন করে।

জানা যায় মূলত, ক্রিকেট পরিচালনা বিভাগের প্রধান নাজমুল আবেদিন ফাহিমের সঙ্গে দূরত্ব তৈরি হয়েছিলো তার। ফাহিম মেহেদী হাসান মিরাজকে ওয়ানডের অধিনায়কত্ব দিয়ে শান্তকে সরিয়ে দিয়েছিলেন কোন আভাস ছাড়াই। এটা অপমানজনক হওয়ায় নিতে পারেননি শান্ত। প্রতিক্রিয়া দেখান টেস্টে।

নাজমুল আবেদিন নতুন মেয়াদে বিসিবির পরিচালক হয়ে ক্রিকেট পরিচালনা বিভাগের দায়িত্বই পেয়েছেন। তবে তার ক্ষমতা এখন আর একক নয়। টিম ডিরেক্টর হিসেবে নিয়োগ করা হয়েছে আরেক পরিচালক আব্দুর রাজ্জাককে। ছায়া হিসেবে জাতীয় দল পরিচালনায় নাক গলানোর আভাস দিয়েছেন খালেদ মাসুদ পাইলট ও সভাপতি আমিনুল ইসলাম বুলবুলও।

সোমবার সিলেটে হাসিমুখে শান্ত জানান, আগের সমস্যাগুলো থাকবে না জেনেই দায়িত্ব নিয়েছেন তিনি,

'ক্রিকেট বোর্ডের সঙ্গে খুব ভালো আলাপ হয়েছে। কী কী সমস্যা হতে পারে, এগুলো কীভাবে সমাধান করতে পারি অথবা সমস্যাগুলোই যেন না হয়। সেই বিষয়গুলো নিয়ে আমরা খুবই পরিষ্কার। আমি একদমই আশাবাদী এ ধরনের সমস্যা হবে না। যেটা বললাম, ক্রিকেট বোর্ডের সঙ্গে সুন্দর যোগাযোগ হয়েছে। এই জিনিসগুলো যদি আসে, তারা পাশে থাকবেন এবং সমস্যাগুলো সমাধানের চেষ্টা করবেন।'

শান্ত টেস্ট অধিনায়ক থেকে যাওয়ায় বাংলাদেশের এখন তিন সংস্করণের তিন অধিনায়ক। যে ভাবনারও বিরোধী ছিলেন বাঁহাতি ব্যাটার। তবে ওয়ানডে অধিনায়ক মেহেদী হাসান মিরাজ, টি-টোয়েন্টি অধিনায়ক লিটন দাসের সঙ্গে বোঝা পড়া করেই দল চালানোর আত্মবিশ্বাস তার,  'গুরুত্বপূর্ণ হচ্ছে বাকি যে দুই অধিনায়ক আছে, তাদের সঙ্গে বোঝাপড়া খুবই ভালো। আমরা একসঙ্গে বসেছিলাম, বসে আলাপ করেছি কীভাবে তিন সংস্করণকে দলকে এগিয়ে নিতে পারি, কোন কোন জায়গায় উন্নতির দরকার আছে। আমরা তিনজনই আশাবাদী এই দলটার কী প্রয়োজন দলটাকে ওভাবে নিয়ে এগোতে পারব। আমি যেটার কারণে সন্তুষ্ট, ক্রিকেট বোর্ড আমাকে ওই সাহায্যটুকু করবে। যেটা আমার মাথার মধ্যে ছিল, তিন সংস্করণে তিন অধিনায়কে সমস্যা হতে পারে বা যৌক্তিক না। কিন্তু এত বড় বড় ক্রিকেটাররা যখন পরামর্শ দিয়েছে, তরা অবশ্যই ভালো চিন্তা করেই দিয়েছে। আমি এটার ওপর বিশ্বাস রেখেই ফিরে এসেছি।'